আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ওয়েব ডেভেলপার হতে চান

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা একটি পেশা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। অনেকেই ওয়েব ডেভেলপার হতে চান। কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবেন, কীভাবে এগোবেন, তা নিয়ে রাজ্যের চিন্তায় থাকেন। অনলাইনে কাজের জন্য আমাদের যে স্পেস, সেই স্পেস নির্মাণে কাজ করেন ওয়েব ডেভেলপাররা। সোজা কথায় ওয়েবসাইট তৈরি এবং তার দেখভাল করেন তাঁরা। এ জন্য ভালো পারিশ্রমিকও পেয়ে থাকেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজের পরিধি বাড়ায়। আমরা তিন ধরনের ডেভেলপারের কথা জানি। ফ্রন্টএন্ড, ব্যাকএন্ড ও ফুলস্টেক ডেভেলপার। কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকলে আমরা যে মেন্যু বা ড্রপডাউন লিস্ট দেখি, এগুলো মূলত ফ্রন্টএন্ডের কাজ। ব্যাকএন্ডে ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য অ্যাডমিন প্যানেলসহ সার্ভার, ডেটাবেইসের কাজ করা হয়। আর ফুলস্টেক ডেভেলপাররা এই দুইয়ের সমন্বয়েই কাজ করেন। এই সেক্টরে আমরা যে বিজ্ঞপ্তিগুলো দেখি, সেখানে সাধারণত এই তিন ভাগের কথা উল্লেখ করেই ওয়েব ডেভেলপার চাওয়া হয়।

শুরুটা যেভাবে হবে: ওয়েব ডেভেলপার হতে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় জানার মধ্য দিয়ে এগোতে হয়। প্রথমেই সামনে আসে এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট/সিপ্লাসপ্লাস।

এইচটিএমএল বা হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ: এর মাধ্যমে একটা ওয়েবসাইটের কাঠামো তৈরি হয়।

সিএসএস বা ক্যাসেডিং স্টাইল শিটস: এর মাধ্যমে কাঠামোটা সুন্দর রূপ পায়।

জাভাস্ক্রিপ্ট/সিপ্লাসপ্লাস: এর মাধ্যমে ইন্টার‍্যাকটিভ ম্যাপ, টুডি-থ্রিডি ডিজাইনসহ নানা ফিচার যুক্ত হয়। প্রথম ধাপের এ বিষয়গুলোকে অনেকে ওয়েব ডিজাইন হিসেবে আলাদা করে থাকেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এই ধাপকে ওয়েব ডিজাইন ও পরে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নামে আলাদা কোর্স করিয়ে থাকেন। দ্বিতীয় ধাপে এসে অনেকেই মাইএসকিউল, পিএইচপি শিখে থাকেন। এসব প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার মধ্য দিয়ে একজন পূর্ণরূপে একটা ওয়েবসাইট তৈরিতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। আবার অনেকে সহজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস শেখেন। ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন শেখার মাধ্যমে তুলনামূলক বেশ সহজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এর বাইরেও বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ আছে, যা ধাপে ধাপে শেখা প্রয়োজন। কাজের জন্য অনেকে পাইথন, রুবি বা রিঅ্যাক্ট এমন সব ল্যাঙ্গুয়েজ শেখেন।

কোথায় ও কীভাবে শিখবেন: টিউটোরিয়াল ইউটিউবসহ অনলাইনে নানাভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখা যায়। আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত সময় থাকে এবং আপনি অনলাইনে সার্চে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে নিজে ঘরে বসেও শিখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারের এসইআইপি বা স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম প্রজেক্টের আওতায় ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট বৃত্তিসহ শেখার সুযোগ রয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে পারেন। ঢাকাসহ দেশের সব জেলাতেই বিভিন্ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে। ঢাকায় বিআইটিএম নিউ হরাইজন, ক্রিয়েটিভ আইটিসহ অনেক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন এ ধরনের কোর্স পরিচালনা করে আসছে। এলাকাভিত্তিক অনেক প্রতিষ্ঠানও আইটি সেবা দেওয়ার পাশাপাশি সুনামের সঙ্গে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রয়েছে মিডিয়া ভিশন ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানেও ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট আলাদাভাবে শেখার সুযোগ আছে। অনলাইনেও অনেক প্রতিষ্ঠান কোর্স করিয়ে থাকে। ইউডেমি, কোডার্সট্রাস্ট, টেন মিনিট স্কুলসহ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তি হয়ে কোর্স সম্পন্ন করতে পারেন।

কোর্স ফি: কোর্স ফি প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন ভিন্ন। মোটাদাগে ১৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফি নিয়ে থাকে।

কাজের ক্ষেত্র: ওয়েব ডেভেলপমেন্টে কাজের ক্ষেত্র বেশ বিস্তৃত। বাংলাদেশের অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত মানসম্পন্ন ডেভেলপার খোঁজে। অভিজ্ঞ ডেভেলপার নিয়োগে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দিতেও তাদের কার্পণ্য থাকে না। আইটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বড়-মাঝারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ডেভেলপার নিয়োগ করে থাকে। ডেভেলপারদের একটা বড় অংশ ফ্রিল্যান্সিং করেন। আপওয়ার্ক, ফাইভারসহ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত কাজের সুযোগ রয়েছে ডেভেলপারদের। নিয়মিত কাজ করলে বড় অঙ্কের আয় এসব মার্কেটপ্লেস থেকে করা যায়। সহজ কথা হলো, দক্ষ হলে এ ক্ষেত্রে কাজের অভাব নেই।

লক্ষণীয় কিছু বিষয়: প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত নতুন দিকে ধাবিত হচ্ছে। ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে গেলে নিজেকে আপডেট রাখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন: ইউআই/এইএক্স ডিজাইনের ভালো ধারণা রাখা। বেসিক এসইও জানা। একাধিক ল্যাঙ্গুয়েজে কাজের অভ্যস্ততা। রেসপনসিভ, ইন্টার‍্যাকটিভ ওয়েবসাইট তৈরিতে সময় দেওয়া।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টে কাজের সুযোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ধারণা করা যায়, সামনে এর পরিধি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রথম সারির পেশা হিসেবে বিবেচিত হবে। আগ্রহ থাকলে নিজেকে সময় নিয়ে তৈরি করে সহজেই এই পথে এগিয়ে যাওয়া যায়।

নিউজ ট্যাগ: ওয়েব ডেভেলপার

আরও খবর



বুধবার থেকে ঈদযাত্রায় ট্রেনে ভ্রমণ শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সপ্তাহব্যাপী অনলাইন যুদ্ধে যারা ট্রেনের টিকিট কাটতে পেরেছেন-তারা কাল বুধবার থেকে যাত্রা শুরু করবেন। অর্থাৎ ২৪ মার্চ যে সব যাত্রী ৩ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারা গ্রামে পাড়ি জমাবেন। ওই দিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোরেই ট্রেন ছাড়া শুরু করবে। ৩ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা ট্রেনে চড়বেন। আবার ৩ এপ্রিল থেকে ঈদ ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে রেল। ৩ থেকে ১০ এপ্রিল অনলাইনে ফিরতি টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, এবারই প্রথম টিকিট কালোবাজারিবিহীন ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে। এবার টিকিট কালোবাজারির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তবে, ট্রেনের টিকিট সব সময়ই যেন সোনার হরিণ। এক সময় টিকিট কাউন্টার ঘিরে দুই-তিন রাত অপেক্ষা করে টিকিট সংগ্রহ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। গত দুই বছর ধরে এমনটা আর দেখা যায়নি। এখন শতভাগ টিকিট অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। তবে নির্ধারিত টিকিটের বিপরীতে লাখ লাখ মানুষ টিকিট কাটতে অনলাইনে ভিড় করেন। শতকরা ১ কিংবা ২ ভাগ মানুষ টিকিট কাটতে পারছেন। অর্থাৎ যাত্রীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী টিকিট নেই। ঈদ উপলক্ষ্যে ১২৫টি আন্তঃনগর ট্রেনে লক্ষাধিক টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। যার মধ্যে রাজধানী থেকে ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রতিদিন।

অগ্রিম টিকিট কাটতে পারা রাজশাহীগামী যাত্রী বিল্লাল হোসেন বলেন, ট্রেনের টিকিট নিশ্চয় সোনার হরিণ। আগে স্টেশনে রাতের পর রাত অপেক্ষা করে টিকিট কেটেছেন। এবার টানা ৫ দিন অনলাইনে থেকে ৪টি টিকিট কাটতে পেরেছেন। পরিবারের ৫ জন সদস্য অনলাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে সফল হয়েছেন। বললেন, চাহিদা অনুযায়ী টিকিট নামে মাত্র রয়েছে। যার ভাগ্য ভালো-সে-ই কেবল টিকিট কাটতে পারছে। নিরাশ হয়েছেন প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ। বললেন, ৮ এপ্রিল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামে যাবেন। স্ত্রী এবং মা অসুস্থ, এ জন্য ট্রেন সবচেয়ে নিরাপদ। শিডিউল অনুযায়ী ঈদযাত্রায় ট্রেনগুলো চলবে-এমনটা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, আমরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ করেছি। ৩ এপ্রিল থেকে যাত্রীরা যাত্রা শুরু করবে। যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গন্তব্যে পৌঁছাতে আমরা কাজ করছি। আমাদের এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন চালানো। বিনা টিকিটের যাত্রী রোধও একটি চ্যালেঞ্জ। স্টেশন চত্বরে ইতোমধ্যে আমরা তিন স্তরের অস্থায়ী বাঁশের বেড়া দিয়েছি। যাতে টিকিটধারী যাত্রীরা সহজে স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেন।

রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১৬ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনসহ শতাধিক অতিরিক্ত কোচ প্রস্তুত রয়েছে। চলমান ট্রেনের সঙ্গে ঈদযাত্রায় ঈদ স্পেশাল ট্রেন ও কোচ চালানো হবে। টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ না করতে অনুরোধ জানিয়ে রেলের ডিজি বলেন, বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ দণ্ডনীয় অপরাধ। স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অবস্থান করবেন। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণে শুধু যাত্রার দিন নির্ধারিত ট্রেনে ২৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি হবে। আসনবিহীন টিকিট কাটা যাত্রীরা এসি চেয়ার এবং কেবিন কোচে কোনো অবস্থাতেই চড়তে পারবে না।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় শিডিউল ঠিক রেখে ট্রেন চালাতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।

পূর্বাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় যাতে কোনো শিডিউল বিপর্যয় না হয়-সে জন্য তার অঞ্চলের ইঞ্জিন ও কোচ প্রতিনিয়ত পরীক্ষায় রাখা হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলে ১০টি ইঞ্জিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঈদ যাত্রায় চট্টগ্রাম থেকেও প্রচুর যাত্রী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদ করতে ঘরে ফেরেন।


আরও খবর



বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের অন্যতম দূষিত বাতাসের শহর রাজধানী ঢাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৮৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, ১৭১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, ১৬৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৬১।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান বৃষ্টির পরও সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়ে গেছে। আজ রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে ঢাকার বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ১০১, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।

তবে সকাল ৯টার দিকে একিউআই ৮৬ নিয়ে ঢাকার বাতাস দীর্ঘদিন পর গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বায়ুতে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে।

ঢাকার বায়ুমান দিনের পর দিন বিশ্বের দূষিততম শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করছে। এটা নাগরিকের নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।  রবিবার সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের করাচি ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ১৮৫, ১৭৭ ও ১৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে। একই সময়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ২১তম। ঢাকার অবস্থান সাধারণত ১ থেকে ৫-এর মধ্যে থাকে।

একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তাকে মধ্যম বা গ্রহণযোগ্য পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।

এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর



যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যে কোনো মূল্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় চারটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা নতুন মাত্রা হলো জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমন্বিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখতে পারবেন। মোতায়েন সহজ হবে, যেহেতু চারটি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আবেগ-অনুভূতির কারণে দেশে নির্বাচনে অনেক সময় কিছুটা উচ্ছৃঙ্খলতা হয়ে থাকতে পারে, সহিংসতাও হতে পরে। এগুলো যেন না হয়, সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনটা যাতে অবাধ হয়। যারা ভোটার, তারা যেন এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।

সিইসি বলেন, যদি এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে; সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আগামীতে আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হবে।


আরও খবর



ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে হিজবুল্লাহর দুই শীর্ষ কমান্ডার নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সরাসরি হামলার পর পাল্টা ব্যবস্থা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। দেশটি এখনো সরাসরি ইরানে হামলা চালায়নি। তবে ইরানকে কাবু করতে ভিন্ন পথে হাঁটছে তেল আবিব। হঠাৎ করেই লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ওপর হামলা জোরদার করেছে তারা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) লেবাননে হামলা চালিয়ে তারা হিজবুল্লাহর দুই শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ইসমাইল ইউসুফ বাজ নামের এক শীর্ষ হিজবুল্লাহ কমান্ডার। ইসরায়েলের দাবি মতে, যিনি দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে চালানো রকেট ও অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করতেন। হিজবুল্লাহও ইউসুফ বাজের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি।

একই দিন আরেকটি পৃথক হামলায় লেবাননের চেহাবিয়েহ শহরে হিজবুল্লাহর দুই সদস্যকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে ছিলেন মুহম্মদ শাহৌরি রাদওয়ান। যিনি পশ্চিম জেলা রকেট ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন।

গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে যেসব রকেট ছোড়া হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করছিলেন রাদওয়ান। এ কমান্ডার খুব দক্ষ ও চতুর ছিলেন।


আরও খবর