আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজে ছুটি চেয়েছেন সাকিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উইন্ডিজ সফর শুরুর আগেই আলোচনা ছিল সাকিব আল হাসানকে ঘিরে। ক্যারিবীয় সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেললেও ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন না তিনি।

সিরিজটি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ নয়, এ জন্য সে সময় ছুটি নিতে চান সাকিব। তবে তিন ফরম্যাটের স্কোয়াডেই থাকে তার নাম। সফরে যাওয়ার আগে সাকিব নিজেই জানান, সব ফরম্যাট খেলবেন তিনি।

তবে এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। ওয়ানডেতে ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন সাকিব। সাকিবের ছুটি চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে আজ বুধবার মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ইতিবাচক ভাবনার কথা জানালেন, বিসিসি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

পাপন বলেন, সাকিব যাওয়ার আগে বলেছিল টেস্ট খেলবে না, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলবে। আমার সাথে বসার পর বলল খেলবে টেস্ট এবং ওকে তো অধিনায়কই করা হলো। শুনেছি জালাল ভাইকে (জালাল ইউনুস, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান) বলেছে, ও ওয়ানডে সিরিজে নাও খেলতে পারে। আগেই বলেছে। যেহেতু এখনো বোর্ডের সাথে কথা বলেনি (আনুষ্ঠানিকভাবে), হয়ত আজ-কালকের মধ্যে জানলে বুঝতে পারব।’

বোর্ড মনে করছে, সুপার লিগের অংশ নয় এমন সিরিজগুলোতে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা না খেলতে চাইলে বরং দেশের ক্রিকেটই লাভবান হবে। এতে সুযোগ পাবে নতুনরা। ঝালিয়ে নেওয়া যাবে তরুণদের।

পাপনের ব্যাখ্যা, এটাকে আনুষ্ঠানিক ধরতেও পারেন। ও নাকি মৌখিকভাবে জালাল ভাইকে বলেছে, এটা জালাল ভাই বলেছে আমাকে।’

‘যেগুলো র‍্যাঙ্কিংয়ের (আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ানডে সুপার লিগ অর্থে) অংশ না, এসব সিরিজে সিনিয়র ক্রিকেটাররা ছুটি চাইলে ভালো। আমরাও তখন নতুন ছেলেদের সুযোগ দেওয়ার সুযোগ পাব।’

সঙ্গে যোগ করে পাপন বলেন, জানতে হবে ওর জায়গায় খেলোয়াড় আছে কি না বা কারা আছে? সব কিছু চিন্তা করে আমাদের মাথায় আছে। ওদের বিরতি দরকার।’

২ ও ৩ জুলাই প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হবে ডোমিনিকায়। ৭ জুলাই গায়ানায় অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি। এরপর তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে গায়ানাতেই। এই সিরিজের ম্যাচগুলো হবে ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই।


আরও খবর



ঈদের ছুটি বাড়াতে সম্মত হয়নি মন্ত্রিসভা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতরের আগে ৯ এপ্রিল ছুটি অনুমোদন করেনি মন্ত্রিসভা। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঈদের আগে ৯ এপ্রিল ছুটির সুপারিশ করলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (০১ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা বলেছে, এমনিতেই এবার বেশ অনেক দিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ‌্যে ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়া হলে ছুটি দীর্ঘ হয়ে যাবে। এতে কাজে স্থবিরতা নামতে পারে। তবে যারা দূরে ঈদ করতে যাবেন তারা তো চাইলে ছুটি নিতে পারেন। তাদের সে অধিকার আছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার এবং বিশ্বকাপজয়ী মুশতাক আহমেদকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চলতি মাসের শেষদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি। মুশতাকের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি হয়েছে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে এই বিশ্বকাপ।

৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের আগে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। নিজ দেশ পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও স্পিন কোচ ছিলেন তিনি।

খেলোয়াড়ি জীবনও বেশ সমৃদ্ধ ছিল মুশতাক আহমেদের। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ১৫২ টেস্টে ১৮৫ এবং ১৪৪ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৬১ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার নামের পাশে ১ হাজার ৪০৭ উইকেট রয়েছে। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মুশতাক আহমেদ।


আরও খবর



অবশেষে বুয়েটে ঢুকে পড়ল ছাত্রলীগ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের নেতৃত্বে একটি মিছিল প্রবেশ করে বুয়েট ক্যাম্পাসে।

এর আগে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।

এদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাসহ নেতাকর্মীরা। ফুল দিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আবারও বুয়েট ত্যাগ করেন তারা। ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্থান ত্যাগ করলেও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এরপরও বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেন এবং ছবি তোলেন। তবে তারা কোনো স্লোগান দেননি।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে এ সময় বুয়েটের মূল ফটক এবং বিভিন্ন হলগুলোর প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে, রোববার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার জানিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যাম্পাসে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে।


আরও খবর



বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শুরু মহা-সাংগ্রাই উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পাহাড়ে তিন সম্প্রদায়ের বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। জেলায় বসবাসরত ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। এর মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে আজ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালিরাও। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসি।

এ সময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছুই আছে। তাই পরিবেশ এর প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।

পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়।

আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সাঙ্গু নদীর তীরে বৌদ্ধমূর্তি স্নান এবং সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় রাজার মাঠে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই হচ্ছে এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।

নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৬ এপিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ৪ দিনের এই সাংগ্রাই উৎসবের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমূখ।


আরও খবর



মর্গ থেকে মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার টাকাও নেই ইকবালের পরিবারের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ষাটোর্ধ্ব মা সুফিয়া বেগম এখন নির্বাক। ঢাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শ্রমিক ইকবাল হোসেনের মৃত্যুতে শুধু কাঁদছেন আর বুক চাপড়াচ্ছেন মা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঘটনাটি জানার পর থেকেই কোনো দানাপানি মুখে নেননি তিনি। ছেলে যে আর ফিরবে না এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি। কথা ছিল ঈদের ছুটিতে ছেলে বাড়িতে আসবে। সেই আসা আসবেই। কিন্তু জীবিত নয়, লাশ হয়ে।

সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ইউটার্ন নির্মাণের জন্য সড়কে রাখা সিমেন্টের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি তেলবোঝাই লরি। এ সময় তেল বোঝাই লরিটিতে আগুন জ্বলে উঠে। এ সময় পাশে এবং পেছনে থাকা একটি প্রাইভেটকারসহ আরও চারটি গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের লেবার ইকবাল হোসেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৮ জনকে উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

নিহত ইকবালের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। বর্তমানের ইকবালের নিথর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

হতদরিদ্র পরিবারের ইকবাল বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রামে দীর্ঘদিন ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় বছর খানেক আগে বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে পাড়ি দেন রাজধানী ঢাকার সাভারে। সেখানে বিভিন্ন পরিবহনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্ত্রী মঞ্জুয়ারাও স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।

১০ দিন আগে পাঁচ বছর বয়সী ইকবালের ছোট মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চৌগাছায় আসেন মা সুফিয়া বেগম। কথা ছিল ঈদের দুইদিন আগে ছুটি নিয়ে স্ত্রী ও বড় মেয়েকে নিয়ে গ্রামে আসবেন। কিন্তু ঈদের ছুটিতে নয়, জীবনের মতো ছুটি নিয়ে ফিরছে ইকবালের নিথর দেহ।

ইকবালের মা সুফিয়া বেগম আহাজারি করতে করতে বলেন, আমার ছেলেটা জন্ম থেকেই কষ্ট করেছে। অনেক দেনাদায়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই বছর খানিক আগে তার উপার্জনের ভ্যানটা বিক্রি করে সবাইরে নিয়ে ঢাকায় গেছিল। সেখানে একটা বস্তিতে বাসা ভাড়া নিয়ে সবাই একসঙ্গে থাকছিলাম। আমিও সেখানে থাকি। ঈদে আমাদের সবার গ্রামে আসার কথা ছিল, কিন্তু ঈদের সময় গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই ইকবালের ছোট মেয়েডারে নিয়ে আমি ১০ দিন আগে গ্রামে এসেছি। ঈদের দুইদিন আগে ইকবাল তার বউ মেয়েরে নিয়ে গ্রামে আসার কথা ছিল।

ইকবালের ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে তিনি বলেন, ও আল্লাহ আমরা ইকবালরে কই নিয়ে গেলা। ইকবালের বদলে আমারে নিতে পারতা। এখন আমাদের কী হবে। তার বউ বাচ্চাদের কী হবে। এই তোমার বিচার?

মঙ্গলবার বিকেলে ইকবালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আত্মীয়-স্বজনের মাতম চলছে। তাদের কান্নায় প্রতিবেশী ও উপস্থিত কেউই কান্না ধরে রাখতে পারছিলেন না। সবাই তার ছোট মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছেন। তাকে ঘিরেই নানা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন ইকবালের প্রতিবেশী স্বজনেরা।

ইকবালের প্রতিবেশী স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আরিফুজ্জান বলেন, ইকবালরা দুই ভাইবোন। তার একটা বোন, বিয়ে হয়ে গেছে। হতদরিদ্র পরিবারে ইকবালই উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। দেনার কারণে সপরিবারে ঢাকায় গেছিলেন। কিন্তু তার সেই দেনা পরিশোধ হওয়ার আগেই মৃত্যু হলো। এখন তার পরিবারের কী হবে?

তিনি জানান, ইকবালের মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ চৌগাছায় আসবে। তার মরদেহ আসার প্রেক্ষিতে জানাজার সময় চূড়ান্ত হবে। তবে এত টাকা খরচ করে ইকবালের মরদেহ গ্রামে আনার সক্ষমতাও নেই তার পরিবারের।

স্থানীয় সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, পরিবারটি নিঃসন্দেহে অসহায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল ইকবাল। এখন পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়লো। পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমরা তাদের পরিবারের পাশে থাকবো। স্থানীয় বিত্তবান মানুষদের ইকবালের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।


আরও খবর