আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

যক্ষ্মা রোগী বেশি ঢাকায়, কম ময়মনসিংহে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৪ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে গত এক বছরে (২০২১ সাল) সর্বোচ্চ যক্ষ্মা রোগী ৮০ হাজার ১৩৭ জন শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সর্বনিম্ন ১৯ হাজার ৪৭ জন শনাক্ত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিভাগগুলোর মধ্যে বরিশালে ২১ হাজার ৪৮১, চট্টগ্রামে ৬০ হাজার ২২, ঢাকায় ৮০ হাজার ১৩৭, খুলনায় ৩৯ হাজার ৭৯৬, ময়মনসিংহে ১৯ হাজার ৪৭, রাজশাহীতে ২৯ হাজার ৩৩৫, রংপুরে ৩১ হাজার ৭০৮ ও সিলেটে ২৫ হাজার ৯১৮ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে নতুন মোট ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৪৪ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগে আনুমানিক মৃত্যু ছিল প্রতি লাখে ৫৪ জন, যা ২০২০ সালে কমে প্রতি লাখে ২৭ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।

চিকিৎসা নিরাময়ের হার গত ১০ বছর যাবত ৯৫ শতাংশের বেশি, যা ২০২১ সালে ছিল ৯৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। ২০২১ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২৮ লাখের বেশি লোকের পরীক্ষা করা হয়েছে। গত দশকে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট-২০২০ অনুযায়ী, ২০২০ সালে সকল প্রকার যক্ষ্মা রোগীর অনুমিত সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার জন। তবে, ওই বছরে সকল প্রকার শনাক্তকৃত যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৮৮০ জন। বছরটিতে যক্ষ্মায় মৃত্যুর অনুমিত সংখ্যা ৪৪ হাজার। এবং ২০২০ সালে নতুন এমডিআর টিবি রোগীর অনুমিত সংখ্যা তিন হাজার ১০০ জন।

এমন পরিস্থিতিতে দেশে আজ (২৪ মার্চ) পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এবারের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই রোগ নির্মূলে বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম জানান, যক্ষ্মা একটি সংক্রামক রোগ, যা মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলসিস নামক অতি সূক্ষ্ম জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। প্রধানত ফুসফুসই যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়; এ রকমের যক্ষ্মাকে ফুসফুসের যক্ষ্মা বলে। যক্ষ্মার জীবাণু দেহের অন্য অংশকেও আক্রান্ত করতে পারে; এই ধরনের যক্ষ্মাকে ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষ্মা বলে।

তিনি জানান, ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর কফ, হাঁচি, কাশি ও কথা বলার মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণু পরিবেশে ছড়ায়। উক্ত জীবাণু বায়ুতে ভাসতে থাকে। ভাসমান জীবাণু সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করে যক্ষ্মা রোগের বিস্তার ঘটায়। বিশেষ করে ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের নিকটবর্তী পরিবারের সদস্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যক্ষ্মা সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিবারের সবাইকে সময়মত যক্ষ্মা পরীক্ষা করানো উচিত।

যক্ষ্মা প্রতিরোধের করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগী কিংবা কফে যক্ষ্মার জীবাণুযুক্ত ব্যক্তি যদি বিনা চিকিৎসায় থাকে, তবে বছরে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন লোককে যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত করে। তবে, জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত সকল ব্যক্তিই যক্ষ্মা রোগে ভোগে না। যে সমস্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারাই প্রধানত যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়। তাই, প্রতিটি যক্ষ্মা রোগীর দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পন্ন করা যক্ষ্মা প্রতিরোধের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অগ্রগতি-

> যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের জন্য বাংলাদেশে উন্নত ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন- জিন এক্সপার্ট মেশিন, এলইডি মাইক্রোস্কোপি, লিকুইড কালচার, এলপিএ, ডিজিটাল এক্সরে, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সহায়তায় সারাদেশে সরবরাহ করা হয়েছে। জিনএক্সপার্ট ৪৯০টি, যার মধ্যে করোনাকালীন সময়ে ২৩০টি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও মাইক্রোস্কোপ এক হাজার ১১৯টি ও ডিজিটাল এক্সরে স্থাপন হয়েছে ১৭৮টি। এসব পদ্ধতিতে ড্রাগ সেনসিটিভ ও ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট উভয় প্রকার যক্ষ্মার প্রায় ৮৩ শতাংশ রোগী শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে।

> এছাড়াও একটি ন্যাশনাল রেফারেন্স ল্যাবরেটরি ও ৫টি রিজিওনাল রেফারেন্স ল্যাবরেটরির মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত করা হয়।

> সরকারি ৪৪টি বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, ৭টি বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তবিভাগ ও বহির্বিভাগ এবং এনজিও ক্লিনিকে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা করা হয়।

> যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় পরবর্তী প্রতিটি রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের পাশাপাশি নিয়মিত ওষুধ সেবন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি রোগীর সাথে একজন ডটস্ প্রোভাইডার নিশ্চিত করা হয়েছে। যার ফলে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণের সঙ্গে সঙ্গে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুহার কমে এসেছে এবং চিকিৎসার সাফল্যের হার বেড়েছে, যা ২০০৫ সাল থেকে ৯৫ শতাংশের বেশি এবং বর্তমানে ৯৫ দশমিক ২৮ শতাংশ যা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এ সাফল্যের কারণে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার হার ও কমে এসেছে (বর্তমান অনুমিত সংখ্যা তিন হাজার ১০০)।

> ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসা সংক্ষিপ্ত সময়ের ৯ মাস ব্যাপী রেজিমেন বাংলাদেশে সফলভাবে শুরু হয়েছে। এর ফলে চিকিৎসা ব্যয় এক চতুর্থাংশ কমে এসেছে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসা ব্যবস্থা উদ্ভাবনে বাংলাদেশের এ সাফল্য বিশ্ববাসীর কাছে প্রশংসিত যা বাংলাদেশ রেজিমেন’ নামে স্বীকৃত। বিশ্বের অনেক দেশ এ রেজিমেন গ্রহণ করেছে।

> বাংলাদেশে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসায় সাম্প্রতিক আবিষ্কৃত নতুন ওষুধ বেডাকুইলিন (Bedaquiline) ও ডেলামানিড (Delamanid) ব্যবহার করা হচ্ছে।

অতিসম্প্রতি ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসায় (ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানোর লক্ষ্যে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশক্রমে ইনজেকশনের পরিবর্তে মুখে ওষুধ খাওয়ানোর নতুন গাইডলাইন বাস্তবায়ন করছে, যা যক্ষ্মা ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২১ সালে ২৫ হাজার শিশু ও ১২ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ককে টিবি প্রতিরোধী থেরাপি প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বিনামূল্যে রোগ শনাক্তকরণ ও ওষুধ সরবরাহ ছাড়াও দরিদ্র রোগীদের সাইকো কাউন্সিলিং ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।

বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সাল থেকে যক্ষ্মা চিকিৎসার প্রথম সারির ওষুধ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ক্রয় করছে। শহরাঞ্চলে বস্তি এলাকায়, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে, গার্মেন্টসে কর্মরত শ্রমিকদের, জেলখানায় ও দুর্গম এলাকায় বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচিকে বেগবান করার জন্য জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও ব্র্যাক যৌথ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মোবাইল ভ্যান (জিনএক্সপার্ট ও ডিজিটাল এক্সরে সম্বলিত) কর্মসূচি।

কক্সবাজার, উখিয়া ও ভাসানচর এলাকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝেও যক্ষ্মা কর্মসূচি সম্প্রসারিত করা হয়েছে। করোনার সময়ে যুগপৎভাবে যক্ষ্মা ও কোভিড শনাক্তকরণ করা হয়েছে। তাছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং বে-সরকারি সংস্থাগুলো বিভিন্ন ধরনের সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে যক্ষ্মা ও যক্ষ্মার সেবা সম্পর্কিত সাধারণ তথ্যগুলো জানানো হয়। মাঠ পর্যায়ে কাজ করার জন্য এনজিওগুলোর রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যসেবিকা, যারা স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের যক্ষ্মা বিষয়ক সভায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে যে সুপারিশ সমূহ ও সাহসী লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। এমতাবস্থায় মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বছরব্যাপী যক্ষ্মা বিষয়ক জনসচেতনামূলক কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। যার প্রধানতম উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান করোনার সময়ে যক্ষ্মা বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ ও যক্ষ্মা কার্যক্রমের অর্জনগুলো অব্যাহত রাখা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ ও তাদের চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে এসে ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়া।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, একজন যক্ষ্মা রোগী থেকে কমপক্ষে ছয় জনে রোগটি ছড়াতে পারে। তাই কোথাও একজন যক্ষ্মা রোগী পাওয়া গেলে তার সম্পৃক্ত কমপক্ষে ছয়জনকেই পরীক্ষা করাতে হবে। দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচিতে কিছুটা শৈথিল্য এলেও দ্রুতই সেটি পুষিয়ে নেওয়া হবে। তবে, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশ যক্ষ্মা নির্মূলে যথেষ্ট সফল। যক্ষ্মা শনাক্তকরণই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। যক্ষ্মায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে  ৯৬ শতাংশ সাফল্য এসেছে। জটিল যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ উপজেলায় ডিজিটাল এক্সরে স্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১৮৮২ সালে ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট করু যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলসিস আবিষ্কার করেন। জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জীবাণু আবিষ্কারের দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মারোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর এই দিনটিকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও সারা বিশ্বে এই দিনটি উদযাপিত হবে।

জানা গেছে, যক্ষ্মা এখনো বিশ্বের ১০টি মৃত্যুজনিত কারণের মধ্যে অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিদিন বিশ্বে চার হাজার মানুষ যক্ষ্মা রোগে মারা যান এবং ৩০ হাজার আক্রান্ত হন। তবে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় ২০০০ সাল থেকে ৫৮ মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।


আরও খবর



থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে এ সফরে যাবেন তিনি। সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। এ সময় তার সফরসঙ্গী হবেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আজ বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানাবেন। একইসঙ্গে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। একইদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গভর্নমেন্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড রাজপ্রাসাদে রাজা ও রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

সফরের সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইউএনস্ক্যাপের কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ২৫ ইউএনস্ক্যাপের অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। একইদিন জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউএনস্ক্যাপের এশিয়া ও প্যাসিফিকের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় সফর হবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর। এ সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।


আরও খবর



নারী শিল্পীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন নায়িকা রত্না

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শেষ হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নতুন মেয়াদের সভাপতি পদে মিশা সওদাগর (২৬৫) ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫) ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন আলেকজান্ডার বো। মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে তিনি ২৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আলেকজান্ডারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ ভোট পেয়েছেন সভাপতি পদে জয়ী মিশা সওদাগর।

সর্বোচ্চ ভোটের হিসেবে তৃতীয় হয়েছেন ইতিহাস খ্যাত নায়িকা রত্না কবির। তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট। নারী প্রার্থীদের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রত্না বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সবাই আমাকে এত ভালোবাসেন, আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় শিল্পীদের পাশে থেকে কাজ করব আমি।

প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতক এবং একই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা চিত্রনায়িকা রত্নার ঢালিউড চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ার। ২০০২ সালে প্রথম কেন ভালোবাসলাম ছবির মধ্য দিয়ে এ জগতে নাম লেখান এ নায়িকা। একটা সময়ে নিয়মিত অভিনয় করলেও পরে কমিয়ে দেন অভিনয়। প্রায় অর্ধশত ছবির এই নায়িকা ২০০২ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রথম ছবিতে অভিনয় করেন। তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। সেই শুরু।

দশম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময় তার হাতে আসে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ইতিহাস ছবির কাজ। এ ছবিতে কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। রাতারাতি খ্যাতি এনে দেওয়া এ ছবির কল্যাণে এ ঢালিউড নায়িকার হাতে একাধিক ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে। এরপর একে একে কাজ করেছেন ধোঁকা, মরণ নিয়ে খেলা, নষ্ট, পড়ে না চোখের পলক, সন্তান আমার অহংকার, মন যেখানে হৃদয় সেখানে, সন্তানের মতো সন্তানসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবিতে।

অভিনয়ের পাশাপাশি তামান্না ফিল্মস নামে প্রযোজনা সংস্থাও গড়ে তুলেছিলেন রত্না। তবে ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকতে হঠাৎ করেই আড়ালে চলে যান তিনি। তখন থেকে অনিয়মিত দেখা যায় তাকে।

শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আবারও চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার কথা ভাবছেন রত্না। তার ভাষ্য, শিল্পীরা আমাকে ভালোবাসেন। সেই প্রমাণ ব্যালট বক্সে তারা দিয়েছেন। এবার আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই। চলচ্চিত্রে নিয়মিত থাকতে চাই।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মতলব উত্তরে ভোটে জয়ী হতে মরিয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

Image

ভোটে জয়ী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ৩ জনই এখন ভোটের মাঠে একে আপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জোড়ালো প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীদের সাবাই। মাঠের রাজনীতিতে কার কেমন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তা প্রমাণিত হবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তবে প্রতীক নির্ধারণের পর উপজেলা জুড়ে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। স্ব-স্ব অনুসারী নিয়ে মিছিল মিটিং করছেন প্রার্থীরা। সব প্রার্থীদের দৃষ্টি ভোটারদের দিকে। নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রার্থী তালিকায় থাকা সম্প্রতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অন্যদের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও সরব ভূমিকা পালন করছেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হওয়া সেই প্রচারণা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও জনমনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব, জাতীয় দিবসেও জনগণের প্রতি বার্তা প্রদান করার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সরব থাকেন এই প্রার্থী। বর্তমান সময়ের তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জনগণের প্রতি নানা পরামর্শমূলক পোস্ট করে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করেন দীর্ঘ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার ফলে তার জন সম্প্রিক্ততা রয়েছে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।

অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্বে থাকা মানিক দর্জি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদে থাকলেও রাজধানীতে থাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ততায় পার করেন তিনি। নিজস্ব শিল্প কারখানায় তৈরী পণ্য রাজধানীর নিউমার্কেট, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন। ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় হতে এবারের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন তিনি।

নির্বাচনী মাঠ স্বাভাবিক আছে জানিয়ে মানিক দর্জি জানান, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি, কোন ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হইনি।

আগে থেকেই তিনি বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজে জড়িত আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাদরাসা, মসজিদ ও স্কুলসহ নানা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সকল জনগণের সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌছেঁ দিতে সক্ষম হব। নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কথাও জানান।

নির্বাচনী মাঠ নিয়ে অন্যদের কোন অভিযোগ না থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন ২৪ এপ্রিল তার লোকজনের উপর চেয়াম্যান প্রার্থী মানিক দর্জির লোকজন হামলা করেছে এমন অভিযোগ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদের কার্যালয়ে জমা দেন।

গাজী মুক্তার হোসেন বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমার লোকজনের উপর হামলা করা হচ্ছে, আমার বাড়ি ঘরে আক্রমণ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি আইনী ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে বলেন, আমার দরজা জনগণের জন্য সব সময় খোলা থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে জনগণ আমাকে সবসময় কাছে পাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ জানান, মতলব উত্তরে সর্বমোট ৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।


আরও খবর



পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬৩০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ও ২৭ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। চার দিনে ভ‌রি‌তে সোনার দাম কমেছে ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা।


আরও খবর



দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের আকাশে কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামী বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়লা শারমিন গণমাধ্যমকে জানান, সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

পবিত্র ঈদ মুসলমানদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে এবং সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। বিশ্ব মুসলিম একই আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ এ কথা স্মরণ করিয়ে দেয় পবিত্র ঈদ। ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিয়ে রাজা-প্রজা এক কাতারে শামিল করিয়ে দেয় পবিত্র ঈদ। হিংসা বিদ্বেষ ও অহংকারসহ সকল অন্যায় ও পাপাচার মুছে দিয়ে নতুন করে সুখী পবিত্র জীবন যাপন শুরু করার তাগিদ এনে দেয় পবিত্র ঈদ। এবারের পরিবর্তিত সময়ে ঈদের এই শিক্ষা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

এদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ৩০তম রোজা পালন করছে। ওই সব দেশে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করা হবে। তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতেও বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪