আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চাইলেন ডা. জাহাঙ্গীর কবীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ভিডিও সরিয়ে নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন লাইফস্টাইল নিয়ে দেশের আলোচিত চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবির।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিজস্ব ভেরিফায়েড পেজে তিনি ক্ষমা চান।

করোনা টিকা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে কিছু তথ্য সহজভাবে বোঝাতে গিয়ে আমার অসাবধানতা বশত ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলে আমি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ভিডিওতে যে তথ্যগুলো ভুল ছিল এবং যে কথাগুলো জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে সেসব বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে পূর্বের ভিডিওটি অনলাইন থেকে সরিয়ে নিয়েছি। একইসঙ্গে সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য পরামর্শ এবং উৎসাহ দিয়েছি।

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আসসালামু আলাইকুম, আমি ডা. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর। সুস্থ থাকার লক্ষ্যে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা নিয়ে কাজ করছি। সেই লক্ষ্যে দীর্ঘ দিন ধরে আমার রোগীদের লাইফস্টাইল মডিফিকেশনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। ইদানিংকালে আমার একটি ভিডিও এবং দুটি পোস্ট নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমত সুস্থ থাকার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আমি একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলাম, সেখানে করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে কিছু তথ্য সহজভাবে বোঝাতে গিয়ে আমার অসাবধানতা বশত ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলে আমি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ভিডিওতে যে তথ্যগুলো ভুল ছিল এবং যে কথাগুলো জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে সেসব বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে পূর্বের ভিডিওটি অনলাইন থেকে সরিয়ে নিয়েছি। একইসঙ্গে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য পরামর্শ এবং উৎসাহ দিয়েছি। এরপরেও কয়েকজন সম্মানিত ডাক্তার আমাকে ভুল বুঝে সরাসরি আমার নাম উল্লেখ করে নানান রকম পোস্ট করেন। তন্মধ্যে একটি পোস্টের স্ক্রিনশট আমি আমার পেজে শেয়ার করেছিলাম।

এছাড়া অন্য একটি জনসচেতনতামূলক পোস্টে উদাহরণ স্বরুপ একটি প্রেসক্রিপশন শেয়ার করেছিলাম। ওই প্রেসক্রিপশনটি যিনি লিখেছিলেন তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক আমি তার নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি প্রকাশ করিনি। তথাপি এই পোস্টটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে তৎক্ষণাৎ দুটি পোস্টই ডিলিট করে দেই। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ডাক্তার সমাজের প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনসেবা করে যাচ্ছেন, মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন, এজন্য প্রত্যেক ডাক্তারই আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধাভাজন। একজন ডাক্তার হিসেবে আমি কখনোই কাউকে অসম্মান করতে পারি না এবং আমি তা করতে চাইও না। তবুও আমার অন্বিচ্ছায় তা হয়ে থাকলে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

উপরোক্ত বিষয়গুলোর বাইরে আরও যে বিষয়ে সমালোচনা এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, আমার পরামর্শকে কিটো ডায়েট হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমি বহুবার নানান ভিডিওর মাধ্যমে বলেছি যে আমি শুধুমাত্র ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কথা বলি না। আমি মূলত পাঁচটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি অটোফেজি, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম ও মানসিক প্রশান্তির চর্চা করাকে সমানভাবে গুরুত্ব দেই। আমি কখনোই ঔষধ বিরোধী না, আমি সব সময় বলে এসেছি জরুরি চিকিৎসায় ঔষধ অপরিহার্য। তবে লাইফস্টাইল রোগগুলো লাইফিস্টাইল মডিফাই করে প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমিও আমার রোগীদের প্রয়োজনে ঔষধ লিখছি, সুতরাং ঔষধের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। আমি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি যেন স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ঔষধ ছাড়া সুস্থ থাকতে পারেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যেসব রোগীরা সরাসরি আমার পরামর্শ নেন আমি তাদের নিয়মিত অবজারবেশনে রাখার চেষ্টা করি এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আমার পরামর্শের নানান প্রভাব ও প্রতিকারের বিষয়ে আলোকপাত করে থাকি।

সর্বোপরি আমি মনে করি চিকিৎসক সমাজে আমরা সবাই সহকর্মী, একে অপরের সহযোগী। এখানে রয়েছেন আমার সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা, শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই-বোন, বন্ধুরা ও আগামীর সম্ভাবনাময় জুনিয়র ডাক্তাররা। জনস্বার্থে সব চিকিৎসকই একেকজন যোদ্ধা। করোনা মহামারির এ চরম দুর্দিনে ডাক্তারদের মত যোদ্ধারাই নিজেদের জীবন ঝুঁকির কথা ভুলে জরাগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকেছে এখনো আছে। আজকের পুরো বিশ্ব চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সকলের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে, তাই আপনারা আমার কোনো ভুল ধরিয়ে দিলে আমি তা শুধরে নেব। নিজের ভুলকে আমি ভুল হিসেবে গ্রহণ করে তা শুধরে নেব, আর আপনাদের কাছেও আমার অনুরোধ আপনারা আমার পূর্বের ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কেননা আমরা তো সকলে মিলে মানব সেবার ব্রতেই চিকিৎসা পেশাকে বেছে নিয়েছি আর সেজন্য আমরা একে অপরের প্রতি সম্মান রেখে একযোগে কাজ করতে পারি।

আমি নিজেও একজন চিকিৎসক, সবসময়ই প্রত্যেক চিকিৎসকের সম্মান রক্ষা ও অবদান স্বীকার আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। বহু আগে থেকেই আমি নিজেও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে সোচ্চার আছি। সেই লক্ষ্যে আমি ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিস (এফডিএসআর) এর সঙ্গে প্রোগ্রাম করেছিলাম, তা আমার পেজ থেকে শেয়ার করেছিলাম সকলের উদ্দেশে। তবুও মানুষ হিসেবে আমি ভুলের ঊর্ধ্বে নই। তাই আমার কথায় হয়তো অনেক সহকর্মী- সিনিয়র চিকিৎসক কষ্ট পেয়েছেন কিংবা মনক্ষুণ্ন হয়েছেন। আমি তাদের সবার প্রতি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

এর আগে গতকাল (২ আগস্ট) অপচিকিৎসার অভিযোগ তুলে ডা. জাহাঙ্গীরকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিটিলিস (এফডিএসআর)। সংগঠনটি বলছে, এটি বন্ধ না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিষোদগারের জন্য তাকে (ডা. জাহাঙ্গীর) দুঃখ প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার সাম্প্রতিক সময়ের কর্মকাণ্ড আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এই পত্র লিখতে হচ্ছে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন,

চিকিৎসক হিসেবে আমাদের যেমন নানারকম বিশেষ অধিকার রয়েছে তেমনি দায়িত্বও রয়েছে। এফডিএসআর মনে করে কোনো চিকিৎসকেরও দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করার ও অসত্য বলার অধিকার নাই। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনি জীবনধারা পরিবর্তন ও এর মাধ্যমে নানারকম ক্রনিক রোগের চিকিৎসা করছেন বলে দাবি করেন।

এজন্য অনলাইন ও অফলাইনে মানুষকে সুস্থ জীবন গড়ে তোলার জন্য লাইফস্টাইল বা জীবনধারা পরিবর্তনের পরামর্শ দিচ্ছেন। এসবই আপাত দৃষ্টিতে চমৎকার কাজ। কিন্তু আপনার মনে রাখতে হবে আপনার পরামর্শ হতে হবে তথ্য উপাত্ত দিয়ে সমর্থিত ও বিজ্ঞানভিত্তিক।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আপনি সম্প্রতি বলেছেন কোভিড ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে শরীরে অ্যান্টিবডি প্রবেশ করানো হয়। আরও বলেছেন ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেইনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভ্যাকসিন দরকার।


আরও খবর
হঠাৎ উধাও হয়ে গেল ফেসবুক!

মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪




তিতুমীরে সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় মহাখালীর লাইফ লাইন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এস এম ইমরুল রুদ্রকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজিবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ প্রদান করা হয়।

এর আগে শুক্রবার বিকালে ইফতার মাহফিল থেকে অফিসে যাওয়ার পথে তিতুমীর কলেজের আক্কাছুর রহমান আঁখি হলের সামনের প্রধান সড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র এই হামলা করে।

ঘটনার বিষয়ে সাব্বির আহমেদ বলেন, আমার ডিপার্টমেন্টে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা এস এম ইমরুল রূদ্র এসে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।  ইফতার শেষে রূদ্র আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’

তিনি আর‌ও বলেন, তারা রড, লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।’

সাব্বির আহমেদ বলেন, কলেজ প্রশাসনকে পরিচালনা করছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল। ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও কলেজ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না।’

হামলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে অবগত করা হয়। তারা বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার নিশ্চয়ই অনাকাঙ্ক্ষিত। ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী হামলার সঙ্গে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনার বিষয়ে জানতে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।


আরও খবর



অনুমোদনহীন রেস্তোরাঁয় অভিযান অব্যাহত থাকবে: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অনুমোদনহীন সব রেস্তোরাঁয় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের গাউছিয়া টুইন পিক টাওয়ারে থাকা অনুমোদনহীন ১৩টি রেস্টুরেন্ট সিলগালা থাকবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অভিযান পরিচালনাকারী রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত তার কথা শোনেন। পরে রেস্তোরাঁখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই আদেশ দেন।

এর আগে, বেইলি রোড ট্রাজেডির পর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযানে গ্রেফতারকৃত রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছিলেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। একইসঙ্গে, শ্রমিকদের গ্রেফতার করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে বিবাদিদের।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জন মারা যান। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোঁরা ও ভবনে অভিযান চালায় রাজউক, পুলিশ ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। অভিযানে অনেক রেস্তোরাঁ সিলগালা ও জরিমানা করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ সড়কে গাউসিয়া টুইন পিক টাওয়ারে অনুমোদনহীন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা ১৩টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।


আরও খবর



আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ২০০ বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি পাচ্ছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।

গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সাথে সংঘাতে টিকতে না পেরে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপির ১৭৯ সদস্য। বিজিপির এই সদস্যরা বর্তমানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

ইরাবতির প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের শুরুতে এই বিনিময় সম্পন্ন হতে পারে। বিজিপি সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

অবশ্য এ বিষয়ে বিজিবির কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারের একটি সূত্রের কথা উল্লেখ করে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কারাগারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জান্তা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশি কারাবন্দিদের ফেরত পাঠাতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে যে জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া হবে সেই জাহাজেই বাংলাদেশি বন্দিদের নিয়ে আসা হবে।

সেই সূত্রটি বলে, এটাকে এক অর্থে বন্দি বিনিময় বলা যায় না, কারণ বিজিপি সদস্যরা এখানে আশ্রয় চেয়েছেন। তারা সবাই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। এদের মধ্যে কেউ শরণ চাইলে আমরা বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করব।

সেই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত বিজিপি কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যদি তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ, আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলাবারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এরআগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



ক্যাডবেরির মোড়ক খুলতেই বেরিয়ে এলো পোকা, ক্ষুব্ধ সোহম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ক্যাডবেরি চকোলেটের বারের গায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পোকা! প্যাকেট খুলতেই চমকে গেলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সোহম।

অভিনেতা লেখেন, চকোলেটে পোকা দেখতে পাব, এমনটা কখনওই আশা করিনি। এমন ঘটনায় আমিই খুবই হতাশ ও বিরক্ত হয়েছি। আপনি যদি প্রিয়জন কিংবা বাড়ির বাচ্চাদের চকোলেট দেওয়ার পরিকল্পনা করেন, তা হলে কিন্তু সাবধান! আমরা চকোলেটে কৃমি দেখতে পেয়েছি।

সোহম পোস্টে ক্যাডবেরির ছবিও ভাগ করেছেন। ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বারের গায়ে লেগে রয়েছে কৃমির মতো ছোট পোকা। তবে এই প্রথম নয়, কয়েক দিনে আগেই এ রকম আরও একটি খবর নজর কেড়েছিল সমাজমাধ্যমে। ৯ ফেব্রুয়ারি ছিল চকোলেট ডে। ওই দিন হায়দরাবাদের অমিরপেত মেট্রো স্টেশন এলাকার একটি দোকান থেকে প্রেমিকার জন্য একটি রোস্টেড আমন্ড চকোলেট কিনেছিলেন এক যুবক।

চকোলেট হাতে পাওয়া মাত্রই উচ্ছ্বসিত হয়ে সেই প্যাকেট খুলতে গিয়েই শিউরে ওঠেন প্রেমিকা। ভিডিওতে দেখা যায়, চকোলেটের গায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পোকা। মুহূর্তের মধ্যে প্রেমের আনন্দ বদলে যায় ঘিনঘিনে অভিজ্ঞতায়। যদিও পোস্টে সেই যুবক কোনও সংস্থার নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি।


আরও খবর



একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

তিনি জানান, নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর একনেকের দ্বিতীয় সভা এটি। সভায় ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে ও সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।


আরও খবর