আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

যেভাবে ক্ষমতার শিখরে সি চিন পিং

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০১২ সালে সি চিন পিং যখন ক্ষমতায় এলেন তখন পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলেছিলেন, চীনের ইতিহাসে তিনিই কমিউনিস্ট পার্টির সবচেয়ে উদার নেতা হবেন। চিন পিংয়ের খুব সংক্ষিপ্ত জীবনকথা, পারিবারিক ইতিহাস এবং সম্ভবত কিছুটা ভ্রান্ত আশার ভিত্তিতে তারা ওই অনুমান করেছিলেন। ১০ বছর পর পর্যবেক্ষকদের ওই পূর্বাভাস ছেঁড়া কাগজের মতো বাতাসে উড়ে গেছে। এবারের চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ২০তম সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট চিন পিং নিজের ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করতে চলেছেন। এতে করে তিনি মাও সে তুংয়ের পর দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর শাসক হতে যাচ্ছেন। এমন একজন নেতাকে বোঝা যে কতটা কঠিন, সেটা তাকে নিয়ে পর্যবেক্ষকদের পূর্বানুমানের ব্যর্থতায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

চিন পিং এতদিনে সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের উচ্চাভিলাষ পূরণে তিনি কতটা নির্মম আর ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রতি কতটা অসহিষ্ণু হতে পারেন। তার আধিপত্য বিস্তারের লিপ্সা চীনের আধুনিক সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছাপ ফেলেছে। একটা সময় ছিল, যখন তাকে জনসাধারণ একজন তারকা সংগীতশিল্পীর স্বামী হিসেবেই চিনত। সে অবস্থান থেকে নিজের কারিশমা আর রাজনৈতিক দক্ষতায় নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে এসেছেন, যা মাও সেতুংয়ের পর আর কারও মধ্যে দেখা যায়নি।

চিন পিংয়ের প্রথম জীবনের রঙিন অধ্যায়ের অনেক কথা বাদ দিয়ে ও নতুন রূপে উত্থাপন করে সিপিসির আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও মূল মানুষটি যেন এখনো রহস্যময়ই রয়ে গেছেন। চিন পিংয়ের জীবনী নিয়ে একটি বইয়ের লেখক আলফ্রেড এল চ্যান এএফপিকে বলেন, শুধু ক্ষমতার স্বার্থে চিন পিং ক্ষমতা ধরে রাখতে লড়াই করেন, প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলন থাকলেও তার সঙ্গে আমি একমত নই। আমি মনে করি, চিন পিং নিজের মতাদর্শ অনুযায়ী ধ্যানধারণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করেন।

চীনা নেতার আরেক জীবনীকার অ্যাড্রিয়ান গেইজেস বলেন, চিনপিংয়ের ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা রয়েছে বলে মনে হয় না। সম্পদের প্রতি চিন পিংয়ের মোহ নেই। তবে চীন সম্পর্কে তার সত্যিকারের একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আর সেটা হলো, তিনি চীনকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসেবে দেখতে চান। সেই দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রে রয়েছে চিন পিংয়ের চীনা স্বপ্ন বা চৈনিক জাতির মহান পুনরুজ্জীবনসি: এ স্টাডি ইন পাওয়ার বইয়ের লেখক কেরি ব্রাউন লিখেছেন, চিন পিং একজন বিশ্বাসী মানুষ। তার জন্য কমিউনিস্ট পার্টিই হলো ঈশ্বর। চিন পিংয়ের বিশ্বাসকে গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়াটাই হলো তার সম্পর্কে বাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল।

সিপিসির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও চিন পিংকে একসময় একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে ধরা হতো না। চীনের বিপ্লবী নায়কদের একজন সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী সি ঝং জুন ছিলেন চিন পিংয়ের বাবা। শৈশব থেকেই বাবার কঠোর অনুশাসনের অধীনে চিন পিং বেড়ে ওঠেন। তবে একটা সময় হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। ঝং জুন তখন মাও সে তুংয়ের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন। আলফ্রেড এল চ্যান বলেন, রাতারাতি যেন চিন পিংয়ের পরিবারের ওপর বিপর্যয় নেমে আসে। তাদের পারিবারিক মর্যাদা মুহূর্তে ধুলায় মিশে যায়। অপমান সইতে না পেরে তার এক সৎবোন তো আত্মহত্যাই করে বসেন। স্কুলের সহপাঠীরা চিন পিংকে দূরে ঠেলে দেন।

রাজনৈতিক বিষয়াদির গবেষক ডেভিড শ্যামবাউগ বলেন, এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই চিন পিংয়ের মধ্যে আবেগ এবং মনস্তাত্ত্বিক বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি এবং কর্তৃত্বপরায়ণতার বোধ তৈরি হয়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে চীনের গ্রামাঞ্চলে চিন পিংকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। বছরের পর বছর গ্রামে ফসল সংগ্রহ করেছেন এবং গুহার ভেতরে ঘুমিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বলেছেন, গ্রামে শ্রমের তীব্রতা আমাকে হতবাক করেছিল। এমনকি তাকে সংগ্রাম অধিবেশনেও অংশ নিতে হয় যেখানে তিনি তার বাবার নিন্দা করতে বাধ্য হন। ১৯৯২ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় চিন পিং ফেলে আসা সেই সব অধিবেশন সম্পর্কে নিজের তিক্ত স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যদি তুমি কিছু বুঝতে না পার, তোমাকে বুঝতে বাধ্য করা হবে। এতে অবশ্য তুমি কম বয়সেই জীবন সম্পর্কে পরিপক্ব হবে। জীবনীকার আলফ্রেড এল চ্যানও মনে করেন, অল্প বয়সের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে চিন পিংয়ের মধ্যে কঠোর মনোভাব গড়ে উঠেছে।

পারিবারিক কলঙ্কের কারণে চিন পিং শুরুর দিকে সিপিসির সদস্যপদ পেয়ে প্রবল বাধার মুখে পড়েন। তাকে সবাই অবমূল্যায়ন করত। তার সদস্যপদের আবেদন একাধিকবার বাতিল করে দেয়া হয়। অনেকবার চেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত তার আবেদন গৃহীত হয়। একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনীতি শুরু করেন চিন পিং। তিনি ১৯৭৪ সালে একটি গ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন। সেখানে থেকে রাজনীতির সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি উপকূলীয় ফুজান প্রদেশের গর্ভনর হন। ২০০২ সালে ঝেজিয়াং প্রদেশের এবং ২০০৭ সালে সাংহাইয়ের নেতা হন।

প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১৯৮৭ সালে তারকা সংগীতশিল্পী পেং লিয়ুয়ানকে বিয়ে করেন চিনপিং। তখন লিয়ুয়ান অনেক বেশি পরিচিত ছিলেন। জীবনীকার অ্যাড্রিয়ান গেইজেস বলেন, রাজনৈতিক যাত্রায় চিন পিং খুবই নিয়মতান্ত্রিক পথে চলেছেন। একেবারে তৃণমূলের গ্রামের নেতা থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে উচ্চশিখরে নিয়ে গেছেন। ২০০৭ সালে তিনি পলিট ব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির (স্থায়ী কমিটি) সদস্য হন। এটি কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ। এর পাঁচ বছর পরই তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে চিন পিং এখন অন্যতম ক্ষমতাধর বিশ্বনেতা হয়ে উঠেছেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের হালিশহর আর্টিলারি সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার সকালে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন এই স্থাপনা উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দরবার করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা ৭৫ জন বাঙালি এবং বেসামরিক কিছু যোদ্ধা নিয়ে ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই ত্রিপুরার কোনাবনে গঠিত হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি। এই ফিল্ড ব্যাটারি দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত মান্দাবাগ বাজার, সালদা নদী, কসবা, আখাউড়া সিংগাইর বিল, ফেনী ও চট্টগ্রাম অভিমুখে পরিচালিত বিভিন্ন অপারেশনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই বাংলাদেশের প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি নামকরণ করা হয়।

রোববার আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বাড়াতে এবং মুক্তিযুদ্ধে এই ব্যাটারির অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের হালিশহরে এই কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ফলক উন্মোচনের পর তিনি ঊর্ধ্বতন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রামের মেয়র এবং সেনাপ্রধানকে নিয়ে মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর তিনি কমপ্লেক্সের ভেতর আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। জাদুঘরে এই আর্টিলারির মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং তারপরের বিভিন্ন স্মারক রাখা হয়েছে।


আরও খবর



কুকি-চিন আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ৩ ব্যাংকে ডাকাতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ইদানিংকালে আমরা দেখছি কুকি-চিন আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশ ও বিজিবি অভিযান শুরু করেছে। প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীও অভিযানে যোগ দেবে।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রুমাতে সাবস্টেশন বন্ধ করে তারা সোনালী ব্যাংকে যায়। সেইসময় পুলিশ এবং শৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা ছিল তারা তারাবির নামাজ পড়ছিল। আজকে থানচিতে কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকেও তারা চেষ্টা করেছে। এটা প্রতিরোধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব বিষয় দেখা হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কুকি-চিনের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিজিবি অভিযান চলছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও যোগ দেবে।

এরআগে মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ব্যাংকটির ম্যানেজারকেও তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ১৬ ঘণ্টা পর আজ বুধবার বেলা ১টার দিকে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়।


আরও খবর



শেষ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় গতকাল যানবাহনের ঢল থাকলেও আজ অনেকটাই চাপশূন্য ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে এই পথে যানবাহনের ক্রমাগত উপস্থিতি থাকলেও নেই কোনো জট কিংবা গাড়ির সারি। এতে অনেকটাই ভোগান্তিহীন স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

সকালে দেখা যায়, মাওয়া টোলপ্লাজায় ৭টি বুথের মধ্যে ৬টি দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন পাড়ি দিচ্ছে সেতু। মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে অপর একটি নির্ধারিত টোলবুথ। টোলপ্লাজায় আসা মোটরসাইকেল পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে টোল প্রদান করে সেতুতে উঠছে। তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ছাড়া উঠতে দেওয়া হচ্ছে না সেতুতে।

গাড়ির উপস্থিতি তেমন না থাকায় টোল প্রদানে খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে। মূলত এতদিন ছুটি না পাওয়া ও নানা কারণে রাজধানীতে থেকে যাওয়া মানুষরাই মূলত এখন বাড়ি ফিরছে। শেষ সময়ে জট কম থাকে এমন অভিজ্ঞতা থেকেও এখন বাড়ি ফেরার কথা বলেছেন যাত্রীরা।

খুলনাগামী যাত্রী শাহিন রেজা জানান, গতকাল জেনেছিলাম পথে অনেক যানজট, তাই রওনা হইনি। আজ ফজরের নামাজ পড়েই রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ পথে কোনো যানজট পাইনি। সুন্দর সড়কের কারণে স্বল্প সময়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যেতে পারছি।

আরেক যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, বেসরকারি একটি কোম্পানিতে কাজ করি। ছুটি পাইছি গতকালকে। কিন্তু যেতে পারি নাই, তাই আজ বাসায় যাচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে একটা দিন অন্তত আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে। সকাল সকাল রওনা হয়েছি যেন ভোগান্তিতে না পড়ি, এসে দেখলাম রাস্তা আজ অনেকটাই ফাঁকা।

এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আয় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। যা একদিনে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতু কর্তৃপক্ষ ও ট্রাকিফ পুলিশের কাজ করার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



নারী শিল্পীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন নায়িকা রত্না

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শেষ হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নতুন মেয়াদের সভাপতি পদে মিশা সওদাগর (২৬৫) ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫) ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন আলেকজান্ডার বো। মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে তিনি ২৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আলেকজান্ডারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ ভোট পেয়েছেন সভাপতি পদে জয়ী মিশা সওদাগর।

সর্বোচ্চ ভোটের হিসেবে তৃতীয় হয়েছেন ইতিহাস খ্যাত নায়িকা রত্না কবির। তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট। নারী প্রার্থীদের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রত্না বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সবাই আমাকে এত ভালোবাসেন, আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় শিল্পীদের পাশে থেকে কাজ করব আমি।

প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতক এবং একই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা চিত্রনায়িকা রত্নার ঢালিউড চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ার। ২০০২ সালে প্রথম কেন ভালোবাসলাম ছবির মধ্য দিয়ে এ জগতে নাম লেখান এ নায়িকা। একটা সময়ে নিয়মিত অভিনয় করলেও পরে কমিয়ে দেন অভিনয়। প্রায় অর্ধশত ছবির এই নায়িকা ২০০২ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রথম ছবিতে অভিনয় করেন। তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। সেই শুরু।

দশম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময় তার হাতে আসে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ইতিহাস ছবির কাজ। এ ছবিতে কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। রাতারাতি খ্যাতি এনে দেওয়া এ ছবির কল্যাণে এ ঢালিউড নায়িকার হাতে একাধিক ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে। এরপর একে একে কাজ করেছেন ধোঁকা, মরণ নিয়ে খেলা, নষ্ট, পড়ে না চোখের পলক, সন্তান আমার অহংকার, মন যেখানে হৃদয় সেখানে, সন্তানের মতো সন্তানসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবিতে।

অভিনয়ের পাশাপাশি তামান্না ফিল্মস নামে প্রযোজনা সংস্থাও গড়ে তুলেছিলেন রত্না। তবে ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকতে হঠাৎ করেই আড়ালে চলে যান তিনি। তখন থেকে অনিয়মিত দেখা যায় তাকে।

শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আবারও চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার কথা ভাবছেন রত্না। তার ভাষ্য, শিল্পীরা আমাকে ভালোবাসেন। সেই প্রমাণ ব্যালট বক্সে তারা দিয়েছেন। এবার আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই। চলচ্চিত্রে নিয়মিত থাকতে চাই।


আরও খবর



ভোক্তাপর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ দফায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ১ হাজার ৪৮২ টাকা থেকে ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বুধবার (৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ দর ঘোষণা করে সংস্থাটি, যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৭৪ টাকা থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।


আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪