আভাসটা আপয়া গিয়েছিল আগেই, বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসাটা। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চলে এলো সেটিও। ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ফিঞ্চের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানার বিষয়টি ঘোষণাটি নিশ্চিত করা হয়। আগামীকাল নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে চলমান সিরিজে শেষ ম্যাচ দিয়েই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিবেন অস্ট্রেলিয়ার সাদা বলের অধিনায়ক।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাটে রানখরায় ভুগছিলেন ফিঞ্চ। ওয়ানডের শেষ ৭ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২৬ রান, এর মধ্যে ৩ ম্যাচে আউট হয়েছেন শূন্য রানে। জিম্বাবুয়ে ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে ৫ ম্যাচে তার সর্বোচ্চ রান ছিল মাত্র ১৫। এমন পারফরম্যেন্সের পরই তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। তবে সব আলোচনা-সমালোচনা থামিয়ে দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তই জানিয়ে দিলেন এই অজি ক্রিকেটার।
ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা প্রসঙ্গে ফিঞ্চ বলেন, ‘একজন নতুন নেতাকে পরের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার এবং জেতার সর্বোত্তম সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। আমার যাত্রায় যারা আমাকে সাহায্য করেছেন এবং সমর্থন করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে ফিঞ্চ প্রায় ১২ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ক্যাঙ্গারুদের হয়ে। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই যাত্রাটা দারুণ ছিল, বেশ কিছু অবিশ্বাস্য স্মৃতি আছে এ যাত্রায়। দারুণ এক ওয়ানডে দলের অংশ হতে পেরে নিজেকে বেশ ভাগ্যবান মনে করছি। সমানভাবে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যেসব মানুষের সঙ্গে খেলেছি ও পর্দার আড়ালে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে।’
ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেও আপাতত টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাবেন ফিঞ্চ। আগামী মাসেই ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজিদের নেতৃত্বও দিবেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে তারপরই ক্রিকেটের সব ধরনের ফরম্যাট থেকে বিদায় বলবেন ৩৫ বছর বয়সী এই অজি ক্রিকেটার।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী ফিঞ্চ সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছেন ১৪৫টি। ১৭টি সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন ৩০টি হাফ সেঞ্চুরি। ৩৯.১৩ গড়ে ওয়ানডেতে করেছেন ৫ হাজার ৪০১ রান। ৫৪ ম্যাচে অজিদের নেতৃত্ব দিয়ে ৩০ ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ফিঞ্চ।’