আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

যশোরে ২ দিনব্যাপী গণটিকা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যশোরে আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী গণটিকা কার্যক্রম। সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। দুই দিনে ১০ হাজার জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত লোক এলেও দেওয়া হবে। এখানে টিকা নেওয়ার জন্য লাগবে না অনলাইন রেজিস্ট্রেশন। যশোরে বসবাস করেন এমন সনদ থাকলেই টিকা নিতে পারছেন সবাই।

সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, যশোরের বাসিন্দা যারা পূর্বে টিকা নেননি তাদেরকে টিকার আওতায় আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন অবশ্যক নয়। জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলার কর্তৃক সনদ ও নাগরিক সনদপত্র দেখিয়ে টিকা নিতে পারছেন যে কেউ। আজ গণটিকা কার্যক্রম সহজ করে দেওয়া হয়েছে।

যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেওয়া হচ্ছে টিকা। যার জন্য সেখানে পাঁচটি বুথ করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে ৫ জন করে দায়িত্ব পালন করবেন। এদের মধ্যে দুইজন নার্স ও তিনজন করে স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর



ছাত্রলীগের বাইরে নিয়োগ বাতিল: চবি রেজিস্ট্রারকে নেতার হুমকি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছাত্রলীগ কর্মী ছাড়া অন্য সবার নিয়োগ বাতিল করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেজিস্ট্রারকে হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। সহকারী প্রক্টরদের উপস্থিতিতেই রেজিস্ট্রার কক্ষে উচ্চ বাচ্য করে তাকে শাসিয়েছেন চবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেজিস্ট্রার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

এর আগে রেজিস্ট্রার কক্ষে চাকরিতে যোগদান করতে আসা ইয়াহিয়া টিপু নামে এক যুবককে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাকে ৫৫০ টাকা দৈনিক মজুরির শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যান সদ্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

ছাত্রলীগ কর্মীদের বাইরে সব নিয়োগ ক্যান্সেল করতে রেজিস্ট্রারকে প্রথমে শাসাতে থাকেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম। তিনি রেজিস্ট্রারের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলতে থাকেন, এখনও পিছনে বসে আছে ও। ও ছাত্রলীগ করে না। তবুও ওরে চাকরি দিয়েছেন। ওর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ খাইছে ভিসি ম্যাম।

এ বিষয়ে জানতে সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এরপর শাসাতে থাকেন একই গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদুল আলম রিফাত। এসময় তিনি রেজিস্ট্রারকে বলতে থাকেন, ছাত্রলীগের বাইরের এগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগ কর্মী না। ছাত্রলীগের বাইরের নিয়োগ ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলারে নিয়োগ দিলে সমস্যা নাই। ছাত্রলীগের বাইরে যেগুলা, ওইগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলাপাইনের চাকরি নেওয়ার অধিকার আছে। বাইরের পোলাপাইনের কী অধিকার! ছাত্রলীগের বাইরে সব ক্যান্সেল।

তার সঙ্গে এসময় উপস্থিত সব ছাত্রলীগ নেতাকর্মী রেজিস্ট্রারকে শাসাতে থাকেন। আর ভিসিকে এসব নিয়োগের ব্যাপারে বলার জন্য তাদের পক্ষে রেজিস্ট্রারকে বুঝাতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. সুমন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর আলী।

এসময় রেজিস্ট্রার অফিসে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ, মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, আব্দুল মান্নান ও শঙ্কর বড়ুয়া।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এক নূর আহমদ বলেন, আমার অফিসে এসে তারা এরকম আচরণ করেছে। এটা আমার জন্য অপমানজনক! আমি তো তাদের নিয়োগ দিতে পারব না। নিয়োগ দেবেন ভিসি। তবুও তারা আমার এখানে এসে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। আমি ভিসি মহোদয় ও প্রক্টর এই বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিত করেছি। প্রয়োজনে প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ দিব।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, রেজিস্ট্রার মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন। দেখি আমরা কী করতে পারি। পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।’


আরও খবর



জুমাতুল বিদা’য় বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা। আল বিদা, আল বিদা, ইয়া শাহরু রমাদান।’ অর্থাৎ, বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান- জুমাতুল বিদার খুতবার মধ্য দিয়ে রমজানকে বিদায়ের প্রস্তুতি নেবে মুসলমানরা। একইসঙ্গে আজ দেশের বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনায় দোয়াও করেন মুসল্লিরা। সে উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঢল নেমেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দেখা যায়- নির্ধারিত সময়ের আগেই কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে মসজিদ। সড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে মুসল্লিদের উপস্থিতি। অন্যরকম উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে জুমা পড়তে আসেন শিশু-কিশোররাও।

নানা কারণেই মুসলমানদের কাছে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অনেক। রমজান মাস সীমাহীন ফজিলতের মাস। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ করা হয় যে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেসব দিবসে সূর্য উদিত হয় তার মধ্যে উত্তম দিবস হচ্ছে জুমা, সেদিন আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছে। একই দিনে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন। আবার পুনরায় পৃথিবীতে আগমন করেন। এই দিনেই তিনি ইন্তেকাল করেন। এই শুক্রবারই কিয়ামত সংঘটিত হবে। এই পুণ্য দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যখন মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া কবুল হয়।’ (সুনানে তিরমিজি ৪৯১, সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৬)

জুমাতুল বিদা রোজাদারদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মাহে রমজানের সমাপনান্তে এ বছর এর চেয়ে ভালো দিবস আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং এই পুণ্যময় দিনটির যথাযথ সদ্ব্যবহার করা প্রত্যেক দিনদার মুমিন-মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে মুসলমান রমজান মাস পেল, কিন্তু সারা বছরের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারল না, তার মতো হতভাগা আর কেউ নেই।’

আগামীকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) পবিত্র শবেকদর পালিত হবে। কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী, কদরের রাতটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সারা বিশ্বের মুসলিমরা ইবাদত-বন্দেগিসহ বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে এই মহিমান্বিত রজনী। অবশ্য লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ ১০ দিনের যেকোনো বিজোড় রাতেই হতে পারে।

আল্লাহর অনুগ্রহ, ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস রমজান। সুনানে তিরমিজিতে আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন (নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের জন্য) এত বেশি পরিশ্রম করতেন, যা অন্য সময়ে করতেন না।


আরও খবর



বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের অন্যতম দূষিত বাতাসের শহর রাজধানী ঢাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৮৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, ১৭১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, ১৬৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৬১।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




গুলির আওয়াজে কেঁপে উঠল কলকাতা বিমানবন্দর!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কর্তব্যরত অবস্থায় নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন কলকাতা বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক সিআইএসএফ জওয়ান। বৃহস্পতিবার ভোরে বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেটের কাছে ঘটনাটি ঘটে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই জওয়ানকে চিনার পার্ক এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকার।

খবরে বলা হয়, ভোর ৫টা ১৫ নাগাদ বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেটের কাছে হঠাৎই গুলির শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে যান স্থানীয়রা। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিযুক্ত অন্য সিআইএসএফ জওয়ানরাও ঘটনাস্থলে যান। জানা গেছে, গুলি তার গলায় লেগেছে।

তারা গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই জওয়ান। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে অবশ্য চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কেন ওই জওয়ান আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, তা এখনো জানা যায়নি।

আত্মহত্যার কারণ জানতে ইতোমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং সিআইএসএফ কর্মকর্তারা পৃথকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আহত জওয়ানের বাড়ি তেলেঙ্গানায়। ইতোমধ্যে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।

নিয়মানুযায়ী, কর্তব্যরত অবস্থায় সিআইএসএফ জওয়ানরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। তবে জওয়ানের মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেলে অনেক রহস্যের জট খুলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তিগতজীবনে তিনি হতাশ ছিলেন কিনা, কিংবা অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ ও মাকরুহ হয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

সারা বিশ্বজুড়ে রমজানের আমেজ বিরাজ করছে, একযোগে পালিত হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা হচ্ছে তৃতীয় স্তম্ভ। মুসলিমদের জন্য রোজা একটি অন্যতম ফরজ ইবাদত যা ভঙ্গ করা কবিরা গুনাহ। রোজা ভঙ্গকারী নিকৃষ্ট পাপী।

ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী রোজার শুদ্ধাতা অর্জন ও যথাযথভাবে পালনের জন্য কিছু বিধিমালা আছে যার ব্যতিক্রম হলে রোজা ভঙ্গ কিংবা মাকরুহ হয়ে যায়। রোজার নিয়তে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর যদি অসর্তকতাবশত কোনো ব্যক্তির রোজা ভঙ্গ বা মাকরুহ হয়ে যায়; তাহলে তার চেয়ে দুর্ভাগা আর কে আছে?

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম নর নারীর জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকালেই রোজা আদায় হয়ে যায় না; বরং রোজা অবস্থায় মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়মকানুনও। আল্লাহ তায়ালা রোজাদারকে তিনটি বিষয় থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ১. স্ত্রী-সহবাস, ২. খাবার গ্রহণ, ৩. পানীয় গ্রহণ। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)

সুতরাং কেউ স্ত্রী-সহবাস ও পানাহারে লিপ্ত হলে তার রোজা ভেঙে যাবে। এছাড়া নারীদের ঋতুস্রাবের কারণেও রোজা ভেঙে যায়। এসব কারণ ছাড়াও আরও বেশকিছু কারণ আছে, যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ

১. মুখ ভরে বমি করা। ২. ইচ্ছা করে বমি করা। ৩. বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা। ৪. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসব। ৫. ইসলাম ত্যাগ করা। ৬. রোজাদারকে জোর করে কিছু খাওয়ানো। ৭. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করানো।

৮. গ্লুকোজ, শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন নেওয়া। ৯. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে রোজা ভেঙে গেছে ভেবে আরও কিছু খাওয়া। ১০. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করা।

১১. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেলা। ১২. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করানো। ১৩. দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খাওয়া। ১৪. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলেগেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।

১৫. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করা। ১৬. হস্তমৈথুন বা অন্য কোনোভাবে বীর্যপাত করা ১৮. শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ জাতীয় অন্য কোনো কারণে রক্ত বের হলে।

এই কারণগুলো ছাড়াও এমন কিছু কাজ আছে যা করলে রোজা ভঙ্গ হবে না; তবে রোজার পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না, বরং রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে। রোজার পূর্ণ সওয়াব অর্জন করতে অন্যান্য আমল ঠিক রাখার পাশাপাশি অশ্লীল কাজ, পাপাচার, সুদ-ঘুষ, হারাম পানাহার, অন্যের হক নষ্ট করা, ওজনে কম দেওয়া সহ সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ

১. কোনো কারণ ছাড়াই কিছু চিবানো। ২. সারাদিন রোজা সঠিকভাবে পালন করার পরেও ইফতারির সময় এমন কোনো খাবার গ্রহণ করা যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। ৩. গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেওয়া। ৪. কোনো কিছু শুধু মুখে পুরে রাখা, সেক্ষেত্রে না খেলেও রোজা মাকরুহ হবে।

৫. মুখের লালা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পেটে গেলে ক্ষতি নেই, তবে ইচ্ছাকৃত দীর্ঘ সময় মুখে থুথু ধরে রেখে পরে গিলে ফেললে রোজা মাকরুহ হবে। ৬. রমজানে সারা দিন অপবিত্র শরীরে থাকা। ৮. পাউডার, পেস্ট ও মাজন দিয়ে দাঁত পরিস্কার করা।

৯. রোজা রেখে কারো গিবত বা পরনিন্দা করা। ১০. মুখে গুল ব্যবহার করা এবং থুথুর সঙ্গে গুল গলার ভেতর চলে যাওয়া। ১১. মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। রোজা রেখে মিথ্যা বলা মাকরুহ।

১২. ঝগড়া-বিবাদ করা ১৪. রান্নার সময় কোনো কিছুর স্বাদ নেওয়াযেমন, লবণ চেখে দেখা, ঝাল পরখ করা, তবে বিশেষ প্রয়োজনের কারণে তা বৈধ। ১৫. নাচ, গান, সিনেমা দেখা। ১৬. যৌন উদ্দীপক কিছু দেখা বা শোনা। ১৭. উচ্চস্বরে চিৎকার কিংবা গালিগালাজ করা।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪