আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

যে কারণে ভেঙে দেওয়া হলো হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
গ্রেফতার নেতাদের মধ্যে রয়েছেন-সংগঠনটির বিলুপ্ত কমিটির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা আহমদ আবদুল কাদের, জোয়ায়েদ আল হাবীব ও মামুনুল হক। যুগ্ম মহাসচিব-সহকারী মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকীয় পর্যায়ের বহু নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে

নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।  গত বছরের ১৫ নভেম্বর কমিটি ঘোষণার ৫ মাসের মধ্যেই ভেঙে দেওয়া হলো এই কমিটি।  এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন, হেফাজতে ইসলামের নেতারা জনসভা-ওয়াজ মাহফিলে রাজা উজিড় মারার কথা বললেও সরকারের ধর-পাকড়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছেন। কেউ বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপাতত কিছুদিন চুপচাপ থেকে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তারা আবারও সক্রিয় হবেন রাজনীতিতে।  যেমনটি ঘটেছিল ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে সহিংস ঘটনাপ্রবাহের পর।

মূলত ৩ টি কারণে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রথমত: গ্রেফতার, মামলা ও ধরপাকড় এড়াতে। দ্বিতীয়ত: চাপে পড়ে অনেক নেতা পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন। দলে ভাঙন ঠেকাতে জরুরিভিত্তিতে কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা। তৃতীয়ত: কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতের বিক্ষোভে সহিংস ঘটনায় ১৮ জন নিহত হন। এরপর সারাদেশে হেফাজত নেতাদের নামে মামলা হয়। ধরপাকড় শুরু হয় দেশব্যাপী। এ পর্যন্ত হেফাজতের সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির অন্তত দুই ডজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নেতাদের মধ্যে রয়েছেন-সংগঠনটির বিলুপ্ত কমিটির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা আহমদ আবদুল কাদের, জোয়ায়েদ আল হাবীব ও মামুনুল হক।  যুগ্ম মহাসচিব-সহকারী মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকীয় পর্যায়ের বহু নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। দেশব্যাপী হেফাজত নেতাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে সংগঠনটির অভিযোগ। গ্রেফতার নেতাদের পুরোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে।  হেফাজতের কমিটি ধরে ধরে সব নেতাদের গ্রেফতারের আশঙ্কা করছেন শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এমন আশঙ্কায় দুদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী আইনশৃংখলা বাহিনীর টার্গেট নেতাদের তালিকা প্রকাশের দাবি করেন।  তাদের সবাইকে নিয়ে কারাগারে যাওয়ার কথা বলেন।

গ্রেফতার ধরপাকড় থেকে নেতাদের বাঁচাতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে।  গত সপ্তাহে হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করেন। সেই প্রতিনিধি দলে মামুনুল হকের ভাই মাহফুজুল হকও ছিলেন। তারা গ্রেফতার বন্ধের দাবি করেন। সেই সঙ্গে সহিংস কোনো কর্মসূচিতে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেন।

এসব তৎপরতার পরও গ্রেফতার, ধরপাকড় কমেনি। দুদিন আগে গ্রেফতার করা হয় হেফাজতের নায়েবে আমির অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদেরকে। দেশব্যাপী থানায় থানায় হেফাজতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলেমদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় হেফাজতের শীর্ষ নেতারা কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যাতে নেতাদের গ্রেফতার থেকে বাঁচাতে পারেন। 

এদিকে ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় হেফাজত থেকে পদত্যাগ করেছেন বেশ কয়েকজন নেতা। আরও অনেকে পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।

গত ১১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের নেতাদের গ্রেফতার শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত চার জনের সংগঠন ত্যাগের খবর পাওয়া গেছে। ১৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমিরের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি ও বাহাদুরপুরের পীর মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান। তার অভিযোগ, আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন দল ও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ সংগঠনে অনুপ্রবেশ করেছে এবং তারা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে হেফাজতে ইসলামকে অত্যন্ত সুকৌশলে ব্যবহার করেছে।

এর আগে মাওলানা বাবুনগরীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন আরেক নায়েবে আমির লালবাগ জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার সদরে মুদাররিস মাওলানা হাবিবুর রহমান।  ২২ এপ্রিল হেফাজতের ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা নাছির উদ্দিন।

মাওলানা নাছির উদ্দিনের পর ২৩ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী।

সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আরও কয়েক নেতা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন। তাদের কেউ জেল-জুলুম থেকে বাঁচতে আবার কেউ আহমদ শফির ছেলে আনাসপন্থী হেফাজতে যোগ দিতে পদত্যাগ করেছেন ও করছেন। এমতাবস্থায় বড় ধরণের ভাঙন ঠেকাতে কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর হেফাজতের ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।  ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফির ছেলে আনাসপন্থীরা। তারা এতদিন চুপচাপ থাকলে সম্প্রতি সরব হয়েছেন। ওই পন্থী আলেমদের অনেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে হেফাজতের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আলেমদের বিভাজন ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও সক্রিয় হবে হেফাজত।

নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতায় হেফাজতের মাঠে নামার পর দেশের কওমী মাদ্রাসার ওপর নজরদারি বেড়েছে।  গোয়েন্দা বলছেন, কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের ঠাল হিসেবে ব্যবহার করছেন হেফাজত নেতারা। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের কার্যক্রম পর্যালোচনার দাবিও উঠেছে। এমতাবস্থায় চাপে পড়েছে কওমী শিক্ষাব্যবস্থা।

রবিবার কমিটি বিলুপ্তির কয়েক ঘণ্টা আগে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের সব ধরনের রাজনীতি মুক্ত রাখার ঘোষণা দেয় মাদ্রাসাগুলোর নীতি নির্ধারণী বোর্ড আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের স্বার্থ চিন্তা করে এবং সার্বিক বিবেচনায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা।


আরও খবর



আরব সাগর তীরে বাড়ি কিনলেন পূজা হেগড়ে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জন্ম মুম্বাই শহরেই। কিন্তু পরিচিতি, জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তেলুগু ছবিতে কাজ করে। তিনি পূজা হেগড়ে। ভারতীয় সিনেমায় এই প্রজন্মের অভিনেত্রী। বেশ কয়েকটি বড় আয়োজনের ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। রাধে শ্যাম, আলা বৈকুণ্ঠাপুরামুলো, সার্কাস, কিসি কা ভাই কিসি কি জান এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

গ্ল্যামার জগতের তারকা হিসেবে পূজা অভিজাত জীবন যাপন করেন। এবার সেই জীবনে যুক্ত হল নতুন সম্পদ। নিজের জন্মশহর মুম্বাইতেই একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন পূজা। যেটার জন্য ব্যয় করেছেন বিপুল অংকের অর্থ।

এনডিটিভির রিপোর্ট অনুযায়ী, পূজার নতুন এই বাড়ি আরব সাগরের তীরে অবস্থিত। যেখানে বসবাসের জায়গা ৪ হাজার বর্গফুট। মুম্বাইয়ের অন্যতম ব্যয়বহুল এলাকা বান্দ্রায় রয়েছে বাড়িটি। এর জন্য ৪৫ কোটি রুপি ব্যয় করেছেন নায়িকা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৮ কোটি টাকারও বেশি।

পূজা হেগড়ের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে। তার মতে, বাড়িটি থেকে সমুদ্রের অপূর্ব সৌন্দর্য দেখা যায়। এছাড়া ভেতরের নকশায়ও রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। শিগগিরই এই নতুন বাড়িতে উঠবেন নায়িকা।

এদিকে পূজা হেগড়ের হাতে বর্তমানে রয়েছে দেবা নামের একটি ছবির কাজ। যেটা নির্মাণ করছেন রোশান অ্যান্ড্রুস। ছবিতে পূজার সঙ্গে আছেন শহিদ কাপুর। আগামী ১১ অক্টোবর এটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: পূজা হেগড়ে

আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সফরের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বাংলাদেশ ও কাতারের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) সই হবে।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

জানা গেছে, আমিরের সফরে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন।

সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

এদিন বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে কাতারের আমির সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হবে। এ ব্যাপারে গত ২১ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।

২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম ঢাকায় সফরে এলেন কাতারের কোনো আমির।


আরও খবর



কত ভোটে হারলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মাহমুদ কলি-নিপুণ আক্তার প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীর। তবে জয়ের স্বাদ পাননি তিনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সমালোচিত এ নারীর বাক্সে ভোট পড়েছে ১৭০ টি।

এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীর ছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে হেরেছেন সুজাতা আজিম, সঞ্জু জন, স্বপ্না, সাইফ, মো. সাইফুল, মো. ফিরোজ মিয়া, বাদল শেখ, পীরজাদা শহীদুল হারুন, নাদের চৌধুরী, নিরঞ্জন সরকার, নাসরিন, তানভীর তনু, জেসমিন আক্তার, সাদিয়ায় মির্জা, ইউসুফ খান।

নিপুণের হাত ধরে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। সেসময় অভিযোগ উঠেছিল নীতিমালা না মেনে এই তাকে শিল্পী সমিতির সদস্য পদ দিয়েছে সদ্য ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একজন শিল্পীর যে যোগ্যতা লাগে (ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়) তা তার ছিল না। তারপরও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সমিতির সদস্য পদ দেয়া হয়।

নির্বাচনে অংশ নিয়েই হেলেনা জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার গার্মেন্টস কারখানা আছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে, তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদের যে অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি।

সেসময় তার এ মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনা শুরু হয়। বিতর্কিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের সদস্য হওয়ার খবরে নিন্দা জানান শিল্পীরা।


আরও খবর



পটুয়াখালীতে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান মৃধাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান মৃধাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে মনির রহমান মৃধাকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।

উল্লেখ, আগামী ২৮ এপ্রিল পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৫ নং কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মনির রহমান মৃধা।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের হালিশহর আর্টিলারি সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার সকালে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন এই স্থাপনা উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দরবার করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা ৭৫ জন বাঙালি এবং বেসামরিক কিছু যোদ্ধা নিয়ে ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই ত্রিপুরার কোনাবনে গঠিত হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি। এই ফিল্ড ব্যাটারি দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত মান্দাবাগ বাজার, সালদা নদী, কসবা, আখাউড়া সিংগাইর বিল, ফেনী ও চট্টগ্রাম অভিমুখে পরিচালিত বিভিন্ন অপারেশনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই বাংলাদেশের প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি নামকরণ করা হয়।

রোববার আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বাড়াতে এবং মুক্তিযুদ্ধে এই ব্যাটারির অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের হালিশহরে এই কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ফলক উন্মোচনের পর তিনি ঊর্ধ্বতন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রামের মেয়র এবং সেনাপ্রধানকে নিয়ে মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর তিনি কমপ্লেক্সের ভেতর আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। জাদুঘরে এই আর্টিলারির মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং তারপরের বিভিন্ন স্মারক রাখা হয়েছে।


আরও খবর