আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

যে তিন উপায়ে শেষ হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অনেকে বলেছিলেন, আট মাস পর ইউক্রেন রাশিয়াকে পরাজিত করতে সক্ষম হবে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে অন্তত ৮০ হাজার রুশ সৈন্য নিহত বা আহত হবেন। এমনকি, কৃষ্ণ সাগরে নোঙর করা রুশ যুদ্ধ জাহাজগুলো ধ্বংস হয়ে সমুদ্রের তলদেশে চলে যাবে ও ইউক্রেনের আকাশে তাদের বিমানগুলো স্বাধীনভাবে উড়তে থাকবে।

সেসময় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বাঘা বাঘা সদস্য নিরাপত্তা ও যুদ্ধ বিশ্লেকদের এমন অনুমান উপহাস করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, যুদ্ধের এখন যে পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে, ইউক্রেন ওইসব তাচ্ছিল্যের জবাবটা ভালোভাবেই দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সহযোগিতায় ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশটি যুদ্ধক্ষেত্রে এমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে যে, পুতিন প্রশাসনের জন্য যুদ্ধে জয়লাভ করাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে শীত যতই ঘনীভূত হচ্ছে, রাশিয়াও যেন ততটাই প্রচ্ছন্ন ও সক্রিয় হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে কীভাবে এ যুদ্ধের অবসান ঘটতে পারে, সে সম্পর্কে তিনটি ধারণা দিয়েছে বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রথমত এমন হতে পারে- শীতের সুযোগ নিয়ে নিজেদের ফ্রন্ট লাইনগুলোকে আরও স্থিতিশীল ও নতুন করে সেনাসদস্য সংগ্রহ করবে রাশিয়া। এরপরে সর্বশক্তি দিয়ে ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে পরাজয়ের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনবে রাশিয়া।

এক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হতে পারে, যুদ্ধ যদি চলতেই থাকে, তাহলে সামনের বছরের শুরু থেকে মাঝামাঝির আগেই ইউক্রেনের জন্য ইউরোপের সব বরাদ্দ শেষ হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রও ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নতুন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে, কারণ বাইডেন প্রশাসন এককভাবে যুদ্ধের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ভাঙতে চাইবে না। এমনটি হলে রাশিয়ার জন্য জয়লাভ করাটা খুব সহজ হয়ে যাবে। আবার বসন্তের শুরুতে রুশ সেনাবাহিনীর নতুন ইউনিটগুলো ইউক্রেনে তীব্র আক্রমণ শুরু করবে। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রুশ অধিকৃত জায়গাগুলো সরে যেতে বাধ্য হবে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

এরই মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। এ সুযোগে কিইভের ওপর পুরোপুরি কর্তৃত্ব বিস্তার করতে সৈন্যসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন অস্ত্রের উৎপাদনও বাড়াবে রাশিয়া। একপর্যায়ে খেরসনের প্রধান শিল্প শহর ক্রিভি রিহ, দোনেতস্কের স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামতোর্স্ক দখল করে নেবে পুতিন বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আহ্বান জানাবে। তখন জেলেনস্কির কাছে ইউরোপীয়দের আহ্বানে সাড়া দেওয়া না ছাড়া, আর কোনো উপায় থাকবে না।

দ্বিতীয় দৃশ্যকল্প হতে পারে, অচলাবস্থা। রাশিয়া কয়েক হাজার যুবককে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কার্যকর যোদ্ধায় পরিণত করতে পারেনি। তাছাড়া অধিকাংশ চৌকশ রুশ সামরিক প্রশিক্ষক ও অভিজ্ঞ সেনা কর্মকর্তা যুদ্ধক্ষেত্রে নিযুক্ত রয়েছেন। এমতাবস্থায় সাঁজোয়া যানের অভাবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তরুণ সেনারা হালকা-পদাতিক ইউনিটে পরিণত হয়েছেন। তাদের দিয়ে হয়তো কোনো সামরিক ব্যারাকে সৈন্যের অভাব পূরণ ও পরিখা খনন করা সম্ভব হবে, কিন্তু সম্মুখ যুদ্ধে তারা উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন না। এ বছরের নভেম্বরে খেরসন থেকে ঘোষণা দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার সেনা প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। অবস্থা এতটাই বেগতিক ছিল যে, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ রেখেই পিছু হটতে বাধ্য হন রুশ সেনারা।

অনেকে বলছেন, যুদ্ধে জয়ী হতে না পেরে পুতিন প্রশাসন ইউক্রেনের অর্থনীতিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তাছাড়া বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনীয় নাগরিক ও সেনাদের মনোবল নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপরও খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না ক্রেমলিন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন ও এর মিত্রদের দুর্বল করে তুলতে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত বা স্থিতিবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করবেন। অনেকের দাবি, পুতিন এ যুদ্ধ ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিয়ে যাবেন।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ডোলান্ড ট্রাম্প পুনরায় হোয়াইট হাউজে ফিরবেন ও ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করে দেবেন- এমন আশায় পুতিন এ যুদ্ধ ২০২৪ সাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবেন। তৃতীয় দৃশ্যকল্পটি একই সঙ্গে সবচেয়ে উৎসাহজনক ও বিপজ্জনক। সেটি হলো, বসন্তে জেলেনস্কি তার সেনাবাহিনীকে জাপোরিঝিয়ায় একটি নতুন ফ্রন্ট খোলার নির্দেশ দেবেন। গ্রীষ্ম নাগাদ ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাঁচটি ব্রিগেড পুরো মারিওপোল ঘিরে ফেলবে ও রুশ সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করবে।

এদিকে, ইউক্রেন তার হিমার্স রকেট লঞ্চারগুলোকে দক্ষিণাঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ার বন্দর, ঘাঁটি ও ডিপো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। এমনকি, উপদ্বীপে প্রবেশেরও হুমকি দিয়েছে ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতিতে পুতিনের জন্য দুটি পথ খোলা থাকবে। হয় যুদ্ধ বন্ধ করা, না হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা। কিন্তু বৈশ্বিক চাপের কথা মাথায় রেখে পুতিন প্রশাসন পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে না। সুতরাং, ঝুঁকি সত্ত্বেও ইউক্রেন জয়ী হবে।


আরও খবর



ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ডিবির কার্যালয়ে আসেন তিনি। ডিবি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে ডিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।

তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে (মানসিক রোগী) পরিণত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত মানবতার ফেরওয়ালা কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস, কীভাবে আসে, কীভাবে তিনি দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতেন এবং কেনই-বা তাদের টর্চার সেলে এনে পেটাতেন, সবকিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন, তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন, তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

এর আগে গত বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ।

পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত।

সম্প্রতি, কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।


আরও খবর



ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাস্থ বরিশালের আইনজীবীদের বৃহত্তম সংগঠন বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠনতন্ত্রের ১২ ধারা অনুযায়ী উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি, অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাদা ২০২৪-২০২৭ তিন বছরের জন্য ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি কমিটির অনুমোদন করেন।

কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মাগফুর রহমান শেখ ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খানকে।

এছাড়া কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ সভাপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন, এ কে এম আক্তার হোসেন, মোসাম্মৎ সুরাইয়া বেগম, জাকির হোসেন সরদার, মো. নাসির উদ্দিন, এম এ হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল হাওলাদার, মো. আসাদুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ মো. আল-আমিন রিজভী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আল আমিন, মো. আল-কুদরত এ্যাপোলো, পারভেজ হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিজান, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুর হমান বাদল,  সৈয়দ বশির হোসেন চৌধুরী, মো. সাইদুর রহমান মাঈনুল,  নাসরিন হেনা, শ্যামল কুমার রায়, এম, মান্নান (মান্না), আইন সম্পাদক ব্যারিষ্টার শেখ তানভীর করিম রাসেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার সানিয়ান রহমান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সরদার মো. খলিলুর রহমান, সমাজ সেবা সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, আবাসন সম্পাদক মো. জাফর আহম্মেদ, তথ্য সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, ক্রিড়া সম্পাদক সৈয়দ ইউনুস আলী রবি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নার্গিস পারভীন এলিজা, প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল (বাচ্চু), দপ্তর সম্পাদক  মো. রুবেল আল মামুন, নির্বাহী সদস্য মো. নুরুল ইমান বাবুল, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আকবর হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মোসা. মৌসুমী আক্তার, ফাতিমা আক্তার, মো. মাজহারুল আনোয়ার উজ্জ্বল, এরশাদুল কাওছার, হাফিজ আল মামুন, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা জুই, মেহেদী মিলন, নুরুল ইসলাম সজিব এবং ৬ জেলার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন : মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কেউ নন বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির অফিসে তার জন্য নির্ধারিত কোনও বসার জায়গাও নেই বলে জানান তিনি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের নিয়োগ ও বেতন ভাতা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন যাবত চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে অনেকে বলছেন সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। হিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কোম্পানি অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক) থেকে। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে। চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দেবে কিন্তু সরাসরি কাজ করবে না।

মেয়র আতিক বলেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের সাজেশন (পরামর্শ) দেবে। কাজ কিন্তু আমাদের সকলকে করতে হবে। হিট অফিসার কোনও কাজ করবে না। সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। আমি আগেও বলেছি, সিটি করপোরেশনে তার কোনও বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনও চেয়ারও নেই।

তিনি বলেন, তারা বিশ্বের ৭টি দেশে নারী হিট অফিসার নিয়োগ করেছেন। আমি তাদের বলেছিলাম নারী কেন নিয়োগ করেছে, তারা বলেছে, নারীরা গরমের অনুভবটা বেশি করতে পারে। এ জন্যই তারা নারী হিট অফিসারদের নিয়োগ করেছে।


আরও খবর



প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় গ্রুপের (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরীক্ষায় মোট ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ২৯ মার্চ ২০২৪ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সফরের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বাংলাদেশ ও কাতারের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) সই হবে।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

জানা গেছে, আমিরের সফরে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন।

সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

এদিন বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে কাতারের আমির সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হবে। এ ব্যাপারে গত ২১ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।

২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম ঢাকায় সফরে এলেন কাতারের কোনো আমির।


আরও খবর