আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভুলে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে গান-বাজনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছোটখাটো ভুল প্রায় প্রত্যেকেরই জীবনের সঙ্গী। ডিমেনশিয়া বা ভুলে যাওয়া শুধুই যে বেশি বয়সের মানুষদের সমস্যা, তা নয়। ছোটরাও অনেক সময় পড়া মুখস্থ করার পর লিখতে বসে পেন কামড়ে  মাথা চুলকে উত্তর মনে করতে পারে না কিছুতেই। 

নিউরোলজিস্ট অংশু সেন জানালেন যে, বাচ্চাদের পড়া ভুলে যাওয়ার মূলে আছে অমনোযোগ। কিন্তু বড়দের, বিশেষ করে বয়স্কদের ভুলে যাওয়ার পিছনে মস্তিষ্কের অসুখ অ্যালজাইমার ডিজিজ বা পার্কিনসনস থাকতে পারে। আবার রুপোলি পর্দায় যেমন দেখা যায় দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত লেগে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাচ্ছে, এই রকম ঘটনা বাস্তব জীবনেও ঘটতে পারে।

ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে পোস্ট ট্রমাটিক অ্যামেনশিয়া। তবে মাথায় আঘাত লাগা মাত্রই যে চেনা মানুষকে ভুলে যাবেন বা কোনও গান শুনে স্মৃতি ফিরে পাবেন, এমন নাটকীয় ঘটনা বিরল। মাথার বিশেষ অংশে চোট লাগার পর সাময়িক ভাবে ভুলে যাওয়ার ঘটনা খুব অস্বাভাবিক নয়।  ৪৫% ক্ষেত্রে মাসখানেকেরও বেশি সময় স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাকিদের আরও কম সময়ের জন্যে স্মৃতি লোপ পায়, আবার তা ফিরে আসতেও বেশি সময় লাগে না, বললেন অংশু সেন।

আসলে মনে রাখাই হোক কিংবা ভুলে যাওয়া, সবই নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্ক। গ্রে ম্যাটারে ঠাসা মানুষের মস্তিষ্কের গঠন অত্যন্ত জটিল, এর অনেক রহস্য এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে পরিষ্কার নয়। অংশু জানালেন যে, স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্র মস্তিষ্কের প্রধান তিনটি অংশ হল সেরিব্রাম, সেরিবেলাম আর ব্রেন স্টেম। মনে রাখা বা না রাখা ছাড়াও একজন মানুষের যাবতীয় শারীরিক ও মানসিক কাজ নিয়ন্ত্রিত হয় ব্রেন থেকেই। মেডুলা, পনস আর মিডব্রেন-এর সমন্বয়ে তৈরি ব্রেন স্টেম মস্তিষ্কের সঙ্গে সুষুম্নাকাণ্ডকে যুক্ত করেছে।

আর মস্তিষ্কের এই অংশ নিশ্বাস  প্রশ্বাস, হৃদপিণ্ডের লাবডুব, হজম করা সহ যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্কের সেরিবেলাম অংশটি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি মোটর নার্ভকে চালনা  করে। মোটর নার্ভই আমাদের হাঁটা-চলা, কথা বলার মতো দৈনন্দিন কাজ করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের আর একটা ব্যাপার জানলে অবাক লাগবে, মস্তিষ্ক ভাল ঘটনার থেকে খারাপ ঘটনা অর্থাৎ নেগেটিভ ইনফরমেশন বেশি তাড়াতাড়ি মনে করতে পারে। তাই পুরনো দিনের ভাল  ঘটনার থেকে ভয় বা কষ্টের ঘটনার কথা বেশি মনে পড়ে, বললেন অংশু সেন। 

মস্তিষ্কের সব থেকে বড় অংশ সেরিব্রামের ( মস্তিষ্কের মোট ওজনের ৮৫% ও আয়তনের ৭৫%) দুটি হেমিস্ফিয়ার আছে। সেরিব্রাম ঢাকা থাকে সেরিব্রাল কর্টেক্স নামের এক আবরণী দিয়ে। মস্তিষ্কের এই আবরণ আমাদের ভাবনা-চিন্তা, বুদ্ধি, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেরিব্রাল কর্টেক্স-এর চারটি লোব বা ভাগ আছে। এদের মধ্যে অ্যামিগডালা ও হিপ্পোক্যাম্পাস অংশ মনে রাখতে সাহায্য করে। হিপ্পোক্যাম্পাস অংশে স্নায়ুকোষ নিউরন তৈরি হয়।

বিভিন্ন কারণে নিউরন তৈরির হার কমে গেলে বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া সহ বিভিন্ন অসুবিধে হয়। যখনই ভুলে যাওয়ার ঘটনা বাড়তে থাকে, তখন অবশ্যই কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে ভুলে যাওয়ার জন্য মূলত পার্কিনসন্স ও অ্যালজাইমার নামক মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত অসুখের কথা ভাবা হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সন্দেহ হলে মিনি মেন্টাল স্টেট এগজামিনেশন বা এমএমএসই টেস্ট করে সমস্যা নির্ণয় করা হয়। এই পরীক্ষায় ৩০ ছোট ছোট প্রশ্ন করা হয়। ২০ থেকে ২৪ স্কোর হলে বুঝতে হবে মাইল্ড ডিমেনশিয়া। স্কোর যত কম হবে, ভুলে যাওয়ার অসুখের মাত্রা তত বাড়বে।

স্নায়ু কোষ তৈরির পদ্ধতি এলোমেলো হয়ে যাওয়ার মূলে আছে স্ট্রেস হরমোন গ্লুকোকর্টিকয়েড। বেশি দুশ্চিন্তা, টেনশন, স্ট্রেস হলেই ভুলে যাওয়া শুরু হয়। মাথা ঠান্ডা রাখলে, মন শান্ত থাকলে ভুলে যাওয়ার সমস্যা দূরে সরিয়ে রাখা যায়। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাঁদের  মনঃসংযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি ভুলে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বংশে যদি অ্যালজাইমারস বা পার্কিনসন্সের ইতিহাস থাকলে ছোট থেকেই মন ভাল রাখতে গান শোনা কিংবা পছন্দের বাজনা বাজানো বা শোনার অভ্যেস তৈরি করতে হবে বলে পরামর্শ দিলেন অংশু সেন।

বিভিন্ন সমীক্ষায় জানা গেছে যে, শান্ত পরিবেশ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অন্য দিকে,  কোলাহল ও ভিড়ভাট্টা অনেক ভাল ঘটনার কথাও ভুলিয়ে দেয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম করে সুদোকু খেলার অভ্যেস বিস্মৃতিকে পিছিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় বললেন অংশু। ৬৫ বছর পেরিয়ে গেলে অল্প স্বল্প ভুলে যাওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক বলেই ধরে নেওয়া যায়।

কিন্তু ৪০৪৫ বছর বয়সে ভুলে যাওয়ার সূত্রপাত এবং তা ক্রমশ বাড়তে থাকলে অসুখের সম্ভাবনার কথা ভাবতে হবে। স্মৃতিশক্তি ধারালো রাখতে সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট এক্সারসাইজ করতেই হবে। হিংসে, রাগ, অকারণ ভয় ভুলে মন ভাল রাখতে নিজের জন্যে কিছুটা সময় রাখতে হবে। গান শোনা, গান গাওয়ার পাশাপাশি ধুমপান মদ্যপান ছাড়তে হবে। টাটকা শাক সবজি, ফল, মাছ সহ পুষ্টিকর খাবার খেলে ভুলে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।

নিউজ ট্যাগ: গান-বাজনা

আরও খবর



হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর



টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে গত (২ মে) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান যেমন- ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতীত অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এ সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম ও মো. ইউসুফ ওরফে বাইট্যা কাশেম।

২০ বছর আগে নগরের বালুছড়া এলাকায় সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা করেন দণ্ডিতরা। রায়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকালে দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আল আমিন।

জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩০ জুন আসামিরা বালুছড়ার বাসায় গিয়ে আপন তিন ভাইবোন সাইফুল ইসলাম, আলমগীর ও মিনু বেগমকে গুলি করে হত্যা করে দণ্ডিতরা। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি এম এ ফয়েজ বলেন, এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবুল কাশেম ও  মো. ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই মামলার অপর দুই আসামি গিট্টু নাসির ও ফয়েজ মুন্না র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।


আরও খবর



বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, খালি চোখে দেখা যাবে যে তিন দেশ থেকে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। সোমবার (৮ এপ্রিল) এই বিরল সূর্যগ্রহণের দেখা মিলবে। এদিন সূর্যকে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে। আর এ দৃশ্য খালি চোখে যাবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখতে প্রস্তুত এসব দেশের লাখ লাখ মানুষ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।

বিরল এই সূর্যগ্রহণ দেখতে অনেক পর্যটক যুক্তরাষ্ট্রে ভিড় করেছেন। যেসব স্থান থেকে সরাসরি গ্রহণ দেখা যাবে, সেসব জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তাই যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

এদিকে বিরল এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্ণ এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এ জন্য বিশেষ ধরনের গ্লাস দিয়ে এটি দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিরল এই সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য সাধারণ কোনো সানগ্লাস চোখের জন্য নিরাপদ হবে না। এতে চোখ স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য বিশেষভাবে তৈরি সানগ্লাস ব্যবহার করে সূর্যগ্রহণ দেখতে হবে।

নাসার তথ্যানুযায়ী বিশ্ববাসী এ বছর আরও একটি সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। চলতি বছরের ২ অক্টোবর দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে। দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর এবং উত্তর আমেরিকা থেকে এর দেখা মিলবে।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর