যশোরে ইরিয়ান গাজী (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার
অভিযোগ উঠেছে। তিনি রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে শনিবার যশোর সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামে তাকে
পিটিয়ে ও ছুরি মেরে গুরুতর আহত করা হয়। নিহত ইরিয়ান গাজী আরবপুর ইউনিয়নের সুজলপুর গ্রামের
খোরশেদ গাজীর ছেলে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী রোববার বিকালে লাশ নিয়ে স্থানীয়
সুজলপুর বাজারে বিক্ষোভ করেন। মিছিল থেকে ইরিয়ান গাজীর হত্যাকারীদের দ্রুত আটক ও বিচার
দাবি করা হয়।
নিহতের বাবা খোরশেদ গাজীর অভিযোগ, এলাকার গোলাম,
শরিফ, জাকারিয়া, বুদো, নাহিদ ও লিটনের সঙ্গে ইরিয়ানের বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে ইরিয়ান
জীবনের ভয়ে কৃষ্ণবাটি গ্রামে বোনের বাড়িতে পালিয়ে ছিল। শনিবার সন্ন্যাসী গোলাম দলবল
নিয়ে কৃষ্ণবাটি গ্রামে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে সেখান
থেকে ইরিয়ানকে অপহরণ করে সুজলপুর জামতলা মাঠে নিয়ে দ্বিতীয় দফা পেটানো হয়। এরপরে জামতলা
মোড়ে রাস্তার ওপরে এনে চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপ দেয়। এ অবস্থায় দুই ঘণ্টা
মাটিতে ফেলে রাখা হয়।
খোরশেদ গাজী আরও বলেন, একপর্যায়ে স্থানীয়দের অনুরোধে
ইরিয়ানকে ছেড়ে দিলে আমি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে তার
অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আমরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। রোববার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় ইরিয়ান মারা যায়।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম
সাংবাদিকদের বলেন, মারপিটে ইরিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি
চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।