আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

যশোরের বিজয় ৭১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা উড়িয়ে এগিয়ে চলছেন মুক্তিযোদ্ধা। শক্ত মুষ্টিতে পতাকার ঝাণ্ডা গভীর মমতায় বুকের সঙ্গে আলিঙ্গন। ডান কাঁধে তাঁর ঝোলানো রাইফেল। তাঁরই বাঁ পাশে রাইফেল হাতে আরেক মুক্তিযোদ্ধা। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা গর্বিত সেই যোদ্ধার চোখ আকাশপানে। পাশেই রাইফেল ও হেলমেট উঁচিয়ে উল্লসিত আরো দুই মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের একজনের খালি পা, পরনে লুঙ্গি। ত্রিভুজ আকৃতির বেদির ওপর ভাস্কর্যের আরেক দিকে দুহাতে শান্তির পায়রা উড়িয়ে যুদ্ধ শেষে আগামী দিনের শান্তির বার্তা আকাশে ছড়িয়ে দিচ্ছেন এক নারী। এই উল্লাসে তাঁদের সঙ্গে শরিক গুলতি হাতে এক দুরন্ত কিশোরও। মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য বিজয়-৭১ এভাবেই দাঁড়িয়ে আছে শহরের পালবাড়ী মোড়ে।

যশোরের এস এম সুলতান আর্ট কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খন্দকার বদরুল আলম নান্নুর হাতের পরশে ভাস্কর্যটি এখনো ছড়াচ্ছে দীপ্তি। যশোর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই ভাস্কর্যটি ১৯৯৮ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ৮ নম্বর সেক্টরের প্রথম দিকের কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী বীর-উত্তম। মূল ভাস্কর্যটি ২৭ ফুট উচ্চতার। বেদিসহ উচ্চতা ৩৫ ফুট। ভাস্কর্যটি নির্মাণের উপকরণ ছিল হোয়াইট সিমেন্ট, চুনাপাথর ও রড। ভাস্কর্যটি নির্মাণে এক বছরেরও বেশি সময় লাগে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বিএলএফের বৃহত্তর যশোর জেলার উপপ্রধান ( ডেপুটি লিডার) রবিউল আলম ছিলেন এই ভাস্কর্য নির্মাণ কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর দেশের প্রথম শক্রমুক্ত হয় যশোর। এটিই যশোরের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য। যশোরের মুক্তিযোদ্ধারা সে সময়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুক্তিযোদ্ধা মালেক মিয়ার কাছে একটি ভাস্কর্য নির্মাণের প্রস্তাব দেন। ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য ডিসি মালেক মিয়াকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সদস্য ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, মাস্টার নূর জালাল, পিলু খান, একরাম-উদ-দৌলা প্রমুখ। এই ভাস্কর্য নির্মাণে সেই সময় প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয় হয়।

পালবাড়ী মোড়ে ভাস্কর্যটি স্থাপনের বিষয়ে তিনি জানান, পালবাড়ীর পাশেই যশোর ক্যান্টনমেন্ট, সে সময় পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি ছিল। চৌগাছা ও বেনাপোল থেকে মিত্রবাহিনী এই দুই পথ দিয়ে এসে যশোর ক্যান্টনমেন্ট ও শহরে প্রবেশ করে। একই সঙ্গে আশপাশের মুক্তিযোদ্ধারাও এই দিক দিয়ে প্রবেশ করেন। আবার এই সড়ক দিয়েই পাকিস্তানি হানাদাররা ক্যান্টমেন্ট ছেড়ে খুলনার দিকে পালিয়ে যায়। পাশাপাশি এটা যশোর শহরে প্রবেশেরও একটা পথ। এসব দিক বিবেচনা করেই ভাস্কর্যটি এখানে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।

ভাস্কর্য বিজয়-৭১ নির্মাণ কমিটির আরেক সদস্য মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দৌলা বলেন, পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি এ সম্পর্কিত সব তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: বিজয় ৭১

আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে জনপদে। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। রোদে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিতে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির তেমন আভাস নেই। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিনা তা সন্ধ্যা ৬টায় নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আরও খবর



বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের অন্যতম দূষিত বাতাসের শহর রাজধানী ঢাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৮৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, ১৭১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, ১৬৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৬১।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এখন দুবাইয়ের  আল হারমিয়া বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় একাধিক যুদ্ধজাহাজের পাহারায় রয়েছে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি। দুবাই পৌঁছানোর পর জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন নাবিক দল। দুবাই পৌঁছাতে নাবিকদের আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া নাবিক মো. শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ আছে। এখন এমভি আব্দুল্লাহর পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। শামসুদ্দিন জানিয়েছে, দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে।

আরেক নাবিক হোসেন মো. সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ  বলেন,  আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



র‍্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

র‌্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাব সদর দপ্তর এবং র‌্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দুই দিনের অভিযানের পর রুমা বাজারের পাশের এলাকা থেকে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে বান্দরবানের রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ওইদিন রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানান, নেজাম উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়।

অপহরণের বিষয়ে তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে দুবৃর্ত্তরা উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্সের মসজিদে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন নামাজের জন্য অনেক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। তাদেরকে সবাইকে বন্দি করে সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড মারধর করে। তারা অস্ত্র হাতে ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করে ব্যাংকে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ডাকাতরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রও লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি এবং আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করেছে।

ঘটনাটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।


আরও খবর



প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় বিএনপি নেতা চাঁদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

আড়াই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক ও চারঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চাঁদ।

রোববার দুপুরে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের মাড়িয়ায় নিজ গ্রামে মায়ের জানাজায় অংশ নেন তিনি।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, মায়ের মৃত্যুর পর জানাজায় অংশ নিতে আবু সাঈদ চাঁদ আবেদন করেন। মানবিক কারণে আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে আড়াই ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। বেলা ১২টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাকে মায়ের জানাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে তাকে আবারো কারাগারে নেওয়া হয়।

গত বছর বিএনপির এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মামলা হতে থাকে। এ অবস্থায় আত্মগোপনে থাকা চাঁদকে গত বছরের ২৫ মে গ্রেফতার করে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। সেই থেকে বিএনপির এই নেতা কারাগারেই রয়েছেন।

এরই মধ্যে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার আলাদা একটি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তিনি। আবু সাঈদ চাঁদ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিরও সদস্য। তার বিরুদ্ধে এখন প্রায় শতাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কারাগার থেকেই রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪