আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

যশোরে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি প্রবাসী সোহেল রানা!

প্রকাশিত:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরে দুবাই প্রবাসী সোহেল রানাকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের কামারবাড়ি নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল দেয়াড়া ইউনিয়নের হালসা গ্রামের আব্দুর রউফ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ৫ বছর দুবাই প্রবাসী ছিলেন। দুই মাস আগে দেশে এসেছেন। স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছেন স্বজনরা।

নিহতের ছোট ভাই শাকিল আহমেদ বলেন, সদরের আলমনগর গ্রামের আলিম হোসেনের মেয়ে খুশির সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় সোহেলের। এই দম্পতির ঘরে দেড় বছর বয়সি একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।

আরও পড়ুন: সদরপুরে বাচ্চাদের আতশবাজির আগুনে ৭টি বসতঘর পুড়ে ছাই

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোহেল স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে দীর্ঘদিন ধরে দুবাইয়ে ছিলেন। মাস দুয়েক হলো তিনি বাড়িতে ফিরেছেন। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার সময় খুশি সঙ্গে তার বাবার বাড়ি এলাকা আলমনগর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ফারাবির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দীর্ঘদিনের এই প্রেমের মেলামেশায় বাধা হয়ে দাঁড়ান প্রবাসফেরত স্বামী সোহেল। তাই সোহেলকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলাতে হত্যার ষড়যন্ত্র করে খুশি ও তার প্রেমিক ফারাবি। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বুধবার বিকালে খুশি সোহেলকে তার বাবার বাড়িতে আসতে বলেন। মোটরসাইকেলযোগে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে কামারবাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে পরকীয়া প্রেমিক ফারারি তার গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকবাসী তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারের হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহাজারি করতে করতে খুশি জানান, তাদের কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। আমার স্বামী হত্যাকারী ফারাবিকে আটক ও ফাঁসি চাই।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল আলম বলেন, বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত করেই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশি রুহেলকে ধরিয়ে দিলে ২২ লাখ টাকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে রুহেল চৌধুরী নামে এক বাংলাদেশিকে ধরিয়ে দিতে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। তার বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে দুজনকে অপহরণ, নির্যাতন এবং মুক্তিপণের জন্য হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছে এফবিআই। পরে বিষয়টি নিয়ে নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর কুইন্সের রাস্তা থেকে দুজনকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সাতজন সন্দেহভাজনের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী রুহেল চৌধুরী হলেন শেষ ব্যক্তি। তাকে ধরিয়ে দিতে গত ১ মার্চ এফবিআই একটি পোস্টারও প্রকাশ করে।

ফেডারেল প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, গত বছরের ২৭ মার্চ জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউয়ের কাছে ১৮১তম সেন্ট থেকে অপহরণকারীরা এক ব্যক্তিকে একটি হোন্ডা এসইউভিতে জোর করে তুলে নেন। পরে গাড়ির ভেতরেই তাকে মারধর করা হয়। পরে অপহরকারী দলটির সঙ্গে থাকা রুহেল চৌধুরী সারারাত ভিকটিমকে মারধর করার পাশাপাশি হুমকিও দেন।

এ ঘটনায় অপহরকারী চক্রের সদস্য আবু চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ইফফাত লুবনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে রুহেল চৌধুরী এখনও অধরা রয়ে গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আরও বেশকয়েকটি অপহরণ, অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

এফবিআইয়ের নোটিশে রুহেল চৌধুরীকে বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করে কুইন্সের হলিস, কুইন্স ভিলেজ এবং জ্যামাইকা এলাকায় তার যাতায়াত রয়েছে বলে জানানো হয়। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, ওজন ১৫০ পাউন্ড এবং চোখের রঙ বাদামী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ তাকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এফবিআই অফিস বা নিকটস্থ আমেরিকান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



সপরিবারে জাপানে ভূমিকম্পের কবলে রাজামৌলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জাপানে ভূমিকম্পের কবলে পড়লেন আরআরআর পরিচালক এস এস রাজামৌলি। ভূমিকম্পের বিষয়ে জাপানিরা মানসিকভাবে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকলেও রাজামৌলির কাছে বিষয়টি নতুন। বর্তমানে সপরিবারে জাপানে অবস্থান করছেন জনপ্রিয় দক্ষিণী নির্মাতা রাজামৌলি।

পুরো বিষয়টির ওপরে আলোকপাত করেছেন পরিচালকের ছেলে এসএস কার্তিকেয়। এক্স-এ একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে তার হাতের স্মার্ট ঘড়ির ডায়ালে ভূমিকম্পের সতর্কবাণী ফুটে উঠেছে।

ছবিটির সঙ্গে কার্তিকেয় লেখেন, ২৮ তলায় ছিলাম এবং ধীরে ধীরে মাটি দুলতে শুরু করল। ওটা যে ভূমিকম্প সেটা বুঝতে কিছুটা সময় লেগেছে। ভয় পাওয়ার আগেই দেখলাম জাপানিদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই, যেন বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

কার্তিকেয়র বক্তব্য নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তরা তাদের জন্য সমাজমাধ্যমে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। আবার রাজামৌলি সুরক্ষিত আছেন জেনেও কেউ কেউ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

এই মুহূর্তে জাপানে রয়েছেন এসএস রাজামৌলি। সম্প্রতি সে দেশে তার সিনেমা আরআরআর-এর বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজিত হয়। সিনেমার প্রদর্শনে নিজের পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক।


আরও খবর



অর্থনীতি যেখানে থাকার দরকার সেখানে আছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

সরকারের পদক্ষেপের কারণে দেশের অর্থনীতি ঠিক আছে দাবি করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, অর্থনীতি যেখানে থাকার দরকার সেখানে আছে। বর্তমান সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতের সঙ্গে লেনদেনে মাল্টিকারেন্সি চালু করেছি। ভারতের সঙ্গে রুপি, ডলার ও টাকার পাশাপাশি সব ধরনের লেনদেন করতে পারছি। আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে মাল্টিকারেন্সি চালুর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ স্বাধীনতা বিরোধীরা সব সময় দেশের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। তারা তো কিছুই করতে পারে না।

আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে চিরিরবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দরখানসামা) আসনে সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী নতুন মন্ত্রীসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় চিরিরবন্দর উপজেলা এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার যখন পদ্মা সেতু বানাচ্ছিল তখন তিনি দেশের মানুষকে পদ্মা সেতুকে না উঠার জন্য বলেছিলেন। পদ্মা সেতু নাকি ভেঙে পড়বে। তাদের কথায় কেউ বিশ্বাস করবেন না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম দেশের উন্নয়ন চোখে দেখা পায় না। তাকে চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে। দামি চমশা কিনে দিতে হবে। তাহলে সব কিছু দেখতে পারবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আমজাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম, খানসামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোমিনুল ইসলাম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সরকার।


আরও খবর



জিম্বাবুয়ের ব্যর্থতায় মাসাকাদজার পদত্যাগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সোনালি সময়ের তারকা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে মনোযোগ দিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেট উন্নতিতে। তবে পারলেন না। জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় জিম্বাবুয়ের ডিরেক্টর অব ক্রিকেটের দায়িত্ব ছাড়লেন সাবেক অধিনায়ক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট।

এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট জানিয়েছে, এ সপ্তাহে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মাসাকাদজা। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়াকে পদত্যাগের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

পদত্যাগপত্রে মাসাকাদজা লিখেছেন, আমাদের ক্রিকেট ও আমার দায়িত্বের সাফল্য এবং ব্যর্থতা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার দায়িত্বকালে অনেক উন্নতি আছে। তবে উগান্ডার কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর একমাত্র পূর্ণ সদস্য হিসেবে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারছি না। আমার ক্যারিয়ারে এটি সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত, ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে এর পূর্ণ দায় নিচ্ছি।

সাবেক এই ক্রিকেটার আরও বলেছেন, সিদ্ধান্তটা বেশ কঠিন ছিল। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি আমি পুরোপুরি দায়বদ্ধ থাকব। ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের পথে আমি ভিন্ন কোনো উপায়ে কাজ করতেও আগ্রহী।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্রথমে নামিবিয়ার বিপক্ষে, এরপর হারে উগান্ডার কাছে হারে জিম্বাবুয়ে। তাতে আফ্রিকান অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা। তাতে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় নামিবিয়া ও উগান্ডা।

মাসাকাদজার সময়টাকে কেবল ব্যর্থতায় বন্দি করলেও হচ্ছে না। তার সময়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে বোর্ডে। তিনি ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগ, জিম আফ্রো টি-টেন লিগের পাশাপাশি মেয়েদের আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট, ৫০ ও ২০ ওভারের কাপ চালু করেছেন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




৯ বছরে সরকারি চাকরিতে যুক্ত হয়েছেন ৩৮৫৫৮ নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারি চাকরির বিভিন্ন স্তরে নারী চাকরিজীবীর সংখ্যা বাড়ছে দিনে দিনে। ২০১৪ সালে সরকারি চাকরীতে নারী ছিলেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮১। ৯ বছর পর ২০২৩ সালে সরকারি চাকরিতে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯। এই ৯ বছরে সরকারি চাকরীতে নারীর সংখ্যা বৃদ্দি পেয়েছে ৩৮ হাজার ৫৫৮।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী আছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ জন পুরুষ। নারী চাকরিজীবী রয়েছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯ জন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দিনে দিনে সরকারি চাকরিতে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে, অবস্থান মজবুত হচ্ছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা বেড়েছে ফলে অধিকসংখ্যক নারী চাকরিতে প্রবেশ করছেন। কিন্তু এখনো নারীদের শতকরা হিসেবে অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়। নারীর জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, পুরুষদের প্রথাগত মানসিকতা পরিবর্তনে সচেতনতা, চাকরি ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধসহ নানা ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনসংখ্যার হিসেবে নারী ও পুরুষের চেয়ে বেশি হলেও চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেক কম। বিষয়টি ফুটে উঠেছে সরকারি প্রতিবেদনেও।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান (৩০ মে ২০২৩ সালে প্রকাশিত) প্রথম শ্রেণির চাকরিতে মোট কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৬ জন পুরুষ আর নারীর সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮। দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৪ জন, যেখানে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬০৬ জন পুরুষ, ৬৬ হাজার ৫৮ জন নারী। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৪৩৩ জন, যেখানে পুরুষ ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৭১ এবং নারী ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২ জন। চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ১০৪ জন, যেখানে পুরুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ১৭ এবং নারী ৫৫ হাজার ৮৭ জন।

সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ কতটা বেড়েছে তা বোঝা যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০১৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে।

২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬৩৭, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৮। অর্থাৎ এ ৯ বছরে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজার ৩৮১। একইভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২০১৪ সালে ছিলেন ৫৩ হাজার ৪১ জন নারী, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৫৮ জনে। এ সময়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩ হাজার ১৭। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২, বর্তমানে তা ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২। অর্থাৎ ৯ বছরে এই শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৫০। একই সময়ে চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে নারী সংখ্যা ৭ হাজার ৯৯৬ বেড়ে গত বছর হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটা বেশ ইতিবাচক হলেও সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরিতে নারীরা সংখ্যায় বাড়লেও শতকরা হিসাবে এখনো পুরুষ থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। নারীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে, তাদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার দিতে হবে।


আরও খবর