করোনাভাইরাস
প্রতিরোধে প্রথমবারের মতো বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে অবস্থান করা জেলেদের করোনার টিকা
দেওয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুবলার চরের আলোরকোলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে
এই কার্যক্রম শুরু হয়। দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের আয়োজনে ১৪ হাজার জেলেকে এই ভ্যাকসিন
দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির এই কার্যক্রম উদ্বোধন
করেন বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ।
জেলার রামপাল
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুকান্ত
কুমার পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুর্গম সাগর পাড়ের দুবলার চরের আলোরকোল,
মাঝির কিল্লা ও নারিকেল বাড়িয়ার এই তিনটি চরের জেলেদের ভ্যাকসিন কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন
পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ১২ জন অভিজ্ঞ স্বাস্থ্য সহকারী কর্মী জেলেদের এই ভ্যাকসিন
দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া রেডক্রিসেন্টের আটজন স্বেচ্ছাসেবী এই কার্যক্রমে অংশ
নেন।
জেলেদের জন্য
১৮ হাজার ভ্যাকসিন দুবলায় আনা হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন থাকলেই ১৪ হাজার
জেলেদের দেওয়া হবে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ ভ্যাকসিন। যা একবারই দেওয়া হবে। এর কোনও দ্বিতীয় ডোজ লাগবে না। একই
সাথে এসব জেলেদের টিকা কার্ড দেওযা হবে বলে জানান ডা. সুকান্ত কুমার পাল।
দেশের বিভিন্ন
প্রান্ত থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণে আসা এসব জেলেদের ভ্যাকসিন কার্যক্রমে বাগেরহাটের
সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ ছাড়াও অংশ নেন জেলার রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুকান্ত কুমার পাল, ফকিরহাট
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসিম সমাদ্দারসহ
আরও দু’জন মেডিক্যাল অফিসার, বনবিভাগের দুবলা টহল ফাঁড়ির ওসি প্রহ্লাদ চন্দ্র
রায় ও দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উাদ্দন আহম্মেদ।