আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

যেসব কারণে রোজা ভাঙ্গে না

প্রকাশিত:সোমবার ১০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম রোজা। ইমান, নামাজ ও জাকাতের পরই রোজার স্থান। আরবি ভাষায় রোজাকে সাওম বলা হয়। যার আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। কিন্তু অনেকেই জানে না কী কী কারণে রোজা ভেঙে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়।

সুতরাং এসব বিষয়ে রোজাদারদের অবগত হওয়া জরুরি।

যেসব বিষয় রোজা ভঙ্গের কারণ নয়:

০১. অনিচ্ছাকৃত গলার ভেতর ধুলা-বালি, ধোঁয়া অথবা মশা-মাছি প্রবেশ করা।

০২. অনিচ্ছাকৃত কানে পানি প্রবেশ করা।

০৩. অনিচ্ছাকৃত বমি আসা অথবা ইচ্ছাকৃত অল্প পরিমাণ বমি করা (মুখ ভরে নয়)।

০৪. বমি আসার পর নিজে নিজেই ফিরে যাওয়া।

০৫. চোখে ওষুধ বা সুরমা ব্যবহার করা।

০৬. ইনজেকশন নেয়া।

০৭. ভুলক্রমে পানাহার করা।

০৮. সুগন্ধি ব্যবহার করা বা অন্য কিছুর ঘ্রাণ নেয়া।

০৯. নিজ মুখের থুথু, কফ ইত্যাদি গলাধঃকরণ করা।

১০. শরীর ও মাথায় তেল ব্যবহার করা।

১১. ঠাণ্ডার জন্য গোসল করা।

১২. মিসওয়াক করা। যদিও মিসওয়াক করার দরুন দাঁত থেকে রক্ত বের হয়। তবে শর্ত হলো গলার ভেতর না পৌঁছানো।

১৩. ঘুমের মাঝে স্বপ্নদোষ হলে।

১৪. স্ত্রীলোকের দিকে তাকানোর কারণে কোনো কসরত ছাড়া বীর্যপাত হলে।

১৫. স্ত্রীকে চুম্বন করলে, যদি বীর্যপাত না হয় (রোজা না ভাঙলেও এটা রোজার উদ্দেশ্যের পরিপন্থী)।

১৬. দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা গোশত খেয়ে ফেললে (যদি পরিমাণে কম হয়), পরিমাণ বেশি হলে রোজা ভেঙে যাবে।

এবার কোরআন-হাদিসের আলোকে বিষয়গুলো অনুধাবনের চেষ্টা করা যাক। মনে রাখা দরকার যে, রোজা ভঙ্গ হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে-

আরও পড়ুন:  ইফতারের সময় করণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দোয়া

১. রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা

যদি না জেনে রোজা ভঙ্গকারী কোনো একটিতে লিপ্ত হয়, তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না। কারণ আল্লাহতায়ালা সূরা বাকারায় বলেন-

হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পাকড়াও করবেন না, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা কোনো ভুল করে বসি। -সূরা বাকারা : ২৮৬

তখন আল্লাহতায়ালা বললেন, অবশ্যই আমি তা কবুল করেছি। অন্য আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, আর তোমরা ভুলে যা কর, তাতে কোনো অপরাধ নেই। অবশ্য ইচ্ছাপূর্বক তোমাদের হৃদয় যা করছে তার ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু। -সূরা আহজাব : ৫

না জানার কারণে রোজা না ভাঙ্গার বিষয়টি ব্যাপক, হতে পারে সে শরিয়তের হুকুম সম্পর্কে অজ্ঞ। যেমন, সে ধারণা করে যে এ জিনিসটা রোজা ভাঙ্গবে না, ফলে তা করে বসে। অথবা কাজ করা অবস্থায় বা সময়ে সেটি তার অজানা ছিল। যেমন, সে ধারণা করে যে, ফজর বা সুবহে সাদিক এখনও উদিত হয়নি, ফলে সে পানাহার চালিয়ে যায় অথচ ফজর উদিত হয়ে গেছে। কিংবা সূর্য অস্তমিত হয়ে গেছে মনে করে খেয়ে ফেলল অথচ সূর্য তখনও অস্ত যায়নি। এসব কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না। কারণ সহিহ বোখারিতে হজরত আসমা বিনতে আবি বকর (রা.)-এর হাদিসে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা নবী করিম (সা.)-এর যুগে ইফতার করেছিলাম এক মেঘলা দিনে তারপর সূর্য দেখা গিয়েছিল।

এখানে তিনি উল্লেখ করেননি যে, নবী (সা.) তাদেরকে রোজাটি কাজা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন; কারণ তাদের সময় অজানা ছিল।

২. রোজার কথা স্মরণ থাকা

যদি রোজা পালনকারী নিজ রোজার কথা ভুলে রোজা ভঙ্গকারী কোনো কাজ করে ফেলে তাহলে তার রোজা শুদ্ধ হবে, তাকে আর সেটা কাজা করতে হবে না। যেমনটি সূরা বাকারার আয়াতে গত হয়েছে।   তাছাড়া হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে রোজা পালনকারী ভুলে পানাহার করল, সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে; কেননা আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।

 নবী (সা.) কর্তৃক রোজা পরিপূর্ণ করার নির্দেশ প্রদান সে রোজা সহিহ হওয়ার স্পষ্ট দলিল। আর ভুলে যাওয়া ব্যক্তির খাওয়ানো ও পান করানোর সম্পর্ক আল্লাহর দিকে করা প্রমাণ করে যে এর ওপর কোনো পাকড়াও বা জবাবদিহিতা নেই। কিন্তু যখনই স্মরণ হবে কিংবা কেউ স্মরণ করিয়ে দেবে তখনই: সেটা থেকে বিরত থাকবে এবং মুখে কিছু থাক লে তাও নিক্ষেপ করবে; কারণ এখন তার ওযর দূরীভূত হয়েছে।

৩. স্বতঃস্ফূর্তভাবে রোজা ভঙ্গ করা

রোজা ভঙ্গকারী নিজের পছন্দ ও ইচ্ছা অনুযায়ী যদি রোজা ভঙ্গকারী কিছু করে তবেই কেবল তার রোজা নষ্ট হবে। অন্যথায় যদি রোজা পালনকারীকে জোর-জবরদস্তি করে রোজা ভঙ্গ করানো হয় তবে তার রোজা বিশুদ্ধ হবে, তার আর সেটা কাজা করা লাগবে না। কারণ, আল্লাহতায়লা কুফুরির হুকুমকে সে ব্যক্তি থেকে উঠিয়ে নিয়েছেন যাকে কুফুরি করতে জোর করে বাধ্য করা হয়েছে, যখন তার অন্তর ঈমানের ওপর অটল থাকে। আল্লাহতায়ালা বলেন, কেউ তার ঈমান আনার পর আল্লাহর সঙ্গে কুফরি করলে এবং কুফরির জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার ওপর আপতিত হবে আল্লাহর গজব এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি; তবে তার জন্য নয়, যাকে কুফরির জন্য বাধ্য করা হয় কিন্তু তার চিত্ত ঈমানে অবিচলিত। -সূরা আন নাহল : ১০৬

সুতরাং যদি আল্লাহতায়ালা জোর-জবরদস্তি ও বাধ্য করার কারণে কুফরির হুকুমও তুলে দিয়েছেন তাহলে কুফরির চেয়ে ছোট অপরাধ তো উঠে যাবেই। অনুরূপভাবে রাসূল সা. বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি এবং বাধ্য হয়ে করা বিষয় ক্ষমা করেছেন।

আরও পড়ুন : রোজা সংক্রান্ত নিয়মাবলী ও মাসয়ালা

 মাসয়ালা : যদি কোনো লোক তার স্ত্রীকে সহবাস করতে বাধ্য করে অথচ সে রোজা পালনকারিনী, তাহলে মহিলার রোজা শুদ্ধ হবে। তাকে সেটার কোনো কাজা করতে হবে না। যদিও লোকটির জন্য বৈধ নয় স্ত্রীকে রোজা অবস্থায় সহবাসে বাধ্য করা। হ্যাঁ, যদি কোনো মহিলা তার স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত নফল রোজা পালন করে সেটা ভিন্ন কথা। ‍ৎ

মাসয়ালা : চোখে ওষুধ-সুরমা ইত্যাদি লাগালে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। হজরত আনাস (রা.) রোজা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন। -আবু দাউদ ১/৩২৩

মাসয়ালা : রাত্রে স্ত্রী সহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হলে সুবহে সাদিকের আগে গোসল করতে না পারলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে কোনো ওযর ছাড়া, বিশেষত রোজার হালতে দীর্ঘ সময় অপবিত্র থাকা অনুচিত।

মাসয়লা : বীর্যপাত ঘটা বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া জায়েয। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে তরুণদের যেহেতু এ আশঙ্কা থাকে তাই তাদের বেঁচে থাকা উচিত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, আমরা নবী করিম (সা.)-এর নিকটে ছিলাম। ইতোমধ্যে একজন যুবক এল এবং প্রশ্ন করল, আল্লাহর রাসূল! আমি কি রোজা অবস্থায় চুম্বন করতে পারি? নবী (সা.) বললেন, না। এরপর এক বৃদ্ধ এল এবং একই প্রশ্ন করল। নবী (সা.) বললেন, হাঁ। আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী (সা.) বললেন, আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোন, বৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। -মুসনাদে আহমদ ২/১৮০, ২৫০

মাসয়ালা : অনিচ্ছাকৃত বমি হলে (এমনকি মুখ ভরে হলেও) রোজা ভাঙ্গবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজেই ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙ্গবে না। বলা হয়েছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোজা কাজা করতে হবে না। -জামে তিরমিজি: ১/১৫৩, হাদিস : ৭২০

মাসয়ালা : শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করলে রোজা ভাঙ্গবে না। হজরত কাতাদা (রা.) বলেন, রোজাদারের তেল ব্যবহার করা উচিত, যাতে রোজার কারণে সৃষ্ট ফ্যাকাশে বর্ণ দূর হয়ে যায়। -মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৪/৩১৩

মাসয়ালা : শুধু যৌন চিন্তার কারণে বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে এ কথা বলাই বাহুল্য যে, সব ধরনের কুচিন্তা তো এমনিতেই গুনাহ আর রোজার হালতে তো তা আরো বড় অপরাধ। কামভাবের সঙ্গে কোনো মহিলার দিকে তাকানোর ফলে কোনো ক্রিয়া-কর্ম ছাড়াই বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে রোজা অবস্থায় স্ত্রীর দিকেও এমন দৃষ্টি দেওয়া অনুচিত। আর অপাত্রে কু-দৃষ্টি তো কবিরা গুনাহ। যা রোজা অবস্থায় আরো ভয়াবহ। এতে রোজাদার রোজার ফজিলত ও বরকত থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। হজরত জাবের ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সঙ্গে তাকিয়েছে। ফলে তার বীর্যপাত ঘটেছে তার রোজা কি ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, না। সে রোজা পূর্ণ করবে। সহিহ বোখারি : ১/২৫৮

মাসয়ালা : মশা-মাছি, কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃত পেটের ভেতর ঢুকে গেলেও রোজা ভাঙ্গবে না।   ধোঁয়া বা ধুলোবালি অনিচ্ছাকৃতভাবে গলা বা পেটের ভেতর ঢুকে গেলে রোজা ভাঙ্গবে না। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, কারো গলায় মাছি ঢুকে গেলে রোজা ভাঙ্গবে না। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৬/৩৪৯

আরও পড়ুন : রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

মাসয়ালা : স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গে না। -সুনানে কুবরা বায়হাকি: ৪/২৬৪

মাসয়ালা : চোখের দুএক ফোটা পানি মুখে চলে গেলে রোজার ক্ষতি হয় না। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রোজা অবস্থায় সিরকা অথবা অন্য কোনো বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করলে যদি তা গলার ভেতর না যায় তাহলে রোজা ভাঙ্গে না। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৬/২০২

মাসয়ালা : সুস্থ অবস্থায় রোজার নিয়ত করার পর যদি অজ্ঞান, অচেতন বা পাগল হয়ে যায় তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। হজরত নাফে (রহ.) বলেন, হজরত ইবনে ওমর (রা.) নফল রোজা অবস্থায় বেহুশ হয়ে যেতেন কিন্তু এ কারণে রোজা ভেঙ্গে ফেলতেন না। -সুনানে কুবরা বায়হাকি: ৪/২৩৫

মাসয়ালা : চোখে সুরমা ও ড্রপ ব্যবহার করলে। -রদ্দুল মুহতার : ৭/৩৭৯৫; ফাতহুল কাদির : ৪/৩২৭; জাওয়াহিরুল ফাতাওয়া : ১/২৬

মাসয়ালা : কোনো ধরনের ইঞ্জেকশন-ইনসুলিন বা টিকা নিলে রোজা ভঙ্গ হয় না, এমনকি গ্লুকোজ ইঞ্জেকশানের দ্বারাও রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। -ফাতাওয়া উসমানি : ২/১৮৬


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুই জন মারা গেছেন। হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও চার জন। হিট স্ট্রোকে যে দুজন মারা গেছেন তারা হলেন- ওমর আলী (৬৫) ও আব্দুল বাতেন মাঝি (৬০)। তাদের দুই জনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায়।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওমর আলীকে আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এবং আব্দুল বাতেন মাঝিকে সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।

ওমর আলী চরকিশোরগঞ্জের বাবু হাজারীর ছেলে এবং আব্দুল বাতেন মাঝি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মানিকপুরের ওলিউল্লা মাস্টারের ছেলে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, সকালে ওমর আলী মাঠে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর আব্দুল বাতেন মাঝি বাজার এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের দুজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ ছিল।

তিনি আরও বলেন, আরও চার জনকে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং একজনকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।'


আরও খবর



দুবাই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছালো এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রফিক এ তথ্য জানিয়েছে।

মেরিন ট্রফিক ডটকম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ ওমান সাগর পাড়ি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমালিয় দস্যুরা গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়। এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এরপরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জাহাজটি ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করছে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে চট্টগ্রামভিত্তিক কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি জিম্মি করা হয়েছিল। এতে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হন জাহাজের ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।


আরও খবর



ঈদের দিন থাকবে ঝকঝকে, নেই বৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে আজ দিনের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক। রাতের তাপমাত্রাও থকবে প্রায় একই। আজকের মতো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদের দিনেও আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকতে পারে। আশঙ্কা নেই বৃষ্টিপাতের। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস এমনটাই বলছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় আজকের মতোই অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে ওইদিন রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে ঈদের পরের দিন শুক্রবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থকে ২ ডিগ্রি বেড়ে যেতে পারে। সে. বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়া আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এ সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রসঙ্গত, আজ চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ কিছু জায়গায় কমে আসতে পারে।


আরও খবর



রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে কার্গোজাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ২

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা প্রতিনিধি

Image

খুলনার রূপসা নদীতে রূপসা রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সার বোঝাই একটি কার্গোজাহাজ ডুবে গেছে। এতে কার্গোজাহাজের ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কার্গোজাহাজের মাস্টার মো. শহীদুল্লাহ জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গোজাহাজটি রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। এতে দ্রুত কার্গোজাহাজটি ডুবে যায়। কার্গোজাহাজে থাকা ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। কার্গোর বাবুর্চি কালাম ও গ্রিজার শাকায়েত নিখোঁজ হয়।

তিনি আরও জানান, এমভি থ্রি লাইট-১ নামের কার্গোজাহাজে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ১ হাজার ১৪০ টন টিএসপি সার বোঝাই করে নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, রূপসা থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পৃথক তিনটি টিম নৌযান নিয়ে রূপসা নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। নদীতে জোয়ার থাকায় ডুবে যাওয়া কার্গোজাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। এছাড়া তল্লাশি চালিয়ে নিখোঁজ ২ জনের সন্ধান মেলেনি।

রূপসা নৌ-পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম শেখ জানান, তারা ডুবে যাওয়া জাহাজটি শনাক্ত এবং নিখোঁজ ২ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।


আরও খবর



মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা সৌদি বাদশা ও যুবরাজের

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মঙ্গলবার অডিও বার্তা পাঠিয়ে তারা এই শুভেচ্ছা জানান বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের আগ্রহ থেকে এসব অডিও পাঠানো হয়েছে। বার্তায় সৌদি বাদশা ও যুবরাজ মুসলিম বিশ্বের আরও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশা জানিয়েছেন।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন মুসলিম দেশের নেতাদের কাছ থেকেও শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন সৌদি আরবের নেতারা।


আরও খবর