রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি:
নরসিংদীর রায়পুরায় যৌতুকের টাকার জন্য শশুর বাড়ির লোকদের নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় ওড়না লাগিয়ে তানিয়া (২২) নামক এক গৃহবধূ আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠেছে তানিয়ার স্বামী, শশুর, শাশুড়ি ও ননদের ওপর। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের মহিষবেড় পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে রায়পুরা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত তানিয়া আক্তার উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের মৃত লিটন মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে ফারুক মিয়া চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের মালেক মিয়ার ছেলে। সে পেশায় টাইল্স মিস্ত্রি বলে জানায় স্থানীয়রা।
নিহতের পরিবার ও স্থানী সূত্রে জানা যায়, দুই পরিবারের সম্মতিতেই গত ৫-৬ বছর আগে বিয়ে হয় তানিয়া ও ফারুক এর। তানিয়া ছিলো ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়েতে যৌতুক দেওয়ার কথা না থাকলেও বিয়ের পর থেকেই তানিয়ার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদ তাকে যৌতুকের জন্য শারিরীক ও মানসিক ভাবে প্রায়ই নির্যাতন করতো। শশুর বাড়ির লোকদের দাবিকৃত ২ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় তানিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি নিহতের স্বজনদের।
নিহতের মা জানায়, ফারুক এর আগেও একটি বিয়ে করেছে। এবার বিয়েতে কোন প্রকার যৌতুক নিবে না শর্তে মেয়ে তানিয়াকে ২য় স্ত্রী হিসাবে তার কাছে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে বলে আসছে ২ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য। দাবিকৃত ওই পরিমান টাকা না দেওয়ায় ফারুক তার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গলায় ওড়না লাগিয়ে আত্নহত্যার রুপ ধারণ করায় ।
চরসুবুদ্দি ইউপি চেয়ারম্যান হাজি নাসির উদ্দীন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, তানিয়া আক্তার আত্মহত্যা করেছে তার লাশ নরসিংদী নেওয়া হয়েছে। যৌতুকের জন্য মারধর করছে কি না এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি মিটিং এ আছেন পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
রায়পুরা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত গোবিন্দ সরকার মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।