যক্ষ্মা শনাক্তে আরও গুরুত্ব দিতে হবে
বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, যক্ষ্মা প্রতিরোধে
সরকারের নানা উদ্যোগ থাকলেও এখনো বছরে ১৫ শতাংশ রোগী শনাক্তের বাইরে থেকে যান। তারা
একটা পর্যায় পর্যন্ত চিকিৎসা নেন না। জেনে-না জেনে অন্যদের মাঝে যক্ষ্মা ছড়ান। তাই
আমাদেরকে অবশ্যই শনাক্তের সংখ্যা বাড়াতে হবে। নয়তো আরও বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হবে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘কমিউনিটি, রাইটস অ্যান্ড জেন্ডার অ্যাকশন প্ল্যান ফর টিবি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অনেক রোগী মাঝপথে ওষুধ ছেড়ে দেওয়া কারণে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শনাক্তের পর সুচিকিৎসাও নিশ্চিত করতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বছরে ৩ লাখ ৬০
হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। শনাক্তের আওতায় আসে ৩ লাখ ৭ হাজার রোগী। সেই হিসাবে
১৫ শতাংশ রোগী দীর্ঘদিন শনাক্তের বাইরে থাকেন।
তিনি বলেন, বিশ্বে মৃত্যুর কারণের মধ্যে
টিবি ১৩ তম। পৃথিবীতে প্রায় এক কোটি লোক টিবিতে আক্রান্ত। প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ লোক
মারা যান। আর দেশে প্রতিবছর ৪০ হাজারের মতো মানুষ মারা যান।
করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে উল্লেখ করে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
টিকা কর্মসূচিতে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম অবস্থানে আমরা।
তিনি বলেন, এখনো অনেক লোক করোনার বুস্টার
ডোজ নেননি। আট কোটি লোক বাকি আছে। ২৫ তারিখ থেকে শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।
সকল অভিভাবকদের বলব, আপনারা শিশুদের নিয়ে আসুন। টিকা দেওয়ান। তবে, অবশ্যই স্কুলের মাধ্যমে
নিবন্ধিত হয়ে আসতে হবে।