আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

যানবাহন শূন্য বাংলাবাজার ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাট

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রায় যানবাহন শূন্য হয়ে পড়েছে বাংলাবাজার ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। এর আগে গত ২৬ মে থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে বাংলাবাজার ফেরিঘাট বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি। গত দুই দিনে এই নৌরুটে গুটিকয়েক লঞ্চ ও স্পিডবোট চলেছে। অপরদিকে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় প্রায় যানবাহন শূন্য হয়ে পড়েছে দৌলতদিয়া ঘাট।

বরিশাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসা মোটরসাইকেল আরোহী মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের টাকায় আমাদের সেতু হলেও তার সুফল পাচ্ছি না। সকাল ৬টায় জাজিরা টোল প্লাজায় এসে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে দৌলতদিয়া হয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে কঠোর নিয়মনীতি মেনে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেলসহ যাবতীয় যানবাহন চালানোর অনুরোধ রইল।

বাংলাবাজার ঘাটের স্পিডবোট মালিক সমিতির পরিচালক রাসেল মিয়া বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর আমাদের সি-বোট বন্ধ হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। কেউ ঘাটে আসছে না। গেল দুই দিনে ১৫ থেকে ২০টি সি-বোট চলাচল করেছে। এতে তেলের টাকাও উঠছে না। ফলে সি-বোট চালু রাখার কথা বললেও কার্যত আমাদের বন্ধ রাখতে হবে। কারণ মানুষ না হলে আমরা কীভাবে চালাব? সরকারিভাবে চালানোর কথা থাকলেও আমরা বন্ধ করে রাখতে বাধ্য থাকব।

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাটের লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আতাহার বেপারী বলেন, আমাদের দিকে আর কেউ তাকায় না। সেতু চালু হয়েছে, এতে আমরা খুশি। কিন্তু যাত্রী না আসলে লঞ্চ কীভাবে চলবে। দুই দিন কোনো যাত্রীই ছিল না। ৫ থেকে ৭টি লঞ্চ আসা-যাওয়া করলেও তেলের টাকাই উঠবে না। তাই বাধ্য হয়েই লঞ্চ বন্ধ রাখতে হবে। এ রুটে প্রায় ৮৭টি লঞ্চ রয়েছে। এভাবে লঞ্চ বন্ধ থাকলে আমাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে যাবে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন বলেন, গত ২৬ মের পর থেকে বাংলাবাজার ঘাটে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাটে দুটি ফেরি চালু করা হয়। এ ছাড়া সব ঘাটেই লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল করছে। মাঝিরকান্দি ঘাট গিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে। তবে দুটো ফেরি চালু থাকায় কিছুটা সময় লাগছে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে আগে ৮৭টি লঞ্চ, দেড় শতাধিক স্পিডবোট ও ১৭টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করত। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে গেল এক মাস ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প রুট হিসেবে শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাট দিয়ে ৩ থেকে ৫টি ফেরি চলাচল করত।

অপরদিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে একদিনে ৫ থেকে ৬ হাজার যানবাহন পারাপার করত। ওই সব যানবাহন পারাপারে ব্যবহার হতো ছোটবড় ১৭ থেকে ১৯টি ফেরি। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হওয়ার পর অর্ধেকে নেমে এসেছে এ ঘাট ব্যবহার করা যানবাহনের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাটে ১৮টি ফেরিতে প্রায় ২০০ ট্রিপের মাধ্যমে ৪৫২টি বাস, পণ্যবাহী বড় ট্রাক ১ হাজার ১২৯টি ও পণ্যবাহী ছোট ট্রাক ১ হাজার ১৩০টিসহ মোট ২ হাজার ৭০০ যানবাহন পারাপার করেছে।

জানা যায়, পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার গণপরিবহন যা আসছে তা লাইনে দাঁড়িয়ে না থেকেই পছন্দমতো ঘাটে গিয়ে ফেরিতে উঠতে পারছে। প্রতিটি ঘাটেই একাধিক ফেরি যানবাহন নিতে অপেক্ষায় থাকছে। অনেক সময় ফেরি ফাঁকা রেখেই পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। পাটুরিয়া থেকে সোমবার (২৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ঘাটে এসে ভেড়ে। একই ঘাটে এর আগে আরও দুটি ফেরি আসায় রজনীগন্ধাকে অপেক্ষায় থাকতে হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর অর্ধেকের বেশি জায়গা খালি রেখে ফেরিটি পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

গ্রিন লাইন পরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাট তত্ত্বাবধায়ক নুরুজ্জামান মিয়া জানান, এই রুটে তাঁদের কোম্পানির বাসের সংখ্যা এমনিতেই কম। এরপরও সরাসরি যাতায়াতের সুবিধার্থে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তাঁর মতো অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন।  সোহাগ পরিবহনে কর্মরত দৌলতদিয়া ঘাট তত্ত্বাবধায়ক সুজন আহম্মেদ বলেন, আমাদের এই ঘাট দিয়ে গাড়ির সংখ্যা অর্ধেকের বেশি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। খুলনা থেকে থেকে ঢাকা যেতে সাড়ে ৩ ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। কিন্তু দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হতে সময় লাগত ৬ থেকে ১০ ঘণ্টা। আর যানজট থাকলে সময় আরও বেড়ে যেত। বর্তমানে পরিবহনের ট্রিপ কমে যাওয়ায় ঘাট এখন যানবাহন শূন্য।  গোপালগঞ্জ থেকে আসা যাত্রীবাহী পরিবহন কমফোর্টের চালক মিজানুর রহমান জানান, তাঁদের পদ্মা সেতু দিয়ে যাওয়ার জন্য এখনো কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া এই পরিবহনের অনেক যাত্রী সাভার বা নবীনগর এলাকার। একটু সময় বেশি লাগলেও আপাতত এ রুট দিয়েই তাঁদের যাতায়াত করতে হবে।

বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ইসলাম পরিবহনের চালক বলেন, আমাদের গাড়িগুলো রুট পারমিট পেলে পদ্মাসেতু দিয়েই বেশি চলাচল করবে। তবে ৪ থেকে ৫টি ট্রিপ এ ঘাট দিয়েও চলাচল করতে পারে। কারণ সাভার, নবীনগরের যাত্রীদের জন্য এখান দিয়ে কিছু গাড়ি চলবে। অপরদিকে, আগে ঘাটে এসে ৩ থেকে ১০ ঘণ্টা দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে থাকতে হতো। কিন্তু আজ একেবারেই গাড়ির কোনো লাইন নেই। ঘাটে আসা মাত্রই সরাসরি ফেরিতে গিয়ে উঠতে পারছি। এমন থাকলে দূরপাল্লার গণপরিবহন এ ঘাট দিয়েও পারাপার হবে এতে যাত্রীদের ভোগান্তিও থাকবে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, এখনো কিছু দূরপাল্লার বাসের রুট পারমিট হয়নি। ফলে এখনো দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে রুট পারমিট পেলে বাসের সংখ্যা আরও অর্ধেকে নেমে যাবে। আরও এক সপ্তাহ পর পদ্মা সেতুর প্রভাবের চিত্রটি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। বর্তমানে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ছোটবড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



নায়িকা বানানোর টোপ দিয়ে অঙ্কিতাকে কুপ্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

একতা কাপুরের পবিত্র রিশতা’ সিরিয়ালের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখাণ্ডে। এর পর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইতিমধ্যেই গ্ল্যামার দুনিয়ায় নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাকেও কাস্টিং কাউচের নোংরামি’র শিকার হতে হয়েছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

হাটারফ্লাই নামের এক সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অঙ্কিতা জানান, এক দক্ষিণী সিনেমায় নায়িকা হওয়ার অফার তার কাছে এসেছিল। সিনেমার জন্য অডিশন দেওয়ার পর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তার পর মিটিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো চুক্তিপত্র সই করার জন্য তাকে ডাকা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন বলে জানান অভিনেত্রী। এমনকি মাকে ফোন করে এই সুখবরও দিয়েছিলেন তিনি। পরে মনে আনন্দ নিয়েই প্রযোজনা সংস্থার বলা জায়গায় গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। সেখানে একটি ঘরে তাকে ডাকা হয়। কোর্ডিনেটরকে বলা হয় বাইরে দাঁড়াতে।

তোমাকে কম্প্রোমাইজ করতে হবে’, প্রথমে এই কথাই বলা হয়েছিল অঙ্কিতাকে। বিপদ আঁচ করতে পারছিলেন অভিনেত্রী। তাও সরাসরি প্রশ্নকর্তার উদ্দেশ্য বুঝতে চাইছিলেন। কী ধরনের কম্প্রোমাইজের কথা বলা হচ্ছে, জানতে চান নায়িকা। তাতেই বলা হয়, তোমায় প্রযোজকের সঙ্গে শুতে হবে।’

এই কথা শুনে চমকে যান অঙ্কিতা। কিন্তু সাহস হারাননি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিনেমার নায়িকা হওয়ার জন্য এই ধরনের নোংরামি’ তিনি করবেন না। সেই অভিজ্ঞতার জন্যই ছোটপর্দায় ক্যারিয়ার শুরুর সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, পবিত্র রিশতা’ সিরিয়ালের সেটেই অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অঙ্কিতা। সুশান্ত সিনেমায় ব্রেক পাওয়ার কিছুদিন পরই তাদের ব্রেকআপ হয়ে যায়। পরে ভিকি জৈনকে বিয়ে করেন অঙ্কিতা। তার সঙ্গেই সম্প্রতি বিগ বস’ শোয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শোয়ে জয়ী হন মুনওয়ার ফারুকি। অঙ্কিতা ছিলেন তৃতীয় রানার আপ।


আরও খবর



সংসদে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী

অননুমোদিত ১৩০০ ভবন চিহ্নিত করা হলেও ভাঙা সম্ভব হয়নি (ভিডিও)

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনা তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি। 

তিনি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার আহ্বান জানান।

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম এ কথা জানান। 

এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর সেই সময় আমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। আমি তখন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম, তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে আমরা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তার পর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি। 

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের একটি ফুড ফ্যাক্টরিতে ৫২ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করালো। সেই প্রক্রিয়ার আসামিরা সব জেলে গেছেন, আজ পর্যন্ত বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা যেটা বিরোধী দলের চিপ হুইপ বলেছেন। এই জায়গায় আমার দাবি, এই জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করা না হলে শুধু এই অপরাধের না, অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না। 

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই সময় ১৩০০ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে যে ভবনের প্ল্যান সঠিক নাই, যে ভবনের অধিকাংশ ফ্লোর অনুমোদিতভাবে নেওয়া হয়েছে সেই ভবনগুলো কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও কিন্তু এক প্রকারের দায়মুক্তি দেওয়া। কাজে আমি আশা করব সেটা করা দরকার। আর একটা বিষয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসেন, আমি বলব আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ কায়েম করেছি কিন্তু ডিজিটাল ব্যবস্থা অপব্যবহারে ভয়ংকর ক্ষতিগ্রস্ত যারা তাদেরও বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। আমি একটি মামলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি, পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছি। আসামিরা স্বীকারোক্তি করার মামলায় তিন বছরে চার্জশিট দেওয়া হয় না। এই অজুহাতে আসামিরা জেলখানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দরকার কিন্তু ডিজিটাল ব্যবস্থার অপব্যবহার করে যারা তাদেরও বিচারের জন্য যদি ব্যবস্থা না হয় সেটাও কিন্তু এক প্রকার দায়মুক্তি তাদের জন্য হয়ে যায়। আমি আশা করি এই বিষয়গুলোকে সম্পৃক্ত করে, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু আর্থ সামাজিক উন্নয়ন না, অবকাঠামো উন্নয়ন না; আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে মৌলিক লক্ষ্য যেটা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই জায়াগায় আমাদের পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে যে, আমাদের একদিকে উন্নয়ন হলো অন্যদিকে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। আশা করি এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা গুরুত্বেও সঙ্গে বিবেচনা করবেন। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হতো তাহলে বাংলাদেশে সাংবিধানিক শূন্যতা দেখা দিত। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আইন বাংলাদেশের সংবিধান। সেখানে সংবিধানের বিধিবিধান এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে একটি নির্বাচিত সরকার আর একটা নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এর মধ্যবর্তী কোনো অবস্থা নাই। যেটা আমাদের সাংবিধানিক অবস্থান এবং একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতির মধ্য থেকে দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে এর ফলে আজকে বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা পেয়েছে,উন্নয়ন পেয়েছে, সমৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের জাদুকর শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে বিস্ময়। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা করেছেন সে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হচ্ছে আমার বিশ্বাস, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার কারণে। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ বাংলাদেশ।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



আগামী বছর থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এর আগে রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিন ও মাধ্যমিক রমজানে ১৫ দিন খোলা থাকে।

অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, সারাদেশের কলেজগুলো রমজানে ২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখা হয়েছিল।

এছাড়া রমজান উপলক্ষে মাদরাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করেছে সরকার। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়।


আরও খবর



ওমরাহকারীদের যেসব জিনিস বহনে নিষেধাজ্ঞা দিলো সৌদি আরব

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ওমরাহ করতে আসা মুসল্লিদের নির্দিষ্ট কিছু জিনিস বহন না করার জন্য সতর্কতা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বুধবার (২৭ মার্চ) নতুন করে নির্দেশনায় বলেছে, ওমরাহ করতে আসা কেউ সৌদিতে লেজার, আতশবাজি, নকল মুদ্রা এবং অনিবন্ধিত ওষুধ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে হজ ও ওমরাজ মন্ত্রণালয় বলেছে, আল্লাহর মেহমানরা, সৌদিতে প্রবেশের আগে নিশ্চিত করুন আপনি এসব নিষিদ্ধ জিনিস বহন করছেন না।’

মক্কার পবিত্র কাবা শরীফে ওমরাহ করা হয়। হজ বছরে মাত্র একবার করা গেলেও; ওমরাহ করা যায় বছরের যে কোনো সময়। তবে পবিত্র রমজান মাস আসলে ওমরাহকারীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পায়। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে রমজানে হাজার হাজার মানুষ পবিত্র মক্কা নগরীতে যান।

ওমরাহ করার দুটি প্রধান শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো পবিত্র কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ করা ও সাফাহ এবং মারওয়াহ পাহাড়ে সাতবার আসা-যাওয়া করা। এই পাহাড়গুলো কাবা শরীফের পূর্ব দিকে অবস্থিত। রমজানে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ায় এবার রমজানে একজনকে শুধুমাত্র একবারই ওমরাহ করার অনুমতি দিচ্ছে সৌদি আরব। মূলত সব মুসল্লিকে ওমরাহ পালনের সুযোগ দিতে এবং ভিড় এড়াতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।

গত ১১ মার্চ সৌদি আরবে রমজান মাস শুরু হয়। এরপর রমজানের প্রথম ১০দিনে এক কোটিরও বেশি মুসল্লি কাবা মসজিদে নামাজ আদায় করেন।


আরও খবর



২১৭ বার করোনার টিকা নিয়েছেন যে ব্যক্তি

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জার্মানির ৬২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ২১৭ বার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন। গত আড়াই বছরে তিনি নিজ উদ্যোগে এসব টিকা নেন। তবে এতে কোনো শারীরিক সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বিবিসি জানায়, সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজ।

সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর জার্মানির এরলানগেন-ন্যুরেমবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আমন্ত্রণ জানান। ওই ব্যক্তি বেশ আগ্রহী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং গবেষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ওই ব্যক্তি জানান, গত ২৯ মাসে মোট ২১৭ বার করোনা টিকার ডোজ নিয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোধ করেননি।

এরলানগেন-ন্যুরেমবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কিলিয়ান স্কোবার বিবিসিকে  বলেন, সংবাদপত্রে ওই ব্যক্তির খবর প্রকাশের পর আমরা তার সম্পর্কে জানতে পারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আমন্ত্রণ জানাই। তিনি বেশ আগ্রহের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। ওই ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর তার রক্ত ও লালার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।’

ড. স্কোবার বলেন, আমাদের ধারণা ছিল, একের পর এক টিকা গ্রহণের ফলে হয়তো তার রক্তের শ্বেত রক্ত কণিকাগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রক্ত কণিকায় কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। এমনকি তিনি এ পর্যন্ত কোভিডেও আক্রান্ত হননি।’

স্কোবার আরও জানান, করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে পর্যায়ক্রমে তিন ডোজ টিকাই যথেষ্ট। ওই ব্যক্তি সৌভাগ্যবান। তার শারীরিক অবস্থা এমন যে বার বার টিকা নেওয়ার পরও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হয়নি।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এত বেশি টিকা নেওয়ার পক্ষপাতী নন গবেষকেরা। বর্তমান গবেষণা বলে, করোনা থেকে সুরক্ষায় তিন ডোজ টিকাই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি টিকার দরকার নেই, কারণ সবার শারীরিক অবস্থা এক রকম নয়।


আরও খবর