প্রেশার কুকারে
অনেক তাড়াতাড়ি রান্না হয়। তবে কয়েকটি জিনিস প্রেশারে না রান্না করাই ভাল।
সকালে ঘুম থেকে
উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছে। এ দিকে অফিসে বেরোনোর তাড়াও রয়েছে। এই পরিস্থিতি বেশি কিছু
রান্না করার সময়ও থাকে না। তখন ভরসা প্রেশার কুকার। পেট ভরাতে চটজলদি কিছু একটা বানিয়ে
ফেলতে প্রেশার কুকার ছাড়া উপায় নেই। চাল, ডাল, নুন, তেল, হলুদ একসঙ্গে দিয়ে চাপিয়ে
দিলেই তৈরি হয়ে যায় খিচুড়ি বা ওই জাতীয় বহু পদ। তবে অনেক খাবার আছে যেগুলি প্রেশার
কুকারে রান্না করা একেবারেই ঠিক নয়। এতে সেই খাবারগুলির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
কোন ধরনের খাবার
প্রেশার কুকারে রান্না করবেন না?
১) দুগ্ধজাত খাবার:
দুধ দিয়ে তৈরি
কোনও খাবার প্রেশার কুকারে রান্না না করাই ভাল। প্রেশার কুকারে রান্না করলে তার স্বাদও
ঠিক থাকে না। যাবতীয় পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
২) ডিম:
তাড়াহুড়োয় অনেকেই
ডিম প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নেন। ডিম সেদ্ধ করতে গিয়ে বেশি তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়।
তাই ডিম খোলা পাত্রে সেদ্ধ করাই সবচেয়ে ভাল। এতে ডিম ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। ডিম
সেদ্ধ হল কি না তা বুঝতেও প্রেশার কুকারের চেয়ে বড় কোনও পাত্র ব্যবহার করাই ভাল।
৩) শাকসব্জি:
সব্জির মধ্যে
অনেক পুষ্টিগুণ থাকে। সেই জন্যেই প্রেশার কুকারে রান্না করা উচিত নয়। এতে সব্জিতে থাকা
ভিটামিন, খনিজ, এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। শাকসব্জি সব সময় কড়াইতে রান্না
করাই ভাল। দেরি হলেও স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।
৪) ভাত:
তাড়াতাড়ি হয়ে
যাবে বলে অনেকেই ভাতও প্রেশারে রান্না করেন। প্রেশার কুকারে রান্না করা ভাত শরীরের
পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। প্রেশার কুকারে ভাত রাঁধলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।।
এতে ফ্যান ঝরানো যায় না। ফ্যান ভাতের সঙ্গেই মিশে থাকে। এর ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা
থাকে।
৫) মাছ:
মাছ এমনিতে খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায়। প্রেশারে
মাছ রাঁধলে বেশি সেদ্ধ হয়ে যায়। মাছ বেশি সেদ্ধ হলে স্বাদও চলে যায়। নষ্ট হয়ে যায় পুষ্টিগুণও।
তাই মাছ রান্না করুন কড়াইয়ে।
এই খাবারগুলো
এখন থেকে আর প্রেশার কুকারে রান্না করবেন না। দ্রুত ডাল বা মাংস সেদ্ধ করতে এটি ব্যবহার
করতে পারেন।