বেশি
দামে খেলোয়াড় কিনে কম দামে বিক্রি করার অভ্যাসটা বার্সার বেশ পুরোনো। ক্লাবটির সোনালি
সময়ও এমন একের পর এক খেলোয়াড় মোটা অঙ্কে কিনে অল্পতে বিক্রি করে ফেলত। যদিও বার্সাকে
শিরোপা জেতাতে তাদের কারও কারও অনেকখানি অবদান রয়েছে।
এমন
খেলোয়াড়দের মধ্যে ইব্রাহিমোভিচের কথা না বললেই নয়। ২০০৯ সালে প্রায় ৬৯ মিলিয়ন ইউরোর
বিনিময়ে ইন্টার মিলান থেকে বার্সায় আনা হয়। এরপর ২০১১ সালে সেই ইব্রাকে এসি মিলানের
কাছে বেচে দেয় তারা। এই সময়ে বার্সার হয়ে ইব্রা ২৯ ম্যাচে ১৬ গোল করেন। আহামরি কিছু
না! এমন অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়, যাদের বেশি টাকায় কিনে কম টাকায় বেচে দিয়েছে কাতালানরা।
এভাবে প্রতি ট্রান্সফার উইন্ডোতে খেলোয়াড় কিনতে গিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচা করা বার্সার
ঘাড়ে একসময় লোনের বোঝা দাঁড়িয়ে যায়।
গত
কয়েক মৌসুমে একই বিষয় বেশ স্পষ্টভাবেই বোঝা যায়। নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে অন্যতম দামি
তিনটি রিক্রুট ছিল ফিলিপে কোতিনহো, উসমান দেম্বেলে ও আন্তোনিও গ্রিজম্যান। যাদের জন্য
বার্সা ফি হিসেবেই খরচা করেছে ৩৯৫ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু বেচতে গিয়ে পেয়েছে মাত্র ৯০
মিলিয়ন ইউরো। যার মধ্যে কোতিনহো ও গ্রিজম্যান পুরোপুরি লস প্রজেক্ট। মাঠে সেভাবে ঝলক
দেখাতে পারেননি দু’জন।
আরও পড়ুন>> অবসরের ৩ দিন পর আবারও ইতালি দলে বুফন
১৪০
মিলিয়ন ইউরো খরচ করে কিনে নেওয়া দেম্বেলেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজির কাছে বিক্রি করছে
বার্সা। তাদের সঙ্গে সব কথাবার্তা শেষ। কেবল বার্সা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্যারিসে পাঠালেই
চুক্তিটি হয়ে যাবে। এর মধ্যে হয়তো মেডিকেলের কাজটাও সেরে ফেলবেন দেম্বেলে। শুধু এ তিন
খেলোয়াড়ই নন, নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে গত এক যুগে যে পরিমাণ খেলোয়াড় কেনাবেচা করেছে ক্লাবটি;
তার মধ্যে সবচেয়ে দামি রিক্রুটগুলোর বেশির ভাগই লসের মুখ দেখেছে।
এমন
১০ খেলোয়াড় কিনতে দলটি গুনেছিল ৭২১ মিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮ হাজার
৬০০ কোটি টাকার বেশি। প্রতি ইউরো ১১৯ টাকা ১৯ পয়সা হিসাবে। এই ১০ জনের মধ্যে তারকা
খেলোয়াড়ের পাশাপাশি অখ্যাতরাও আছেন। যেমন পিয়ানিচকে কিনতে বার্সা খরচ করে ৬০ মিলিয়ন
ইউরো। কিন্তু তাঁকে শেষ পর্যন্ত ফ্রিতে ছেড়ে দেয় দলটি। এরপর আর্দা তুরানকে আনতে ফি
দেয় ৩৪ মিলিয়ন ইউরো। তাঁকে বেচেও কোনো অর্থ পায়নি লা লিগার ক্লাবটি। এভাবে ভিয়া, সুয়ারেজ,
অঁরিদেরও অনেক দামে কিনে অনেক কম দামে ছাড়তে হয়েছে বার্সাকে।