তুরস্কে ভূমিকম্পের
১২ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুসহ তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার তুর্কিয়ের দক্ষিণ
হাতায় প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
তুর্কি গণমাধ্যম
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুটি ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর
আজ শনিবার ১২তম দিনে আরও একটি অলৌকিক উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলগুলো
আন্তাকিয়া জেলার একটি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে বেঁচে যাওয়া তিনজনকে বের করে
এনেছে। তাদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।
তুরস্ক-সিরিয়ায়
ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তুরস্কে মোট নিহতের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৬৭২
ছুঁয়েছে। সিরিয়া সরকার ও জাতিসংঘ বলেছে, সেখানে পাঁচ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ মারা
গেছে। দুই দেশে এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা
হচ্ছে।
এর আগে তুরস্কের
হাতায়ে উদ্ধারকারী দল ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে ২৭৮ ঘণ্টা
পর জীবিত উদ্ধার করেছে।
৬ ফেব্রুয়ারি
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিরিয়া ও তুরস্ক। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৮। সেখানেই
থেমে থাকেনি, পরপর ১০০টি আফটার শকে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। তুরস্কের সরকার জানিয়েছে,
দেশটিতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখের বেশি। সিরিয়ায় জাতিসংঘের
আবাসিক সমন্বয়ক এল-মোস্তাফা বেনলামিল জানিয়েছেন, দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক কোটির
বেশি মানুষ।
১৯৯৯ সালে তুরস্কের
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মারমারায় একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে অন্তত ১৮
হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এবারের ভূমিকম্প সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।