ইমরান ইবনে হানতান দেখতে অত্যন্ত কালো, বেঁটে ও কদাকার ছিলেন। স্ত্রী ছিল অত্যন্ত সুন্দরী। একদিন ইমরান তার স্ত্রীর নিকট এসে দেখলেন স্ত্রী সাজগোজ করছিলেন। ইমরান তার নিকট গিয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।
স্ত্রী লজ্জিত হয়ে বললেন, কি হলো, এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? মনে হয় আমাকে আজ নতুন করে দেখছো। ইমরান তখন গভীর আবেগে বললেন, এই স্নিগ্ধ সকালে মুক্ত বাতাসে সোনালী রোদের ঝলমলে আলোয় তোমার রূপ যেন শতগুণ বেড়ে গেছে। আমি যে চোখ ফেরাতে পারি না।
স্ত্রী আনন্দিত গলায় বললেন, প্রিয়তম জান্নাতের সু-সংবাদ গ্রহণ করো। তুমি এবং আমি দু’জনই ইনশাল্লাহ জান্নাতি। ইমরান জানতে চাইলেন, কিভাবে বুঝলে? এভাবে যে, তুমি আমার মতো সুশ্রী স্ত্রী পেয়ে শুকরিয়া আদায় করেছো আর আমি তোমার মতো কুশ্রী স্বামী পেয়ে ধৈর্য্য ধারণ করেছি। সবর ও শোকর দু’টোর বিনিময়েই জান্নাত রয়েছে।
শিক্ষা: স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের উচিত একে অপরের সঙ্গে রূপের বড়াই না করা। মহান আল্লাহ যেমন স্বামী বা স্ত্রী কপালে জুটিয়েছেন তাতে শুকরিয়া আদায় করা। তাহলে পরিবার সুখ ও সমৃদ্ধময় হবে। য়ার আখেরাতেও মিলবে উত্তম প্রতিদান।