আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভুয়া ভোটার দেখানোয় চট্টগ্রামের ৫ আসনে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ভুয়া ভোটার দেখানোর দায়ে চট্টগ্রাম-১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আসনের ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই করে তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়।

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাইকালে চট্টগ্রাম-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়৷ চট্টগ্রাম-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম নওশের আলী, মোহাম্মদ শাহজাহান, রিয়াজ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়। সকলের মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়।

একই অভিযোগে চট্টগ্রাম-৩ আসনের নিজাম উদ্দিন নাছির ও আমিন রসূল নামে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।

অন্যদিকে, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে চট্টগ্রাম-৪ আসনের ৪ প্রার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহম্মদ ইমরান, দিদারুল আলম, আখতার হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়।

এছাড়া চট্টগ্রাম-৫ আসনের দুই প্রার্থী নাছির হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও ভোটার-সমর্থকদের ভুল তথ্য দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।


আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।


আরও খবর



রুপালি পর্দায় ফিরছেন কাজী নজরুল ইসলাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ইতোমধ্যে অনেক গুণী মানুষের জীবনের গল্পই উঠে এসেছে রুপালি পর্দায়। এবার বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী নিয়ে সিনেমা নির্মিত হচ্ছে কলকাতায়। এটি পরিচালনা করবেন আবদুল আলীম। বিদ্রোহী কবির চরিত্র রূপায়ন করবেন কলকাতার কিঞ্জল নন্দ। সিনেমাটির নামকরণ করা হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম’।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কিঞ্জল নন্দ বলেন, প্রথমবার কাজী নজরুল ইসলামের জীবন নিয়ে বায়োপিক নির্মিত হচ্ছে। সিনেমাটিতে নজরুলের গোটা জীবন তুলে ধরা হবে। এই সুযোগ পেয়ে সত্যি আমি উচ্ছ্বসিত। চিত্রনাট্য পড়েছি; চরিত্রটি খুব চ্যালেঞ্জিং। যার নাম শুনে বড় হয়েছি, তাকে নিয়ে এমন একটা সিনেমা হচ্ছে, যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আমি, এটা ভাবতেই কেমন লাগছে! এটুকু বলতে পারি, আমরা নজরুল সম্পর্কে যেটুকু জানি, তার থেকে অনেক বেশি কিছু আছে এই সিনেমায়।

চরিত্রটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, নির্মাতার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছু বই পড়ছি। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন চিত্রনাট্যকার সৌগত বসু। তার সঙ্গেও আলোচনা করব। কারণ, নজরুল সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি জানি, তাই চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলা বেশ কঠিন কাজ।

জানা গেছে, কাজী নজরুলের এই বায়োপিকে ফজলুল হক চরিত্রে অভিনয় করবেন কলকাতার খরাজ মুখার্জি, বিরজাসুন্দরী দেবী চরিত্রে অভিনয় করবেন কাঞ্চনা মৈত্র। এছাড়াও আলি আকবর খান চরিত্রে অভিনয় করবেন বাংলাদেশের ফজলুর রহমান বাবু, সজনীকান্ত দাস চরিত্রে শান্তিলাল মুখার্জি। তবে এখনও সিনেমার অনেক কাস্টিং বাকি রয়েছে।

সিনেমাটিতে কবিগুরুর চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, তা নিয়ে আলোচনা করছেন নির্মাতারা। আপাতত চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কে এই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করবেন, সেটা সময়ই কথা বলবে।

প্রসঙ্গত, আগামী শীতে শুরু হবে সিনেমাটির শুটিং। বহু ঐতিহাসিক চরিত্র জীবন্ত হয়ে উঠবে এই সিনেমায়। বায়োপিকটির সংগীত পরিচালনা করবেন জয় সরকার। আগামী কয়েক মাস চলবে কাস্টিংয়ের কাজ। এটি প্রযোজনা করছে জেবি প্রোডাকশন।


আরও খবর



প্রেম ও বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন ইশা সাহা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন ইশা সাহা। সোয়েটার সিনেমার প্রেমে পড়া বারণ গানটির মাধ্যমে দর্শকের নজর কেড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। একের পর সিনেমা এবং ওয়েব কনটেন্টে কাজ করছেন তিনি। এবারে এই অভিনেত্রী প্রেম এবং বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

কিছুটা বিরতি নিয়ে ওয়েবের কাজে ফিরলেন ইশা সাহা। পাশবালিশ নামে একটি সিরিজে অভিনয় করেছেন। সঙ্গে সৌরভ দাস ও সুহোত্র মুখার্জি। আগামীকাল (১০ মে) সিরিজটি মুক্তি পাচ্ছে জি-ফাইভে। এই কাজের সূত্র ধরেই  গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ইশা। 

বছর দুয়েক আগে গুঞ্জন ছড়ায় যে, অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে প্রেম করছেন ইশা। এ কারণেই ইন্দ্রনীলের এক যুগের সংসারে ভাঙন ধরছে। সম্পর্ক কি এখনও আছে এই প্রশ্নের জবাবে ইশা বলেন, সম্পর্ক আছে না নেই সেটা দূর থেকে অনুমান করে লোকে। বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের কথা বাদ দিন, পাশের বাড়ির কাউকে নিয়েও এই আলোচনা হয়। অনুমান, মুখরোচক আলোচনা ঠিক আছে, কিন্তু আপনি আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিবৃতি দিতে পারেন না। বিবৃতি আমি দেবো বা আমার যার সঙ্গে নাম জড়াবে, তিনি দেবেন। আপনি তো তৃতীয় ব্যক্তি।

সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাননি অভিনেত্রী। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেন নি। অভিনেত্রীর ভাষ্য, যার সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হয়েছিল, তার সঙ্গে আমার কিছু থাকতেও পারে, আবার না-ও থাকতে পারে। বলার আগে সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে তাদের। আন্দাজে ঢিল ছুড়লে ভিমরুলের কামড় খেতে হবে।

তবে প্রেম ও বিয়ে নিয়ে ইশার মনোভাব স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, এই সময়ে কেউ প্রেম করলে সেটা আর গোপন রাখা সম্ভব হয় না। নিজ থেকে সম্পর্কের কথা সময় নিয়ে, ভেবে-চিন্তে জানাবেন বলেন তিনি। ইশা বলেন, আমি চিরাচরিত চিন্তাধারায় বিশ্বাসী নই। ভালোবাসাটাই মূল বিষয়। সেটা না থাকলে বিয়েটার কোনও দাম নেই। বিয়ে আছে, প্রেম নেই, এ রকম জীবনের কোনও মানে হয় না। বিয়ে টিকিয়ে রেখেছি বলে চিৎকার করে কোনও লাভ নেই।প্রেমটা থাকুক, বিয়ে কোনও এক সময়ে হয়েই যাবে। দুটো সই করার ব্যাপার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রজাপতি বিস্কুট দিয়ে সিনেমায় অভিষেক হয় ইশার। এরপর তাকে দেখা গেছে গুপ্তধনের সন্ধানে, সোয়েটার, দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। ওয়েব দুনিয়াতেও সমাদর আছে এই অভিনেত্রীর। 

নিউজ ট্যাগ: ইশা সাহা

আরও খবর



ভারতে পাচার হচ্ছে রাজধানীর নিম্নবিত্ত মানুষের কিডনি (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

কিডনি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত আন্তঃদেশীয় দালালচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। শনিবার (১১ মে) রাজধানী ধানমন্ডি ২/এ রোডের ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১২ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ক্রাইম এবং অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও আতাউর হোসেন বাপ্পী (২৮)।

রবিন খান নামে এক ভুক্তভোগীর দেওয়া এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে মিরপুর-১০ নম্বরের শাহ আলী মার্কেটের পেছনে বসে এক বন্ধুর সঙ্গে চা খেতে খেতে সাংসারিক অভাব-অনটন নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। তাদের পাশে বসে থাকা মাছুম এসব কথা শুনে জানান, তিনি সাহায্য করতে পারবেন। ভারতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ দিন রবিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রেখে তাকে ভারত যেতে রাজি করান সে।

পরবর্তীতে রবিনকে ধানমণ্ডির ল্যাবএইডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান মাছুম। সেখানে মামলার গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামি রাজু, শাহেদ ও আতাউরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পাসপোর্ট-ভিসা কার্যক্রম শেষে গত বছর ২২ ডিসেম্বর রবিন ইন্ডিগো এয়ারলাইনের একটি বিমানে ভারতের দিল্লি পৌঁছান। সেখনে একই চক্রের দুই সদস্য শাহীন ও মোস্তফা রবিনকে দিল্লির ফরিদাবাদে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় ২০-২৫ দিন আটকে রেখে কিডনি বিক্রির জন্য রবিনের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন তারা।

রবিনকে তারা বোঝান, মানুষ একটি লিভার, একটি হার্ট দিয়ে বাঁচতে পারলে একইভাবে একটি কিডনি দিয়েও বাঁচতে পারে। একদিকে মানসিক চাপ, অন্যদিকে টাকা-পয়সার প্রলোভন দেখিয়ে অবশেষে এক রকমের বাধ্য করে ভারতের গুজরাটের মুক্তিনগরের একটি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে স্থানীয় ডাক্তারের সাহায্যে রবিনের কিডনি বিক্রি করে দেয় চক্রটি।

এর চারদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রবিন জানতে পারে তার কিডনি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে চক্রটি। প্রায় অর্ধকোটি টাকায় কিডনি বিক্রি করলেও রবিনকে দেয়া হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। পরে দেশে ফিরে রবিন জানতে পারে, একই চক্রটি তার পরিচিত একজনকে এভাবে ফুসলিয়ে ভারত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নিজের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্য কারও না হয় সেজন্য রবিন ধানমন্ডি থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা করে।

বর্তমানে কিডনি হারিয়ে কর্মক্ষমতাহীন অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন রবিন। কিডনি অপারেশনের ফলে তার পেটে ৫ ইঞ্চি পরিমাণ একটি কাটা দাগ আছে। একটি কিডনি হারিয়ে বর্তমানে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় দিন কাটছে তার।

কালোবাজারে কিডনির দাম প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে- যখন যেমন দাম পায় তার ওপরেই ভিত্তি করে বেচাকেনা হয়। তবে বর্তমানে এক একটি কিডনির সর্বনিম্ন মূল্য ২৫ লাখ টাকা। অনেক ক্ষেত্রে প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে এ দাম ৫০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত উঠানামা করে।

কারা কিডনি পাচারের শিকার হোন এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ এ চক্রটির প্রধান টার্গেট। এদের লাখখানেক টাকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি। এটি একটি আন্তঃদেশীয় দালালচক্র। ভারতের কলকাতা ও গুজরাটে এদের সংঘবদ্ধ সদস্যরা আছে।

কিডনি বিক্রির এ চক্রটির সঙ্গে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও ডাক্তার জড়িত কি-না এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তদন্ত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ চক্রের বিস্তার বহুদূর বলে জানায় পুলিশ।

ডিএমপির পক্ষ থেকে জানা যায়, পাচার হওয়া কিডনি ভারতীয় আইন অনুযায়ী ভারতের কোনো নাগরিককে দেওয়া হয় না। এসব কিডনি বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে চিকিৎসা নিতে যান, তাদের শরীরেই প্রতিস্থাপিত হয়।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকাল (আজ) সকালে ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে।’

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকালে ব্যাংকক পৌঁছান। তাকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড সফরকে প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।


আরও খবর