আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

যমুনার বালুচরে সূর্যমুখীর হাসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনার বিস্তীর্ণ বালুচরে সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ দৃশ্য মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। উপজেলার হাসিলকান্দি গ্রামের চরজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে ফুটন্ত সূর্যমুখী ফুল। দিগন্তজুড়ে সূর্যমুখী ফুলের হাসি চোখে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। এ ফুল দেখতে আর সূর্যমুখী বাগানে নিজেদের ছবি, সেলফি তুলতে নানা বয়সী সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ প্রায় প্রতিদিন ভিড় করছেন। এতে বাগানের কিছুটা ক্ষতিও হচ্ছে। ফলে খানিকটা বিরক্ত হয়ে উঠেছেন বাগান মালিক।

উৎসুক মানুষের কাছে এসব সূর্যমুখী ফুল শুধু সৌন্দর্যের ডালপালা মনে হলেও বাস্তবে দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর একটি উপকরণ এটি। সূর্যমুখী ফুলের শুকনো বীজ থেকে উৎপাদিত হয় তেল। পাশাপাশি এ ফুলের উচ্ছিষ্ট থেকে বের হয় খইল নামের এক ধরনের গোখাদ্য।

তুলনামূক লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখীর আবাদে উৎসাহী হয়েছেন উপজেলার হাসিলকান্দি গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন। দ্বিতীয়বারের মতো এবার সূর্যমুখী চাষ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পেয়ে খুশি তিনি। মাটি ও আবহাওয়া এ ফুল চাষাবাদের জন্য উপযোগী হওয়ায় কম সময় ও অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার অপার সম্ভাবনায় দিন দিন চওড়া হচ্ছে চাষির মুখের হাসি।

আলতাফ হোসেন সরকার (৭০) একসময় একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি গত ২০১০ সালে অবসরে যান।অবসর নেওয়ার পর চরের জমিতে কৃষিকাজ শুরু করেন। কৃষক হিসেবেও সফলতা অর্জন করেন। একদিন পত্রিকায় সূর্যমুখীর তেলের পুষ্টিগুণ ও ফলন দেখে গত বছর কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩ বিঘা জমিতে চাষ করে ভালো ফলন পান। তিনি এবারও ৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এবার সূর্যমুখীর ফলন আরও ভালো হয়েছে। সূর্যমুখী বীজ বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন আলতাফ হোসেন সরকার।

গাইবান্ধা কৃষি গবেষণা বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে আলতাফ হোসেনের ৫ বিঘা জমিসহ চরে ২০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। চাষের ক্ষেত্রে প্রতি বিঘা জমিতে ১ কেজি বীজ বুনতে হয়। দেড় ফুট দূরত্বে একটি করে বীজ বপন করতে হয়। সারির দূরত্ব রাখতে হয় দেড় ফুট। মাত্র ৮৫-৯০ দিনের মধ্যে বীজ বপন থেকে শুরু করে উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি বিঘা জমিতে সব খরচ বাদ দিয়ে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় হয়।

স্থানীয় চিকিৎসক ডা. উত্তম দেবগুপ্ত বলেন, সূর্যমুখীর তেলে আছে শতভাগ উপকারী ফ্যাট। আরও আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও পানি। এ তেল ক্ষতিকর কোলেস্টেরলমুক্ত। এতে আছে ভিটামিন ই, ভিটামিন কে ও মিনারেল। এ ছাড়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগে আক্রান্তদের জন্য সূর্যমুখী তেল নিরাপদ।

গাইবান্ধা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ বলেন, নতুন উদ্ভাবিত সূর্যমুখী উচ্চ ফলনশীল ও বেশি লাভজনক। কম সময়ে কম পরিশ্রমে উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায়। সয়াবিন তেলের চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ, স্বাস্থ্যসম্মত এবং রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারের ফলন দেখে আগামীতে চাষের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যমুখী

আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত ৫

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের মুকসুদপরে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। বুধবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাগলছিরা বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল।

তিনি বলেন, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা লুবানা পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি পথে উপজেলার ছাগলছিরা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।


আরও খবর



ঢামেকে র‌্যাবের অভিযান, দালাল চক্রের ৫৮ জন আটক(ভিডিও)

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানি করে টাকা নেয়া ও ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগে দালাল চক্রের অন্তত ৫৮ সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব।

এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ একমাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে রোগীর কয়েকজন স্বজনকেও আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার বেলা ১১টার পরে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-৩ (র‍্যাব)- এর একটি দল ঢাকা মেডিকেলে অভিযান চালায়। এসময় বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, নতুন ভবন এবং বাগান গেটের প্রশাসনিক ব্লকসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দালাল সন্দেহে তাদের ৫৮ জনকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রোগীদের ঘিরে গড়ে ওঠা দালাল চক্রের ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা রোগীদের জিম্মি করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাতো। এছাড়া এই হাসপাতালেই সিট দেয়ার নামে টাকা নিতো চক্রের সদস্যরা।

সব হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম কমাতে র‍্যাবের অভিযান চলমান থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢামেকের দালালদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণিসহ সংশ্লিষ্ট কিছু স্টাফের নাম এসেছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ১৫০ থেকে ২০০ দালাল আছে বলেও জানান র‌্যাবের এক কর্মকর্তা।

দালালচক্রের হাতে নাজেহাল হওয়া ভুক্তভোগীদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, সাদা পোশাকে র‍্যাব সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলে রেকি করে। এরপর ভ্রাম্যমাণ নিয়ে অভিযান চালানো হয়।

এর আগে গত বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় সরকারি চার হাসপাতালের সামনে থেকে দালাল চক্রের ৪১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ওই চার হাসপাতাল হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা শিশু হাসপাতাল।


আরও খবর



২১৭ বার করোনার টিকা নিয়েছেন যে ব্যক্তি

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জার্মানির ৬২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ২১৭ বার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন। গত আড়াই বছরে তিনি নিজ উদ্যোগে এসব টিকা নেন। তবে এতে কোনো শারীরিক সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বিবিসি জানায়, সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজ।

সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর জার্মানির এরলানগেন-ন্যুরেমবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আমন্ত্রণ জানান। ওই ব্যক্তি বেশ আগ্রহী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং গবেষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ওই ব্যক্তি জানান, গত ২৯ মাসে মোট ২১৭ বার করোনা টিকার ডোজ নিয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোধ করেননি।

এরলানগেন-ন্যুরেমবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কিলিয়ান স্কোবার বিবিসিকে  বলেন, সংবাদপত্রে ওই ব্যক্তির খবর প্রকাশের পর আমরা তার সম্পর্কে জানতে পারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আমন্ত্রণ জানাই। তিনি বেশ আগ্রহের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। ওই ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর তার রক্ত ও লালার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।’

ড. স্কোবার বলেন, আমাদের ধারণা ছিল, একের পর এক টিকা গ্রহণের ফলে হয়তো তার রক্তের শ্বেত রক্ত কণিকাগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রক্ত কণিকায় কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। এমনকি তিনি এ পর্যন্ত কোভিডেও আক্রান্ত হননি।’

স্কোবার আরও জানান, করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে পর্যায়ক্রমে তিন ডোজ টিকাই যথেষ্ট। ওই ব্যক্তি সৌভাগ্যবান। তার শারীরিক অবস্থা এমন যে বার বার টিকা নেওয়ার পরও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হয়নি।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এত বেশি টিকা নেওয়ার পক্ষপাতী নন গবেষকেরা। বর্তমান গবেষণা বলে, করোনা থেকে সুরক্ষায় তিন ডোজ টিকাই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি টিকার দরকার নেই, কারণ সবার শারীরিক অবস্থা এক রকম নয়।


আরও খবর



পিরোজপুরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরের পাড়েরহাট সড়কে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। নিহত তিনজনই মোটরসাইকেল আরোহী।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পাড়েরহাট সড়কের শংকরপাশা ইউনিয়নের মল্লিক বাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে দুইজন ও পরে খুলনা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পথে আর একজন মারা যায়।

নিহত তিনজন হলো ভান্ডারিয়ার মাটিভাঙ্গা মোনতাজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি সুপার মাওলানা মাসুম বিল্লাহ (৫৮), ইন্দুরকানী উপজেলার উমেদপুর গ্রামের মালেক আকনের ছেলে হাসিব আকন (২২) ও শংকরপাশা ইউনিয়নের বাইনখালী গ্রামের নূরুল ইসলাম (৬০)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নুরুল ইসলাম ও আরিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে স্থানন্তর করা হলে পথিমধ্যে নুরুল ইলমাম মারা যায়।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান, দুইজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া দুইজনের অবস্থা গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্য থেকে নূরুল ইসলাম নামের আর একজন মারা গেছেন।

ওসি মো. আসিকুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



গীতিকার ওয়াদুদ রঙ্গিলা আর নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

খায়রুন লো, তোর লম্বা মাথার কেশ গানের গীতিকার আব্দুল ওয়াদুদ রঙ্গিলা (৫০) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জানা গেছে, আব্দুল ওয়াদুদ রঙ্গিলা দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। এক সপ্তাহ আগে, ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে তার মৃতদেহ শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী পীরগঞ্জ বাজার এলাকার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। বাদ আছর নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, লোককাহিনী নিয়ে নির্মিত কালজয়ী সিনেমা খাইরুন সুন্দরী সিনেমার খায়রুন লো তোর লম্বা মাথার কেশ গানটি লিখেন ওয়াদুদ রঙ্গিলা। এর মূল চরিত্র খাইরুন সুন্দরীর ছোট ভাই রফিক চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে তার সিনেমায় অভিষেক হয়। এরপর তিনি চিনিবিবি, মালেকা সুন্দরীঅগ্নিসাক্ষীসহ বেশ কিছু সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একাধিক সিনেমার নির্মাতা, প্রযোজক, গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। লিখেছেন নাটক ও কবিতাও।

নিউজ ট্যাগ: ওয়াদুদ রঙ্গিলা

আরও খবর