আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ওয়ালটন সার্ভিসেস কুস্তির উভয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন আনসার বাহিনী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ অ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ওয়ালটন উন্মুক্ত ১২তম জাতীয় সার্ভিসেস (পুরুষ ও মহিলা) কুস্তি প্রতিযোগিতা-২০২৪ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়েছে। শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ওই প্রতিযোগিতার উভয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

পুরুষ বিভাগের ১০টি ওজন শ্রেণির পাঁচটিতে স্বর্ণ, ৩টিতে রৌপ্য ও ২টিতে ব্রোঞ্জসহ মোট ১০টি পদক জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। ৩টি স্বর্ণ, ৩টি রৌপ্য ও ৪টি ব্রোঞ্জসহ ১০টি পদক জিতে রানার্স-আপ হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আর ২টি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য ও ৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ০৯টি পদক জিতে তৃতীয় হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এদিকে নারী বিভাগের ১০টি ওজন শ্রেণি থেকে ৭টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য ও ১টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১০টি পদক জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় আনসার। আর রানার্স-আপ হওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পায় ২টি স্বর্ণ ও ৬টি রৌপ্যসহ মোট ৮টি পদক। তৃতীয় হওয়া বাংলাদেশ পুলিশ পেয়েছে ১টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য ও ৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৫টি পদক।

পুরুষ বিভাগে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জুয়েল (৭৪ কেজি ওজন শ্রেণি)। মহিলা বিভাগে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আনসার দলের রোজিনা (৭৬ কেজি ওজন শ্রেণি)।

টুর্নামেন্টের উভয় বিভাগের চ্যাম্পিয়ন, রানার্স-আপ ও তৃতীয় হওয়া দলকে ট্রফি দেওয়া হয়। সেরা খেলোয়াড় হওয়া দুজনই পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ পুরস্কার। এছাড়া প্রতিযোগিতায় পদকপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের ওয়ালটনের পক্ষ থেকে হোম অ্যাপ্লায়েন্স পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ওয়ালটনের মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন ও সিনিয়র ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মেহরাব হোসেন আসিফ।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি এমএ কুদ্দুস খান, সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান পালোয়ান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান বাচ্চু ও মেসবাহ উদ্দিন আজাদ প্রমুখ।

এবারের এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও তিতাস গ্যাসের পক্ষে ১৫০ জন মহিলা ও পুরুষ কুস্তিগীর অংশ নেন। পুরুষ ও মহিলা উভয় বিভাগে ১০টি করে মোট ২০টি ওজন শ্রেণিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ বিভাগের ওজন শ্রেণিগুলো ছিল- ৫৭ কেজি, ৬১ কেজি, ৬৫ কেজি, ৭০ কেজি, ৭৪ কেজি, ৭৯ কেজি, ৮৬ কেজি, ৯২ কেজি, ৯৭ কেজি ও ১২৫ কেজি। মহিলাদের ওজন শ্রেণিগুলো ছিল- ৫০ কেজি, ৫৩ কেজি, ৫৫ কেজি, ৫৭ কেজি, ৫৯ কেজি, ৬২ কেজি, ৬৫ কেজি, ৬৮ কেজি, ৭২ কেজি ও ৭৬ কেজি।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, দীর্ঘদিন যাবত খেলাধুলাসহ সব ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করে আসছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। খেলাধুলার এসব প্রতিযোগিতায় ওয়ালটনের অংশগ্রহণ থাকবে সবসময়।

ওয়ালটনের মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন বলেন, যেকোনো প্রতিযোগিতায় প্রতিভাবান মুখগুলো সামনে উঠে আসে। এই কুস্তি প্রতিযোগিতাও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। প্রতিযোগিতামুখর এই ইভেন্ট অত্যন্ত সুন্দর ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় ওয়ালটনের উপস্থিতি ওয়ালটনকে সম্মানিত করেছে।

উল্লেখ্য, কুস্তি প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর ইভেন্ট পার্টনার ছিল দেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল। আর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রাইজিংবিডি.কম।


আরও খবর



ফের উত্তপ্ত টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত আবারও তীব্র হয়েছে। সেখান থেকে একের পর এক মর্টার শেল ও ভারী গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে।

কয়েকদিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ভোর থেকে টেকনাফ পৌরসভা, সেন্টমার্টিন, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তজুড়ে থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।

হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা রশিদ আহমেদ বলেন, সেহেরির পর থেকে বাড়িতে আর ঘুমাতে পারিনি। মিয়ানমারের ভেতর থেকে একের পর এক যেভাবে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, মনে হচ্ছে আমার বাড়িতে মর্টারশেল পড়ছে। ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত থেমে থেমে বিকট শব্দে কাঁপছে এপারে বাড়ি-ঘর।

হ্নীলার বাসিন্দা জেলে সৈয়দ হোসাইন বলেন, সকালে চিংড়ি ঘেরে মাছ ধরতে গিয়েও ফিরে আসলাম। মিয়ানমারের রাখাইন থেকে যে হারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, আতঙ্কে চলে এসেছি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, রাখাইনের মংডু ও বলি বাজার শহরের কাছাকাছি আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এ কারণে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ সীমান্তের এপারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে।

জানা গেছে, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্য দখল করতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে গত আড়াই মাস ধরে সীমান্তের এপারে একের পর এক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এর আগে আরাকান আর্মিসহ আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজিপির ক্যাম্প ও সীমান্ত চৌকিসহ অধিকাংশ অঞ্চল দখল করেছিল। সম্প্রতি নতুন করে আবারও রাখাইনের আকিয়াব জেলার মংডু ও বলি বাজার শহরসহ সেনা ক্যাম্প দখল করতে হামলা অব্যাহত রেখেছেন বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী।

টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সব সময় সর্তক রয়েছে।


আরও খবর



৫১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারঘোষিত ছুটি শুরু হওয়ার একদিন আগেও দেশের ৫১ শতাংশের বেশি মিল-কারখানা এখনো কর্মচারীদের মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।

তাদের তথ্যে দেখা গেছে, ৯ হাজার ৪৬৯ কারখানার মধ্যে ৪ হাজার ৮৪৯টি সোমবার পর্যন্ত মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। অর্থাৎ ৫১ দশমিক ২১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের তথ্যানুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ৪৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা চার হাজার ৬২০টি মিল ও কারখানা মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। কারখানা ও মিলগুলো আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নরসিংদীর শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত।

অন্যদিকে, ঈদের আগে বোনাস পরিশোধ করেছে ৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কারখানা, যেখানে ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা এক হাজার ৭৬৬টি মিল-কারখানা এখনো বোনাস দেয়নি।

এক বিবৃতিতে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১১৬টি মিল ও কারখানা ঈদের ছুটি ঘোষণা করবে না এবং ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বা তিন হাজার ৩৮১টি মিল ও কারখানা ইতোমধ্যেই ছুটি ঘোষণা করেছে। গতকাল পর্যন্ত ৬৩১টি মিল ও কারখানা বন্ধ ছিল এবং ৭১টি আংশিকভাবে খোলা ছিল।

গত ২৭ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ঈদের ছুটি শুরুর আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

শ্রম মন্ত্রণালয়ে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তখন কোনো নির্দিষ্ট তারিখের কথা না বললেও ঈদের সরকারি ছুটি শুরুর আগেই অর্থ পরিশোধ করার কথা বলেন তিনি।


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছয়দিনের দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৪ এপ্রিল তিনি এই সফর শুরু করবেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও জাতিসংঘের একটি সংস্থা এসকাপের যৌথ আমন্ত্রণে এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সফরের দ্বিতীয় দিন আগামী ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা ব্যাংককে এসকাপ কমিশনের ৮০ তম অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক করবেন। একইদিন দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আগামী ২৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের এটাই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফর।


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




গরম বাড়ছে, সুস্থ থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাড়ছে তাপমাত্রা। এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখাই অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। গরমে একটু অসতর্ক হলেই নানা ধরনের অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই এসময় নিজের প্রতি থাকতে হবে বাড়তি যত্নশীল। গরমের তীব্রতাকে পাশ কাটিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে করতে হবে কিছু কাজ। প্রতিদিনের সেসব ছোট ছোট কাজের দিকে খেয়াল রাখলেই সুস্থ থাকা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গরমে সুস্থ থাকতে কী করবেন-

পর্যাপ্ত পানি পান করুন : তাপপ্রবাহ আমাদের শরীরে একটি শুষ্ক প্রভাব ফেলে, যা শরীরের তাপমাত্রায় ডিহাইড্রেশন এবং ব্যাঘাত ঘটায়। তাই পানির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে আপনার প্রতিদিনের তালিকায় আরও পানি যোগ করুন। মনে রাখবেন, মাত্র ৪% পানির ক্ষয় ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং ১৫% হলে, এটি মারাত্মক হতে পারে।

মৌসুমী খাবার খান : সাধারণত বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যকর শরীর বজায় রাখতে ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার যোগ করার পরামর্শ দেন। তবে বছরের এই সময়ে এই জাতীয় খাবার পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এগুলো হজম হতে সময় নেয়। গ্রীষ্মে স্বাস্থ্যকর হজম বাড়াতে এবং অন্ত্রের সমস্যা, বদহজম, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি এড়াতে মৌসুমী খাবার, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবার এবং তাজা শাক-সবজি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার এবং পানীয় সঙ্গে রাখুন : গ্রীষ্মের অসহনীয় তাপেও কিন্তু কাজের জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই সারাদিন সতেজ থাকার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার ও পানীয় সঙ্গে রাখুন। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর মতে, বাতাসে তাপ ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বৃদ্ধি করে, যা খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞরা হালকা এবং শীতল খাবার, আস্ত ফল এবং সাইট্রাস পানীয় সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেন। এই খাবার এবং পানীয়গুলো প্রচণ্ড গরমেও আপনার শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

টাটকা রান্না করা খাবার খান : আগেই বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের মৌসুমে খাদ্য দূষণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন তাটকা রান্না করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কোনো খাবার প্যাক করার আগে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তবেই করুন।


আরও খবর



কম দামেও তরমুজ কিনছেন না মানুষ, দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মার্চের শুরুতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে। রমজান শুরু হওয়ার পর সে দাম ৮০ টাকায় নামে। কিন্তু বেশি দামের পাশাপাশি অপরিপক্ব হওয়ায় তরমুজে আগ্রহ কম ছিল সাধারণের। এর মধ্যে ফেসবুকে তরমুজ বয়কটের ডাক আসে। ফলে ফলটির বিকিকিনি কমে যায় আরও।

রোজা শুরুর এক সপ্তাহ পর তরমুজ বিক্রি বলতে গেলে তলানিতে এসে ঠেকে। বিপাকে পড়েন বিক্রেতারা। সারা দিনে হাতেগোনা কয়েকটা বিক্রি হলেও বেশিরভাগই দোকানে অবিক্রীত থেকে যাচ্ছিল। এতে বাধ্য হয়ে ৪০ টাকায় নামিয়ে আনা হয় তরমুজের কেজি। শুধু তাই নয়, আকারভেদে এখন পিস ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ‌তারপরও ক্রেতাদের বড় অংশ এখনও তরমুজ বিমুখ। এতে তরমুজ ব্যবসায়ী এবং ফল দোকানিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

আড়ৎ থেকে পিস হিসেবে দুই ক্যাটাগরির তরমুজ বিক্রির জন্য কিনে এনেছেন বিল্লাল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি গুলশানের গুদারাঘাটের পাশে বসিয়েছেন তার অস্থায়ী দোকান। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তরমুজগুলো সেখানে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন, কিন্তু বিক্রি নেই সেভাবে।

তরমুজ বিক্রির এমন চিত্রের বিষয়ে বিল্লাল মিয়া বলেন, এবার প্রথম থেকেই তরমুজ বিক্রি খুব কম হচ্ছে। এটা হতে পারে দাম বেশির কারণে। তবে এখন দাম আগের চেয়ে কমেছে, তবুও এখনো খুব বেশি বিক্রি বাড়েনি। রমজানে তরমুজের খুব চাহিদা থাকার কথা, কিন্তু এবার সে অনুযায়ী ক্রেতাদের চাহিদা দেখা যায়নি।

তরমুজ বিক্রির সার্বিক বিষয়ে একই স্থানের আরেক বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এত বছর ধরে ব্যবসা করছি তরমুজ নিয়ে কোনোবার এমন বিপাকে পড়িনি। আজ ১০ দিনের মতো হবে তরমুজ এনেছি, দোকানের মধ্যে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছি। কিন্তু সেভাবে এবার বিক্রি নেই। প্রথমদিকে ১০০ টাকা কেজি ছিল, পরে ৮০ টাকা হলো, এরপর আবার ৬০ টাকা, সবশেষ এখন আজ প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কিন্তু আগে যখন তরমুজের ব্যবসা করেছি তখন দিনে ১০০ পিছ বিক্রি করেছি। আর এখন সারাদিনে ১৫/২০টা বিক্রি হয় না ঠিকমতো। রমজান মাস এলে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কথা, অন্যান্যবার বেড়ে গেছে, কিন্তু এবার চিত্র উল্টো। অর্ধেক রমজান চলে গেছে কিন্তু তরমুজ বিক্রি সেভাবে আর হয়নি। রমজান মাস শেষ হয়ে গেলে তরমুজের চাহিদা কমে যাবে, তখন যে ব্যবসার কী হবে এটা ভাবলে আরো ভয় লাগে।

কারওয়ান বাজারে ফল ভাণ্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে পাইকারি তরমুজের ব্যবসা করছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সহযোগী হিসাবে কাজ করেন খোরশেদ আলম নামের একজন। তিনি বলেন, প্রথমদিকে তরমুজের দাম বেশি ছিল, ইদানীং প্রচুর সরবরাহ হচ্ছে, ফলে দাম কমে গেছে। আগে যে তরমুজ দেড়শ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করেছি, সেটা এখন ৮০ টাকার মতো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আড়তে পাইকারি কিনতে ক্রেতারা কম আসছে। এর কারণ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যারা দোকানের মাধ্যমে তরমুজ বিক্রি করে, তারা আগে যে মাল নিয়ে গেছে সেই মালই তাদের রয়ে গেছে, এখনো বিক্রি করতে পারেনি। আগের তরমুজ ফুরালে তারপরে তো তারা কিনতে আসবে।

মহাখালীর বাজারে তরমুজ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আহসান হাবীব বলেন, এ বছর রমজানে একদিন শুধু তরমুজ কিনেছিলাম টেস্ট করার জন্য। কিন্তু এত বেশি দাম, অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করে, অপরিপক্ব তরমুজ তবুও বেশি দাম, এদিকে এদের সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য দূর করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরমুজ বয়কটের ডাক.... সব মিলিয়েই এবার আর তরমুজ কিনিনি। কিন্তু এখন ম্যাংগো পিপলের ক্ষমতা সম্পর্কে জেনেছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। আজকে তরমুজ ৪০ টাকা কেজিতে এসেছে শুধু সাধারণ মানুষ তরমুজ কিনেনি এ কারণেই। এখন ৪০ টাকা কেজি হওয়ার পর আজ একটি তরমুজ কিনতে এসেছি। তবুও দোকানে যদি পিস হিসাবে তরমুজ বিক্রি না করে তাহলে আবার কিনব না।


আরও খবর