আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ভুটানে কম দামে স্বর্ণ কিনতে পারবেন বাংলাদেশিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে অভিনব এক পন্থার আশ্রয় নিয়েছে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দেশ ভুটান। তারা সে দেশে আসা বিদেশি পর্যটকদের ডিউটি-ফ্রি বা শুল্কমুক্ত হারে স্বর্ণ কেনার সুযোগ দিচ্ছে, যার মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকরাও পড়ছেন। ভুটানে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বাংলাদেশের তুলনায় অন্তত এক-তৃতীয়াংশ কম পড়বে বলেও প্রাথমিক হিসাবে দেখা যাচ্ছে।

আর বাংলাদেশ যেহেতু বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের প্রত্যেককে অন্তত বিশ ভরি (২৩৪ গ্রাম) স্বর্ণ নিখরচায় দেশে আনার অনুমতি দেয়, তাই কেউ এই কোটার পুরো ফায়দা তুললে ভুটানে স্বর্ণ কিনে প্রায় ৫ লাখ রুপি সাশ্রয় করতে পারবেন। এর ওপরে ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারও বিনা শুল্কে বাংলাদেশে আনা যাবে।

তবে এই ডিউটি ফ্রি-হারে ভুটানে স্বর্ণ কেনার শর্ত একটাই; আপনাকে পর্যটক হিসেবে অন্তত একটি রাত ভুটানের ট্যুরিজম কাউন্সিলের অনুমোদিত কোনও হোটেলে কাটাতে হবে এবং সরকারের নির্ধারিত হারে এসডিএফ (সাসটেইনেবেল ডেভেলপমেন্ট ফি) দিতে হবে। এই এসডিএফের বর্তমান রেট এখন ভারতীয়দের জন্য দৈনিক মাথাপিছু ১২০০ রুপির মতো, আর অন্য বিদেশিদের জন্য ২০০ মার্কিন ডলার। তবে স্বর্ণের দামে ভুটান এতটাই ছাড় দিচ্ছে যে এসডিএফ দেওয়ার পরও পর্যটকরা স্বর্ণ কিনে বিপুল সাশ্রয় করতে পারবেন।

ভুটান সরকারের এই নাটকীয় সিদ্ধান্তটির কথা ঘোষণা করেন সে দেশের সুপরিচিত সাংবাদিক, দ্য ভুটানিজ পত্রিকার সম্পাদক এবং মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ভুটানের প্রেসিডেন্ট তেনজিং লামসাং। নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে তিনি লেখেন, পর্যটনের প্রসার ঘটাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এখন থেকে ভারতীয় বা এসডিএফ মাশুল দেওয়া অন্য পর্যটকরা ভুটানের ফুন্টশোলিং বা থিম্পুতে ট্যাক্স-ফ্রি রেটে স্বর্ণ কিনতে পারবেন। একমাত্র শর্ত হলো আপনাকে পর্যটন দফতর অনুমোদিত হোটেলে থাকতে হবে এবং এসডিএফ দিতে হবে। ভারতের তুলনায় এই স্বর্ণের দাম অনেক সস্তা পড়বে, আরও জানান তিনি।

ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম যেহেতু বেশ খানিকটা বেশি, তাই বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে এই সাশ্রয়ের পরিমাণ যথারীতি আরও বেশি হবে।  তেনজিং লামসাং পরে আর একটি টুইটে একটি আপডেট যোগ করে জানান, ভুটানে স্বর্ণ কেনার জন্য ভারতীয়দের মার্কিন ডলার নিয়ে আসতে হবে। একই কথা বাংলাদেশিদের জন্যও প্রযোজ্য।  অর্থাৎ রুপি বা টাকা দিয়ে ভুটানে স্বর্ণ কেনা যাবে না কিনতে হবে ডলার দিয়েই।

এখন প্রশ্ন হলো, এসব শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশি বা ভারতীয়রা যদি ভুটানে স্বর্ণ কেনেন, তাহলে তাদের ঠিক কতটা লাভ হতে পারে? ভারতের বাজারে ১০ গ্রাম ওজনের ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৫৭ হাজার ৪৯০ রুপি। একই সময়ে, ভুটানে ডিউটি-ফ্রি রেটে একই মান ও পরিমাণের স্বর্ণের মূল্য হবে ৪০ হাজার ২৮৬ ভুটানিজ ন্যুলট্রাম। এখন ভারতীয় ও ভুটানিজ কারেন্সির বিনিময় মূল্য যেহেতু প্রায় সমান (১ রুপি = ১ ন্যুলট্রাম), তাই ভারতীয়দের জন্য ভুটানে এই স্বর্ণের দাম পড়বে ৪০ হাজার ২৮৬ রুপি। অর্থাৎ প্রতি ১০ গ্রামে ভারতীয়রা ১৭ হাজার রুপিরও বেশি লাভ করতে পারবেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন চলতি মাসে (ফেব্রুয়ারি ২০২৩) সর্বশেষ খুচরা বাজারে যে স্বর্ণের দাম নির্ধারিত করেছে তাতে ১০ গ্রাম ওজনের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম পড়ছে ৭৯ হাজার ১০০ বাংলাদেশি টাকা। (২৪ ক্যারেটের দাম আরও বেশি)। উল্লেখ্য, ১১ দশমিক ৬৬ গ্রামে এক ভরি। ১০০ ভারতীয় রুপি সমান ১২৭ দশমিক ৯ বাংলাদেশি টাকা ধরলে বাংলাদেশে এই পরিমাণ স্বর্ণের দাম পড়ছে ৬১ হাজার ৮৩৭ ভারতীয় রুপি বা সমপরিমাণ ভুটানিজ ন্যুলট্রাম।  ফলে ভুটানের দামে ওই স্বর্ণ কিনতে পারলে বাংলাদেশিরা প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় ২২ হাজার রুপি বা ২৮ হাজার টাকার মতো সাশ্রয় করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি, ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) প্রত্যেক ভারতীয় পুরুষকে ৫০ হাজার রুপি মূল্যের ও প্রত্যেক ভারতীয় নারীকে এক লাখ রুপি মূল্যের স্বর্ণ বিনা শুল্কে দেশে আনতে দেয়। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই পরিমাণটা অনেক বেশি। প্রত্যেক বাংলাদেশি নারী-পুরুষ বিদেশ থেকে বিশ ভরি পর্যন্ত স্বর্ণ বিনা শুল্কে আনতে পারেন। ফলে ভুটানের এই নতুন ও অভিনব স্কিম ভারত তো বটেই, বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছেও তুমুল আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কোভিড মহামারির আগে ভুটান বাংলাদেশের কাছে ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন হিসেবে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। শুধু আকাশপথেই নয়, বহু বাংলাদেশি পর্যটক ফুলবাড়ি ও চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ভারত হয়ে সড়কপথেও ভুটানে যাচ্ছিলেন। তবে কোভিডের পর ভুটান চড়া হারে এসডিএফ মাশুল আরোপ করায় সেই পর্যটকদের স্রোতে বেশ কিছুটা ভাটা পড়েছিল। এখন অনেক সস্তায় স্বর্ণ কেনার সুযোগ দিয়ে সেই পর্যটকদের অনেককেই আবার ভুটানমুখী করে তোলা যাবে বলে সে দেশের সরকার ও পর্যটন বিভাগ আশা করছে।

নিউজ ট্যাগ: ভুটান

আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকে হামলা চালায় কুকি চিন : পুলিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কম সময়ের মধ্যে মোটা অঙ্কের টাকা জোগাড় করতে বান্দরবানে ব্যাংক তিনটিতে পরিকল্পিতভাবে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা এ কথা জানান।

গত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার দুপুরে বান্দরবানের রুমা এবং থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র লোকজন। তারা টাকা লুট করার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে। এছাড়া একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেয় তারা।

রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা-ডাকাতি এবং ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভাগে ঘটলেও; থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা হয়েছে ভরদুপুরে।

দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও এ ঘটনায় কেএনএফের নাম নিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে রুমা উপজেলা হাসপাতালে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আহত দুই পুলিশ সদস্যকে দেখতে যান ডিআইজি নুরে আলম মিনা। এর আগে তিনি ডাকাতি হওয়া সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

ডিআইজি বলেন, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা একই ধরনের এবং একই চক্রের মনে হচ্ছে। ব্যাংকে ডাকাতির এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। এপ্রিল মাসে কয়েকটি উৎসব থাকায় ব্যাংকে বেশি অর্থ থাকার সুযোগে সন্ত্রাসীরা ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।

এদিকে, বুধবার থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে জেলা সদর ব্যতীত বান্দরবানের অন্য ৬ উপজেলার ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পরপর তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় জেলাজুড়েও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিউজ ট্যাগ: কুকি চিন

আরও খবর



ঈদের দিনেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী উদযাপন হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে ছুটি। তবে ছুটির দিনেও আজ ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর। বেলা ১১টার দিকে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল অষ্টম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৫৭। বায়ুর এই মান অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।

বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

এ সময়ে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল ভারতের দিল্লি। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ২৪৮। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে নেপালের কাঠমান্ডু ও ভারতের কলকাতা। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৯৩ ও ১৯২।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




আমার এলাকায় দ্বৈত শাসন চলবে না: সাবেক ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

আমি স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই সাংবিধানিকভাবে আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি, আমার এলাকায় দ্বৈত শাসন চলবেনা বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৩৫ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ ও গৃহমঞ্জুরি অর্থ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জাবেদ বলেন, আমি আনোয়ারা-কর্ণফুলীর মানুষের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এই এলাকার প্রশাসন ও দিকনির্দেশনা আমিই দেব, জনগণকে কিভাবে শান্তিতে রাখতে হয় সেই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আমার, কে কি হয়েছে কোন পদ পেয়েছে সে বিষয় দেখার দায়িত্ব আমার নয়। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আমি নির্দেশ দিচ্ছি এখন থেকে যে কোন সভা-সমাবেশ এক সপ্তাহ আগেই অনুমতি নিয়ে করতে হবে। অনুমতি না নিয়ে কোন সমাবেশ করতে দেওয়া হবেনা।

তিনি আরও বলেন, আমি কখনো কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি, ভূমি দখল, থানায় হামলা,দালালী, মানুষের উপর অত্যাচার কোন ধরনের অন্যায় কাজ করতে দেইনি। যারা এসব করতে পারেনি তারা আজ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, এসব লোকদের আনোয়ারাবাসী সবাই চেনে, তাদেরকে আমি দুরে রেখেছিলাম বলেই মানুষ শান্তিতে ছিল।

ইউএনও মো. ইশতিয়াক ইমনের সভাপতিত্বে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু নাছেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এম এ মালেক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, সুগ্রীব মজুমদার দোলন, চেয়ারম্যান আমিন শরিফ, এমএ কাইয়ুম শাহ, অসিম কুমার দেব, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, কলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ ইদ্রিস, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ প্রমুখ।


আরও খবর



চাঁদ দেখা যায়নি সৌদি আরবে, ঈদ বুধবার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের আকাশে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা যায়নি। তাই মঙ্গলবার নয়, বুধবার দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দুই মসজিদ কাবা এবং মসজিদে নববির রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক ফেসবুক পেজ ইনসাইড দ্য হারামাইনে নিশ্চিত করা হয়েছে এই তথ্য।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১৭ মিনিটে দেওয়া এক পোস্টে ইনসাইড দ্য হারামাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আজ সৌদি আরবের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।

আজ সোমবার সৌদিতে চাঁদ দেখা না যাওয়ার অর্থ, দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী পরশুদিন বুধবার। সেই হিসেবে বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তানে ঈদ হবে তার পরের দিন বৃহস্পতিবার।


আরও খবর



রাঙামাটিতে জ্বর-রক্তবমি উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু, আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙামাটির অতি দুর্গম বরকল উপজেলার এক গ্রামে তীব্র জ্বর, রক্তবমি, পেটব্যাথাসহ আরও বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে আরও ১০ জন এসব উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে রোগটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও জেলা সিভিল সার্জন জানিয়েছেন খাদ্যাভ্যাসের কারণে তারা এসব উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছে। মেডিকেল টিম ইতোমধ্যে দুর্গম এই গ্রামে রওনা দিয়েছে।

স্থানীয় ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের শুইছড়ি মৌজার চান্দবিঘাট এলাকায় বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি মাস থেকে এই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৫ জন। তাদের মধ্যে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে। চান্দিনাঘাট গ্রামের লবিন্দর চাকমা এবং স্নেহবালা চাকমার ছেলে পত্ত রঞ্জন চাকমা (২৫) প্রথম এই রোগে মারা যান। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি বিমলেশ্বর চাকমা (৫৫), ২৬ ফেব্রুয়ারি ডালিম কুমার চাকমা (৩৫), ১৫ মার্চ চিত্তি মোহন চাকমা (৬০) এবং সবশেষ চলতি মাসের ১৭ তারিখ সোনি চাকমা নামের ৮ বছর বয়সী এক শিশু মারা যায়। এলাকাটি অতি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়াতে সেখানে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই এবং আশপাশে নেই কোনো চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র। স্থানীয় কবিরাজির মাধ্যমে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে আরও জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে গ্রামবাসীরা মিলে একটি পুরনো বটবৃক্ষ কেটে ফেলে। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস গাছটি একটি আধ্যাত্মিক গাছ এবং এই গাছ কাটার ফলেই এই রোগের উৎপত্তি।

বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফোরকান এলাহি অনুপমের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বুধবার সকালে এই বিষয়ে একটি খবর পাওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এই বিষয়ে একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। তারা ওখানে যাওয়ার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

এই বিষয়ে বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মং ক্যছিং সাগর বলেন, আমি ব্যাপারটি জানতে পেরেছি। গত জানুয়ারি থেকে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টিও জেনেছি। আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করে একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি, যেটি আগামীকাল ঘটনাস্থলে পৌঁছবে।

তিনি আরও বলেন, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে আমরা জ্বর, বমি, পেট ব্যথা, শরীর ব্যাথার কথা জানতে পেরেছি। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে যারা অসুস্থ আছেন তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে বলেছি।

রাঙামাটির সিভিল সার্জন নিহার রঞ্জন নন্দী বলেন, তীব্র জ্বর, পেটব্যাথা, রক্তবমির উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তবে এটা কোনো অজ্ঞাত রোগ নয়। খাদ্যাভ্যাসের কারণে তাদের এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় তারাও সরকারি হাসপাতালে এসে চিকিৎসার বিষয়ে তেমন একটা আগ্রহ না থাকার কারণে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে তারা মারা যেতে পারে। আমরা খবর পাওয়ার পর বুধবার পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ওই গ্রামে পাঠিয়েছি। এলাকাটি যেহেতু খুবই দুর্গম, তাই ওখানে পৌঁছতেও বেশ সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। ওখানে পৌঁছানোর পর আক্রান্তদের কেস স্টাডির পর আমরা বিস্তারিত জানতে পারব।


আরও খবর