সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি
বিবেচনায় শিডিউল করে লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লোডশেডিংয়ের শিডিউলও তৈরি করেছে। কিন্তু লোডশেডিংয়ের
হিসাব মিলছে না। যখন তখন লোডশেডিং হচ্ছে। শিডিউলের বাইরেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং
থাকছে। এতে বিপাকে পড়েছেন মানুষজন।
খোঁজ নিয়ে জানা
গেছে, মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকাগুলোতে লোডশেডিং
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকছে। বিশেষ করে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এলাকায়
লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। তবে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা সদর ও ছয়টি উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ
সরবরাহকারী সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের এলাকায়
অপেক্ষাকৃত কম লোডশেডিং হচ্ছে।
নেসকো সূত্র বলছে,
মঙ্গলবার রাত ৯টায় তাদের চাহিদা ছিল ৪৭৮ মেগাওয়াট। সরবরাহ ছিল ৩৯১ মেগাওয়াট। ঘাটতি
ছিল ৮৭ মেগাওয়াট। এজন্য গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪ ঘণ্টারও বেশি লোডশেডিং দিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে নেসকোর
রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, চার-পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং দিলেও বৃষ্টি
না হলে হয়তো এ অবস্থার উন্নতি হবে না। বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমলে এসির ব্যবহার কমবে।
তখন বিদ্যুতের চাহিদা কমবে।
রাজশাহী পল্লী
বিদ্যুৎ সমিতির অধীন জেলার তানোর, গোদাগাড়ী, পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর বাঘা ও চারঘাট
উপজেলা রয়েছে। এসব এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১২ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ ছিল না।
এ বিষয়ে রাজশাহী
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. একরামুল হক বলেন, চাহিদার থেকে সরবরাহ
কম থাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমাদের কিছুই করার নেই।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের পাশাপাশি সব শ্রেণিপেশার মানুষকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে। এজন্য নিজের ঘরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার কমাতে হবে। আমরা যে এসি ব্যবহার করি এর তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নিচে নামানো যাবে না। বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যে আলোকসজ্জা হয়, এগুলো করা যাবে না।