আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ভরা মৌসুমেও আলুর দাম নিয়ে বিপাকে নীলফামারীর চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নীলফামারী প্রতিনিধি:

ভরা মৌসুমে আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর কৃষকরা। লাভ তো দুরের কথা খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন হাজারো কৃষক। যার কারণে জমি থেকে আলু তুলতে চাচ্ছেন না তারা।

কৃষকরা বলছেন বিঘা প্রতি আলু উৎপাদনে খরচ ১৫-১৬ হাজার টাকা, যেখানে বর্তমান বাজার দর ৫টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে বিঘা প্রতি আসে ১২টাকার টাকার কিছু বেশি। সে হিসেবে লোকসানে থাকতে হবে আলু নিয়ে।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে এখনো আলু তোলা ও বেশি দামে বিক্রি হওয়ার অনেক সময় রয়েছে। সে কারণে কৃষকদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। ভালো দামে বিক্রি করতে পারবে বলে প্রত্যাশা দফতরটি কর্মকর্তাদের।


নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের আলু চাষী রশিদুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে আলু করেছি আমি। এখন বাজার দর অনেক খারাপ। পাঁচ টাকা থেকে সাড়ে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জমিতে। এই দামে বিক্রি করলে লাভ তো দুরের কথা খরচ উঠবে না।

পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার কৃষক জগদিশ রায় জানান, এক বিঘা জমিতে আলু করেছি আমি। ১৫হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হয়। এবার দাম কম মনে হচ্ছে। আলুর ফলন বাম্পার হয়েছে। বাজার তর ভাবিয়ে তুলছে আমাকে।

কৃষি বিভাগ সুত্র জানায়, এবারে জেলায় ২২হাজার ৩শ হক্টরে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৩১০ হেক্টরে। যেখানে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪লাখ ৪৯হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন।

এদিকে আগের মৌসুমে (গেল বছর) ২২হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ উৎপাদন হয় ৪লাখ ৪৮হাজার ১৫০মেট্রিক টন।

এই এলাকায় সাগিতা, সেভেন, কারেজ, রোমানা, ডায়মন্ড, গ্রানুলা, এ্যাস্টোরিজ, বিরি আলু ৩৭, ৫৭সহ বিভিন্ন জাতের আলু আবাদ হয়ে থাকে। এরমধ্যে সেভেন, গ্রানুলা, সাগিতা, কারেজ জাতের আলু বেশি আবাদ হয়ে থাকে।

জেলা শহরের পাইকারী আলু ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন জানান, আলুর এখন ভরা মৌসুম। সে কারণে দাম কম। আমরা পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ টাকায় কিনছি আর বিক্রি করছি ছয়টাকা দরে। তবে মাসখানিক পরে আলুর দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, গতবছর এই সময়েও ভালো বাজার ছিলো কিন্তু এবার অনেক কম। কৃষকরা তাৎক্ষনিক মুল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন কিন্তু সংরক্ষণের বিষয়টি ভাবেন না। সংরক্ষণ করলে লাভবান হওয়া যায়।

তিনি বলেন, এই এলাকায় আরো হিমাগার স্থাপন প্রয়োজন। তাহলে কৃষকরা হাতের নাগালে আলু সংরক্ষণে উদ্যোগী হবেন।


নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী সফিকুল আলম ডাবলু বলেন, এই জেলায় যে পরিমান আলু উৎপাদন হয়, তা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু কৃষকরা আলু দাম পান না।

আমি মনে করি সরকারী ভাবে আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা এবং আলু দিয়ে তৈরিকৃত খাদ্যদ্রব্য কারখানা স্থাপন জরুরী। তাহলে আলুর ব্যবহার বাড়বে এবং আলুর খাদ্যদ্রব্যও পাওয়া যাবে এই এলাকায়। সেক্ষেত্রে আলুর বাজার দরে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, আপাতত বাজার দর কম কিন্তু এই অবস্থা থাকবে না। যেভাবে হোক আলুগুলোকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিতে হবে।

কারণ মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে সে কারণে ওই এলাকায় আলু ভালো ফলন হয়নি। এসব বিবেচনা করে আলু সংরক্ষণ করে রাখলে মাস দুয়েক বা তিনেক পর ভালো দাম আসবে।

তিনি বলেন, জেলায় ১১টি হিমাগার রয়েছে। এগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে আলু রাখার জন্য। এছাড়া সরকারী ভাবে বিএডিসি’র বীজ উৎপাদন খামারে একটি বীজ হিমাগার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। সেটি হয়ে গেলে অনেক উপকৃত হবেন কৃষকরা।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভো‌গে পড়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।

এর আগে সোমবার সেতুর উপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে বলে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সেতুর উপর প‌রিবহনের দীর্ঘ সারি তৈ‌রি হয়েছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর উপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫‌ মি‌নিট বন্ধ ছিল প‌রিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন‌্য প‌রিবহনগুলোতে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের অন্যতম দূষিত বাতাসের শহর রাজধানী ঢাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৮৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, ১৭১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, ১৬৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৬১।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা শুরু হয়েছে। আজ বিক্রি করা হবে আগামী ৩ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেয়া কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তিবিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। দুইটি শিফটে এই টিকিট বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টায় বিক্রি হবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে (২৪ মার্চ) থেকে; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



দু’দিন ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। এই অবস্থায় স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দুদিন দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় রোববার সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বর্তমানে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একই সময় পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্যদিকে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে এই সময়েও বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



সৌদিতে ঈদে টানা ৬ দিনের ছুটি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি ঘোষণা করেছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ৮ এপ্রিল সোমবার থেকে ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। যেহেতু সৌদিতে শুক্র ও শনিবার এমনিতে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে, তাই ১২ ও ১৩ এপ্রিলও ছুটি। ফলে সবমিলিয়ে এবারের ঈদে দেশটির মানুষ টানা ছয়দিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন।

রবিবার (২৪ মার্চ) ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।

পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার পর পালিত হয় ঈদুল ফিতর। ইংরেজি মাসগুলো ৩০ ও ৩১ দিনের হলেও আরবি মাসগুলো সাধারণত ২৯ ও ৩০ দিনের হয়। এ বছর সৌদিতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে ১১ মার্চ থেকে। রমজান মাস ৩০ দিনের হলে সেখানে ১০ এপ্রিল ঈদ হবে। আর ২৯ দিনের হলে ঈদ হবে ৯ এপ্রিল।

রমজান মাসে বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলিম রোজা রাখেন। এই মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকেন তারা। রোজার মাসে ধর্মীয় কার্যকলাপে মনোযোগ দেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

রমজান মাস শেষে আসে খুশির ঈদ। এই দিনে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন সবাই একত্র হয় এবং দিনটি আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করে। ঈদের দিন একে-অপরকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি উপহারও দিয়ে থাকেন। এছাড়া একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে থাকেন অনেকে।

ঈদের দিন মুসল্লিরা একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই নামাজ মসজিদ ছাড়াও খোলাস্থানে বা ঈদগাহে হয়ে থাকে। রমজান শেষ হয়ে ঈদ আসার আগেই ধনীরা গরীবদের যাকাত ও ফিতরা দিয়ে থাকেন। এর মাধ্যমে ধনীদের পাশপাশি গরীবরাও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির সুযোগ পান।


আরও খবর