আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভর্তি ফরম বিক্রি করে রাবি'র আয় ২৪ কোটি টাকা!

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি টাকা। ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে তিনটি ইউনিটের জন্য দুই ধাপে এই আবেদন কার্যক্রম চলে ২ মে পর্যন্ত।

প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদন থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ ৬০ হাজার ১৫ টাকা; অন্যদিকে চূড়ান্ত পর্যায়ের আবেদনে তিনটি ইউনিট থেকে ১০% সার্ভিস চার্জসহ আয় হয়েছে ২২ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪০০ টাকা। ফলে, প্রাথমিক ও চূড়ান্ত দুই ধাপে আবেদন ফরম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় হয়েছে সর্বমোট ২৪ কোটি ১০ লক্ষ ২৯ হাজার ৪১৫ টাকা। অনলাইন সার্ভিস চার্জ ও ব্যাংক পেমেন্ট সার্ভিস চার্জ বাদ দিলে এই আয়ের পরিমাণ ২২ কোটি ২ লক্ষ ১৪ হাজার ১৫ টাকা। সার্ভিস চার্জ থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের উন্নয়ন ফান্ডে জমা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি ইউনিটে আবেদন জমা হয় ৪ লক্ষ ১ হাজার ৪১৪টি। একক আবেদন সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৩টি। প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদন ফি ধার্য করা হয়েছিল ৫৫ টাকা; সেখানে একজন ভর্তিচ্ছু এই ফি দিয়েই 'এ', 'বি', 'সি', তিনটি ইউনিটেই আবেদনের সুযোগ পেয়েছিল।

অন্যদিকে, চূড়ান্ত পর্যায়ে 'এ' ইউনিটে ৭২ হাজার ৫০টি, 'বি' ইউনিটে ৩০ হাজার ৬৭৪টি এবং 'সি' ইউনিটে জমা পড়ে ৭৫ হাজার ৮৫০টি আবেদন। ১০% সার্ভিস চার্জসহ চূড়ান্ত পর্যায়ে 'এ' ও 'সি' ইউনিটের জন্য আবেদন ফি ধার্য করা হয় ১৩২০ টাকা এবং 'বি' ইউনিটের জন্য ধার্য করা হয় ১১০০ টাকা।

যেভাবে খরচ হবে এই অর্থ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে আবেদন থেকে প্রাপ্ত অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় হবে তা জানতে যোগাযোগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরে। রেজিস্ট্রারের অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি অর্থ ও হিসাব দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. শেখ শামসুল আরেফিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনিও এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

তবে, আবেদন থেকে প্রাপ্ত অর্থ কোন কোন খাতে খরচ হয় তার একটি নথি বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ১ম বর্ষ স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদনের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের ৬০% ইউনিটগুলো গ্রহণ করে থাকে;  অবশিষ্ট ৪০% অর্থ রা.বি. কেন্দ্রীয় ফান্ডে জমা হয়। ৬০% অর্থের ৫% অর্থ ইউনিটভুক্ত ডীন ও ইন্সটিটিউট অফিস  এবং ১০% অর্থ ইউনিটভুক্ত বিভাগসমূহের উন্নয়নের জন্য রেখে বাকী অর্থ প্রতিটি ইউনিট ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় সম্পন্ন করে থাকে।

ফলে, এ বছর শুধু ভর্তি সংক্রান্ত কাজেই ব্যয় করা হবে ১১ কোটিরও বেশি টাকা। অন্যদিকে, রা.বি. কেন্দ্রীয় ফান্ডে জমা হবে প্রায় ৯ কোটি টাকা। এছাড়া, ইউনিটভুক্ত বিভাগগুলোর উন্নয়ন ফান্ডে জমা হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা।

এছাড়া, গত শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার হলে পরিদর্শকের সম্মানী ছিল ৩০০০ টাকা এবং কর্মচারীর পারিতোষিক ছিল ১০০০ টাকা। এছাড়া, চীফ কো-অর্ডিনেটরের সম্মানী ৬০,০০০ টাকা, এডিশনাল চীফ কো-অর্ডিনেটরের সম্মানী ৬০,০০০ টাকা এবং কো-অর্ডিনেটরের সম্মানী ৪৫,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী, ভর্তি পরীক্ষার হলে ১৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন পরিদর্শক এবং ৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন কর্মচারী থাকবে।

তবে, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারের সম্মানী সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে কমিটির মাধ্যমে ৪০% অর্থ থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, "ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকেই অনলাইনে আবেদন থেকে প্রাপ্ত অর্থ খরচ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে, গত শিক্ষাবর্ষে ইউনিট সমন্বয়কারী ও পরিদর্শকের সম্মানী এবং কর্মচারীদের পারিতোষিক যা ছিল, এবারও সেটিই বহাল রাখা হয়েছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




শনিবার ছুটিতে ফিরতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শনিবারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সাময়িক। আগামী ঈদুল আজহার পরে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা না-ও লাগতে পারে।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৯ দিনের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। সে জন্য শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। ঈদুল আজহার পরে শনিবার খোলা রাখা না-ও লাগতে পারে

এর আগে এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টায় গণভবনে এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন তিনি।

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এ বছর পাসের হার বেড়েছে।

পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৫৭ শতাংশ, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৪৭। বোর্ডের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সরকারি চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আমার করা সুপারিশের কার্যকারিতা নেই: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সেই সুপারিশের এখন আর কোনো কার্যকারিতা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমার সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা এখন আর নেই। এটিকে নিয়ে জলঘোলা করে নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য না। আমি আলোচনা করে জানতে পেড়েছি, মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ৩০ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে? সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী বিষটি নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মনে হয়েছিল, এ বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে অনেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।’

আন্দোলনকারীদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একটি পক্ষ দেখা যাচ্ছে, সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলব, তারা একটি খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে।’

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় সংসদে পরিষ্কার করে বলেছেন, যে সরকারের বা রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত কী। এই বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে এই মুহূর্তে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেই, সেটা তিনি (জনপ্রশাসন মন্ত্রী) বলে দিয়েছেন।’


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের: মঈন খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নিয়ে মানুষের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সব দায়দায়িত্ব সরকারের। কারণ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সাধারণ মানুষ বাধা দেয় না, মানুষের কথায় বলায় আরেকজন বাধা দেয় না, বাধা দেয় সরকার।

রবিবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করবো। এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনও আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ, সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে, ততই তাদের জন্য ভালো হবে।

মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয় সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। আজকে আওয়ামী লীগ তাকে সৈনিক বলে সম্বোধন করে। একজন সৈনিক যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগ কেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেয়?

সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যার আজও বিচার হয়নি। এমপি-মন্ত্রী বা সরকার দলীয় লোকজনের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করলেই সাংবাদিকের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।  গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন সর্বপ্রথম নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব বাছির জামাল প্রমুখ।


আরও খবর



মেঘনায় গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের দুই দিন পর কিশোর আলিফ প্রধানের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে হোসেন্দী এলাকার সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চল সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত আলিফ গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের মোহাম্মদ ফয়সাল প্রধানের ছেলে। সে এবার গজারিয়া ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, ঘটনাস্থলে অদূরে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ ভেসে উঠার সংবাদ পেয়ে নৌপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু টানেল সড়কে দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন আহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সড়কের আনোয়ারা প্রান্তে মাইক্রোবাস-সিএনজি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালকসহ একই পরিবারের চার জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১০ টার দিকে টানেল সড়কের বৈরাগ গোল চত্বরে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, সিএনজিচালক খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ জামাল, রায়হান, শরীফ, ইয়াসমিন আকতার, মোহাম্মদ রায়হান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে চট্র-মেট্রো (চ ৫১-১৪৪১) সিরিয়ালের নোহা মাইক্রোবাস গাড়িটি টানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনোয়ারার বৈরাগ গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিও অটোরিক্সার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে সিএনজি অটোরিকশাসহ একই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আনোয়ারা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, টানেল সড়কে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। গাড়ি দুইটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।


আরও খবর