গাংনী (মেহেরপুর)প্রতিনিধি:
যারা মুজিবনগর দিবস মানে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বা বাংলাদেশের মানুষ না। সেই মুক্তিযুদ্ধ থেকে অদ্যবদি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
রোববার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন অনুষ্ঠানে জননেত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বলে দাবি করছে। সেই সব ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্নগুলো যখন একেএকে পূরণ করতে তারই কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঠিক সেই মুহুর্তে বিরোধীচক্ররা দেশকে পাকিস্তানি, শ্রীলংকা এমনকি আফগাস্তিনের মতো দেউলিয়া বানানোর নানা রকম পায়তারা করে যাচ্ছে। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়ে স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে। যে সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বারবার ষড়যন্ত্র করতে চাই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। কিছুতেই তাদের এ অপশক্তি রুখতে পারবেনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময়ে মুজিবনগর দিবস পালিত না হওয়া অত্যন্ত দু:খজনক। তিনি আরো বলেন, মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এই সরকার হচ্ছে আমাদের অস্তিত্ব। তাই যারা রাষ্ট্রের জন্ম মানবে না, সংবিধান মানবে না এবং রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকার করবে না, তারা তো দেশ বিরোধী। রাষ্ট্র কাউকে এ অধিকার দিতে পারে না যে কেউ এসব মানবে না। কেউ যদি এসব অমান্য করে তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক-এর সঞ্চালনায়-
এসময় বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন দোদুল এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালনে মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। পরে পতাকা উত্তোলন ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।