দক্ষিণবঙ্গের
২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজ বৃহস্পতিবার যাত্রীর
ভিড় স্বাভাবিক আছে। ফেরি ঘাটগুলোতে ছোট-বড় যানবাহনের কিছুটা চাপ থাকলেও, লঞ্চ চলাচল
শুরু করায় ফেরি ঘাটে যাত্রীদের তেমন কোনো ভিড় নেই।
এদিকে, মহাসড়কগুলোতে
দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে
বাস, ট্রাক, লেগুনা, সিএনজিচালিত এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মিশুক সকাল থেকে মহাসড়কে
চলাচল করতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ
নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল
ইসলাম জানান, নৌরুটে ১০টি ফেরি চলছে। ঘাটে পদ্মা পারের অপেক্ষায় প্রায় ৩০০ ছোট-বড় যানবাহন
রয়েছে। তবে, ফেরি ঘাটে যাত্রীদের কোনো ভিড় নেই।
এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার
এবং শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রীদের স্বাভাবিক
চলাচল রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ
নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ-এর (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারি পরিচালক সাহাদাত হোসেন
জানান, এ রুটে মোট ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে ৭৮টি লঞ্চ চলাচল করছে। বাকী লঞ্চগুলোর কাগজপত্র
আপডেট করা নেই কর্তৃপক্ষ বলে চালাতে পারছে না। লঞ্চঘাটগুলোতে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক
রয়েছে।
করোনার কারণে ১৪ দিনের সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ শেষে আজ বৃহস্পতিবার থেকে লঞ্চ ও গণপরিবহণ চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।