আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

হাত বদলের পরিক্রমায় জমিতে ১০ টাকা কেজির সবজি ঢাকায় ৮০

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার মাড়ুয়া গ্রামের বর্গাচাষি রকিবুল ইসলাম। একবিঘা জমিতে চাষ করেছে ধুন্দল (স্থানীয় ভাষায় মিষ্টি পোল্লা)। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার স্থানীয় বারোবাজার ও চৌগাছা হাটে ৪০ কেজি ধুন্দল বিক্রি করেছেন মাত্র ৪০০ টাকা। বেপারীকে ডলতা (দাম ছাড়া ফাউ) দেয়া লেগেছে আরো ৫ কেজি। অর্থাৎ প্রতি কেজি দাম পড়েছে ১০ টাকারও কম। অথচ এই ধুন্ধল ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।  সেখানে দেখা গেছে, পরিবহন ও চাঁদার টাকা পরিশোধের পর ঢাকায় পৌঁছাতে এক কেজি সবজিতে খরচ হয় মাত্র ৫ টাকা। যদিও বেপারীদের দাবি, তাদের খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ টাকা। এর মধ্যে জ্বালানিতেই যায় ১ টাকা ২০ পয়সা। এরপর ফড়িয়া, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতার হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে পৌঁছাতেই দাম বেড়ে হয়ে যায় ৮০ টাকা।

শুধু ধুন্দল নয়- ঢাকার বাজারে জনপ্রিয় সবজি পটোল, বেগুন ও কাঁচকলা কেনাবেচার ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় বাজার থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে যায় ৪ গুণ। যা কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ভোক্তাদের। বাজারে প্রতিনিয়তই ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। খাবারের তালিকায় সবজি রাখাটাই যেন এখন বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারের ওপর কঠোর নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কনজ্যুমার অ্যাসোশিয়েসন অব বাংলাদেশ (ক্রাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মধ্যস্বত্ত ভোগীদের দৌরাত্ম্যের কারণে সবজির প্রকৃত দাম থেকে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফল ভোগ করা লাগছে ক্রেতাদের। লাভবান হচ্ছে ফড়িয়া, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা। তিনি বলেন, এ সমস্য থেকে উত্তরণের জন্য বাজার নজরদারি আরো কঠোর করতে হবে। একই সঙ্গে পথের চাঁদাবাজিও বন্ধ করতে পবে। তাহলে ক্রেতারা একটু স্বস্তি পাবে।

জানা গেছে, যশোর ও ঝিনাইদহে দুটি বড় হাট রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- বারিনগর ও বারোবাজার। শনি ও মঙ্গলবার বারোবাজারে হাট বসে এবং রবি ও বুধবার বারিনগরে বাজার বসে। এই দুই হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসেন। স্থানীয় অন্তত শতাধিক গ্রামের কৃষকরা এ দুটি বাজারে সবজি বিক্রি করে থাকেন। এ দুটি বাজার ছাড়াও আরো কয়েকটি বাজার রয়েছে। কিন্তু দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা এ দুটি বাজারকে বেশি পছন্দ করেন। এ কারণে বাজার দুটিতে পাইকারদের আনাগোনা বেশি হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি হাটেই বাজার দুটি থেকে অন্তত অর্ধশত ট্রাক সবজি বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে বেশি সবজি আসে ঢাকার কারওয়ান বাজার ও মিরপুরে। স্থানীয় ট্রাক ড্রাইভার মো. মিন্টু বলেন, ৫ টনের একটি ট্রাক ভাড়া নেয়া হয় ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা। ফেরি ভাড়া ২১শসহ লাইন খরচ (বিভিন্নস্থানে চাঁদা) দিয়ে ব্যয় হয় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। তেল খরচ হয় ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। একটি ৫ টনের ট্রাকে ৫৪০০ কেজি সবজির ধারণক্ষমতা রয়েছে; কিন্তু বাস্তবে এসব ট্রাকে কোন কোন সময় ১০ টনেরও বেশি সবজি পরিবহন করা হয়। সে হিসাবে ১০ হাজার ৮০০ কেজি সবজি বহনে প্রতি কেজিতে ব্যায় হয় ১ টাকা ৮০ পয়সা।

জানা গেছে, স্থানীয় বারোবাজারে প্রতিমণ (পাইকারি) পটোল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে সাড়ে ৮৫০, ধুন্দল ৪০০, বেগুন (কালো গোল) ১৬০০, কাঁচকলা ১২০০ টাকা। মণপ্রতি ক্রেতার খাজনা দেয়া লাগে ৮ থেকে ১০ টাকা। অথচ ঢাকার বাজারে এ ধরনের সবজি স্থান ভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মাঝারি গোল কালো বেগুনের দাম কোথাও ১০০ টাকাও ছাড়িয়েছে বলে অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে। এর পেছনের কারণ হিসাবে সবজি পরিবহনে ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ডিজেলের দাম বাড়ার দোহাই দিয়ে পরিবহন ব্যবসায়ীরা বাড়তি খরচের চেয়ে আরও অনেক বেশি ট্রাক ভাড়া আদায় করছে। ফলে সবমিলিয়ে সবজিসহ সব ধরনের কাঁচামালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যে কোনো সবজি শহরকেন্দ্রিক ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর আগে বেশ কয়েকবার হাত বদল হয়। হাতবদল, যান ব্যবহার ছাড়াও অসাধু ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফালোভী মনোভাব, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যানজটসহ নানাবিধ কারণে বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি পায়। পাইকারি ক্রয়মূল্যের শতকরা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও বেশি লাভ করার প্রবণতা খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে।

সূত্রমতে, দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে দেশের সবজির চাহিদার বড় অংশ পূরণ করা হলেও সেখানে তেমন বড় কোনো পাইকারি বাজার নেই। যার কারণে রংপুর, নাটোর, বগুড়া ইত্যাদি জেলা থেকে সবজি গাড়িতে করে বড় পাইকারি বাজার কুমিল্লার নিমসার আড়তে আসে। এখান থেকে আবার হাত বদল হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলা শহরে এসব সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য এখানে আরেকদফা অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয় ও হাত বদলের কারণে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাওরান বাজার থেকে পুনরায় পণ্য পাইকারি বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নেন, তাদের পণ্যবাহী বাহনেও বিভিন্ন রকমের খরচ করতে হয়। প্রথমেই তাদের পিকআপকে ২/৩ হাজার টাকার বিনিময়ে কাওরান বাজার স্ট্যান্ডে বাৎসরিক ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত হতে হয়। এছাড়া প্রতি ট্রিপে শতকরা ১০ টাকা হারে স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণকারীদের দিতে হচ্ছে। কাওরান বাজারে চারশ বর্গফুট জায়গা প্রতিরাতের জন্য ভাড়া ২ হাজার ১শ টাকা এবং একই জায়গায় প্রতিদিনের জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হয়। যা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে।

সূত্রমতে, বগুড়ার মহাস্থান হাট থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যবাহী ট্রাককে ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। এর মধ্যে বগুড়া পৌরসভার ৫০ টাকা টোল দিয়ে যাত্রা শুরু করতে হয়। এরপর শেরপুর ৫০ টাকা, সিরাজগঞ্জ ট্রাক মালিক-শ্রমিক সমিতিতে ৫০ টাকা, সিরাজগঞ্জ শহরে গাড়ি ঢুকলে ৫০ টাকা, সিরাজগঞ্জ মোড় হাইওয়ে পুলিশ খরচ (মাসিক) ৫০০ টাকা, যমুনা সেতু গোল চত্ত্বর হাইওয়ে পুলিশ খরচ (মাসিক) ৫০০ টাকা, টাঙ্গাইল মোড় হাইওয়ে পুলিশ খরচ (মাসিক) ৫০০ টাকা, আমিনবাজার, সাভার (লাঠিয়াল বাহিনী) প্রতি ট্রিপ এক থেকে ২০০ টাকা, কাওরান বাজার পার্কিংয়ে ৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া প্রতি ট্রিপে যুমনা সেতুর টোল ১৪০০ টাকা রয়েছে।

এর বাইরে বগুড়ার মহাস্থানহাট থেকে ঢাকায় আসায় প্রতিটি ৫ টনের ট্রাকের প্রতি ট্রিপে ডিজেলে সাড়ে ছয় হাজার টাকা, চালক-হেলপারের বেতন দুই হাজার টাকা এবং রোড খরচ দুই হাজার টাকা খরচ হয়। যদিও ৫ টনের ট্রাকে সাধারণত ১০ থেকে ১২ টন সবজি পরিবহন করা হচ্ছে। ট্রাক চালকদের দেওয়া তথ্যমতে, একটি ৫ টন ট্রাক এক লিটার ডিজেলে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার যায়। ৩ টন মিনি ট্রাক এক লিটারে যায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার। এক থেকে দুই টন পিকআপ এক লিটারে যায় ৭ থেকে সাড়ে ৭ কিলোমিটার। এ হিসেবে মহাস্থানহাট থেকে ২০২ কিলোমিটার দূরত্বে ঢাকা যেতে গড়ে ডিজেল লাগে ৫ টন ট্রাকের ৮০ থেকে ৮১ লিটার। সম্প্রতি ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায় সমন্বয় করায় বর্তমানে ডিজেল বাবদ খরচ হয় ৬ হাজার ৪৬৪ টাকা। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির আগে খরচ হতো ৫ হাজার ২৫২ টাকা। এ হিসেবে বর্তমানে ডিজেল বাবদ অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে ১ হাজার ২১২ টাকা। যেহেতু অন্যান্য খরচ আগের মতই রয়েছে, সেহেতু ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ৫ টনের একটি ট্রাকের ভাড়া সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। অথচ ট্রিপপ্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। যার কারণে কাঁচামালের বাজার বেসামাল হয়ে উঠেছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন।

নিউজ ট্যাগ: যশোর

আরও খবর



যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এখন দুবাইয়ের  আল হারমিয়া বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় একাধিক যুদ্ধজাহাজের পাহারায় রয়েছে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি। দুবাই পৌঁছানোর পর জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন নাবিক দল। দুবাই পৌঁছাতে নাবিকদের আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া নাবিক মো. শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ আছে। এখন এমভি আব্দুল্লাহর পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। শামসুদ্দিন জানিয়েছে, দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে।

আরেক নাবিক হোসেন মো. সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ  বলেন,  আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় তিন কোটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ। ফলে যানবাহনের চাপ দিগুণ বেড়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতুর ওপর দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দিগুণেরও বেশি গাড়ি চলাচল করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি টাকারও বেশি।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পার হয়েছে ৪৩ হাজার ৪২৭টি যানবাহন। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২৭ হাজার ২৩২ ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে ১৬ হাজার ১৯৫ গাড়ি চলাচল করেছে। মোট টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি তিন লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ টাকা।

এর মধ্যে পূর্ব টোলপ্লাজায় এক কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা ও পশ্চিম টোলপ্লাজায় আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক পাভেল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিকের তুলনায় দিগুণেরও বেশি গাড়ি পারাপার হয়েছে। আজকেও প্রচুর গাড়ি পার হচ্ছে।


আরও খবর



আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য আজ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী এলাকার সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের ৩ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তত রয়েছে ইউরোপের ৩ দেশ। স্পেন, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় দেশটি হচ্ছে নরওয়ে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নিজেরা প্রস্তুত বলে জানায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। সূত্র: আল জাজিরা

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ডাবলিনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড শীঘ্রই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়, তবে স্পেন এবং আরও ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, স্পেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ারও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তার দেশও অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

সানচেজ বলেন, ইচ্ছুক দেশগুলো তাদের ঘোষণা দেবে যখন পরিস্থিতি উপযুক্ত হবে এবং তারা নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার সমর্থন করবে।

এর আগে ইউরোপের দেশ মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানিয়েছিল, তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সাথে মাল্টা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথভাবে এ ঘোষণা দেয় তারা।


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী চিঠিতে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সময়সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এটা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।


আরও খবর