আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ভোটকেন্দ্রে গাঁজাসহ এজেন্ট আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে গাঁজাসহ এক এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজদী পাবলিক কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে পুলিশ আটক করে। আটক ফাহাদ বিন ইকবাল (১৮) সদর উপজেলার জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আটক যুবক নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজদী পাবলিক কলেজকেন্দ্রে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মিলি রহমানের আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছিল।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গাঁজা সেবনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করে গাঁজাসহ আটক করে। নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, আটক যুবক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পরে এ ঘটনায় আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা

পিরোজপুরে কেন্দ্র পরিবর্তন হওয়ায় অংশ নেয়নি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর আদেশে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদ্য সমাপ্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী। নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ৩০ কিলোমিটার দুরত্ব ও যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় এমনটি হয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ভোকেশনাল  পরীক্ষায় জেলার নাজিরপুরের মালিখালী ইউনিয়নের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (কোড-৩৭০৩৬) ভেন্যু বাতিল করা হয়। এতে ওই এলাকার আশেপাশের তিনটি স্কুল লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পরে । এই তিন স্কুল থেকে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ জন কারিগড়ি পরীক্ষা দিতো লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে । পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার আদেশ আসায় ওই স্কুল গুলোর দশম শ্রেণির (কারিগরি) ২৫ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেনি। এ কারনে এবার এস এস সি ভোকেশনাল পরীক্ষার জন্য ফর্মফিলাপ করে মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থী।

নির্ধারিত নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, বাতিল হওয়া কেন্দ্র থেকে ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ভোগান্তিতে পরে ৩১ পরীক্ষার্থী। স্কুল গুলোর শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথমদিনে পরীক্ষার্থীরা মধুমতি নদী পারি দিয়ে চড়াই উৎরাই পার হয়ে পরীক্ষা দিতে আসলেও দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অনুপস্থিত হয় ৩জন। এভাবে শেষ পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে।  শেষ পর্যন্ত ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে করে ১৮ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ে। এ নিয়ে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (অনুপস্থিত) পরীক্ষার্থী অশোক কির্তনিয়া বলেন, নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ  ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দুরত্বের কারনে এবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারিনি। তাছাড়া আমি ওখানে থেকে যে পরীক্ষা দিবো তার ব্যায় আমার বাবা বহন করতে পারবে না। যদি আবারও লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় তাহলে আগামী বছর পরীক্ষা দিবো।

লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লাবন্য মল্লিক বলেন, আমি পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হওয়ায় আমি আর পরীক্ষা দিতে পারলাম না। ৩৪/৩৫ কিলো মিটার দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তাছাড়া বড় একটি নদী খেয়া পার হয়ে যেতে হয়। আমরা সকালে রওয়ানা দিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে ৩ ঘন্টা লেগে যেতো। এভাবে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। যদি  কখনও লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ,তাহলে আবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবো। না হলে আর পরীক্ষা দেয় হবে না।

এ বিষয়ে মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী রনজিত বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে পারছি এতো দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়ার খরচ মেটাতে না পারায় পরীক্ষা দেয় নাই। এবার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি ভোকেশনাল ১৮ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৭ জন পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) দিপঙ্কর সমাদ্দর বলেন, এভাবে কেন্দ্র কেটে নেয়ায় পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। তিনটি স্কুল দিয়ে এবার সব কটি পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ১৩ জন। আর গত দশ বছর লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫০/৬০ পরীক্ষা দিতো। ফলাফলও ভালো করতো।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করেছিলো ৩৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর সদরে চলে যাওয়ায় মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী ফর্মফিলাপ করে। ১৩ শিক্ষার্থী আর ফর্মফিলাপ করে নাই। এ থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এ বিষয়ে পিরোজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, আমার এই বিষয়টা জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিবো। আমি খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

উল্লেখ্য , ২০১৩ সালে লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কেন্দ্রে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতো।


আরও খবর



ওমরা করতে স্বজনদের সাথে সৌদি আরবে ফেরদৌস

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ ওমরাহ হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২টায় একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ফেরদৌস। সঙ্গে রয়েছেন মা, শাশুড়ি এবং বোন।

এদিকে, মক্কা শরিফে তোলা একটি ছবি শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন ফেরদৌস। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, আলহামদুল্লিলাহ’।

ফেরদৌস সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিং ও উপস্থাপনাতেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন।

ফেরদৌস আহমেদ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র নায়ক সালমান শাহর অসমাপ্ত কাজ বুকের ভিতর আগুন’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন ছটকু আহমেদ। তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিচালনায় পৃথিবী আমারে চায় না’। পাশাপাশি তিনি কলকাতার চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।


আরও খবর



‘স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে স্থায়ী দোকানে টিসিবির সুলভ মূল্যের পণ্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে নাগরপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টিসিবির স্মাট কার্ড ও হুইল চেয়ার বিতরণ এবং অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির কার্ডধারীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবে এই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। টিসিবির ট্রাক সেল থেকে পণ্য নিতে এসে অনেকেরই শ্রমঘণ্টা নষ্ট হতে দেখা যায়। বাড়ির পাশের দোকান থেকেই যদি কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে এই সমস্যা থাকে না। এজন্য টাঙ্গাইলের নাগরপুরকে মডেল হিসেবে নিয়ে স্থায়ী দোকানে টিসিবি পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের এক কোটি পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নাগরপুরে রয়েছে ১৬ হাজার ৪২৯ পরিবার। টিসিবি অনেক বড় একটি কর্মযজ্ঞ। এ দেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পূরণে ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টিসিবি প্রতিষ্ঠা করেন।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা বেগম শিপ্রা, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, গয়হাটার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামসুল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমরান হোসাইন শাকিল প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী কলিয়া-সরিষাজানি রাস্তার উদ্বোধন করেন। মতবিনিময় সভা শেষে দুপুরে তেবাড়িয়াপাইকশা বাজার এবং তেবাড়িয়া মহারাজের দোকান হতে নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। পরে সলিমাবাদে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত  উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ খান ঝলকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।


আরও খবর



আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে হৃদয়কে শাস্তি দিল আইসিসি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে হতাশ বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অল্প ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে লংকানদের উড়িয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। তবে তৃতীয় ম্যাচে নুয়ান থুশারার বিধ্বংসী বোলিংয়ে আর সুবিধা করতে পারেনি দলটি। সিরিজ হারের পর দুঃসংবাদ পেলেন বাংলাদেশের ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে হৃদয়কে। এছাড়াও তার নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। রবিবার (১০ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই শাস্তির কথা জানায় আইসিসি।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারের ঘটনা সেটি। ক্রিজে এসে প্রথম বলেই লংকান পেসার নুয়ান থুশারার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন হৃদয়। আউট হয়ে ফেরার পথে তিনি ঘুরে দাঁড়ান এবং আগ্রাসী ভঙ্গিতে লংকান খেলোয়াড়দের দিকে তেড়ে যান। পরে আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে মাঠ ছাড়েন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার।

বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি আইসিসি। সংস্থাটির কোড অব কন্টাক্টের ২.২০ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। হৃদয় নিজের ভুল স্বীকার করে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের দেওয়া সাজা মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

এবারই প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন হৃদয়। আইসিসির নিয়মানুযায়ী, ২ বছরের মধ্যে কেউ যদি ৪ বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পায় তাহলে সেটিকে ধরা হয় সাসপেনশন পয়েন্ট। কোনো ক্রিকেটার দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট পেলে একটি টেস্ট অথবা দুইটি ওয়ানডে কিংবা দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (যেটি আগে আসে) নিষিদ্ধ হন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




শিশুর সামনে যে কাজগুলো কখনোই করবেন না

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার আশায় আজকাল বাবামায়েরা শিশুদের নিয়ে মজার মজার ভিডিও তৈরি করেন। মজাচ্ছলে এমন ভিডিও বানালেও এগুলো দীর্ঘ মেয়াদে শিশুর ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

যেমন, অনেকে শিশুকে বড়দের মতো আচরণ করতে শেখায়। বকাঝকা করা, রাগ দেখানো, কাউকে নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করা ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ অনুকরণ করতে উৎসাহিত করেন। শিশুকে এভাবে বড়দের মতো আচরণ করতে দেখে দর্শকেরাও মজা পান।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাবামায়ের এমন আচরণ এখন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কিছু কিছু জিনিস বাবামায়ের কখনই শিশুদের সামনে বলা বা করা উচিত নয়। বাবামা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ। তাই শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে বাবামাকে খুব সতর্ক হতে হবে। বাবামার জানা উচিত, কীভাবে শিশুরা তাঁদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অনুকরণ করে। এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা হয়।

শিশুদের সামনে কখনোই বলা বা করা উচিত নয় এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:

১. চেহারা নিয়ে মন্তব্য

শিশুদের কিন্তু আত্মসম্মান বোধ আছে। মুখের সামনে ওদের চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। অন্যদের সামনে সন্তানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিব্রত করা সবচেয়ে উদ্ভট কাজ। আপনি যদি চান, আপনার সন্তানেরা স্মার্ট, স্বাস্থ্যবান হোক, নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুক, তাহলে তাকে পুষ্টিকর খাবার দিন, নিয়মিত শরীরচর্চা করান। কিন্তু নামডাক কামানোর ধান্দা করা মোটেও সঠিক কাজ নয়।

২. অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা

বাবাময়েরা মাঝে মাঝে শিশুদের সামনে যেসব কথা বলেন বা গসিপ করেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। আপনি যখন অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন বা তাদের সামনে অন্যদের নিয়ে নেতিবাচক গসিপ করেন, তখন শিশুর সামনে ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন না।

কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আপনার শিশু এসব শোনা কথা প্রকাশ করে দিলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে? অন্যের সামনে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে?

৩. শিক্ষা সম্পর্কিত অর্জন নিয়ে নেতিবাচকভাবে সমালোচনা করা

স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ করেছে বলে তাকে কখনোই তোমাকে নিয়ে আমি খুব হতাশ! এ ধরনের কথা বলবেন না। শিশুকে এমন কথা বলা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এতে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনার শিশুর পড়াশোনায় মাঝেমধ্যে গোলমাল হতেই পারে। এবার পরীক্ষায় হয়তো খারাপ করেছে। দেখবেন, হয়তো সে কিছু বিষয়ে ভালোও করেছে। চেষ্টার জন্য তার প্রশংসা করুন। সামনে আরও ভালো করার জন্য উৎসাহিত করুন।

৪. সব সময় ব্যঙ্গ করা

শিশুরা কটাক্ষ বোঝে না। কিন্তু আমরা যখন রাগে চিৎকার করি তখন তারা ঠিকই বুঝতে পারে না। শিশুরা মানুষের আচরণ বুঝতে পারে। কিন্তু আচরণের কোনো বিষয়ের ভুল অর্থ করলে সেটি তাদের বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।

৫. শিশুর সামনে তর্ক বা ঝগড়া করা

দম্পতির মধ্যে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সামনে তর্ক করা মোটেই ইতিবাচক অভিভাবকত্বের একটি আদর্শ উদাহরণ নয়। মতবিরোধের সময় আক্রমণাত্মক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। শিশুদের কাছ থেকে আড়ালে গিয়ে দুজনে মিলে পারস্পরিক মতপার্থক্যগুলোর সমাধান করুন।

৬. গ্যাজেটে বেশি সময় ব্যয় করা

যদি বুঝতে পারেন যে সন্তান গ্যাজেটের (ট্যাবলেট/স্মার্টফোন/ল্যাপটপ) সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করছে, তাহলে খেয়াল করুন আপনিও গ্যাজেটের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সেটি তারা খেয়াল করছে কি না। শিশু মনোবৈজ্ঞানিকেরা সব সময়, ফোন বা ট্যাবলেট একপাশে রেখে বই পড়ার, বাইরে খেলাধুলা করার এবং তাদের সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতা উপভোগ ও শেয়ার করার পরামর্শ দেন।

৮. অন্যদের সামনে তাকে নিয়ে মজা করা এবং উত্ত্যক্ত করা

সন্তানকে অন্যের সামনে উত্ত্যক্ত করাটা অনেকের কাছে মজার বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে সে মনে আঘাত পেতে পারে। এতে আপনার শিশু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং জীবনের অনেক বাস্তবতা নিয়ে ভীতি বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। শিশুদের কখনো প্রকাশ্যে ঠাট্টা করবেন না বা শিশুদের লজ্জা দেবেন না। এটি তাদের আগামী জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৯. মেজাজ হারানো

রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ। আর সন্তান লালনপালনের চাপ থেকে রাগবিরক্তি আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ করে আপনি যখন আপনার শিশুর সামনে রাগ প্রকাশ করেন, সেটি তার জন্য নেতিবাচক হতে পারে। প্রতিবার আপনি মেজাজ হারাবেন, আর তার মনে ভীতি তৈরি করবেন; তখন সে আপনার কাছে যেতে ভয় পাবে।

১০. সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা

বাবামা সন্তানদের রোল মডেল। আপনি কীভাবে আচরণ করেন, সেটি তারা খুব গভীরভাবে খেয়াল করে, এটি সরাসরি তাদের প্রভাবিত করে। কারও সম্পর্কে খারাপ কথা আপনার সন্তানের মনে খারাপ ছাপ ফেলে। আপনি অন্য লোকেদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন তারা একইভাবে আচরণ করতে শুরু করবে। এটি তাদের মনে গভীর ছাপ ফেলতে পারে। এর জন্য তারা উপহাসের শিকার হতে পারে। ইতিবাচক প্যারেন্টিং হলো সদয়, শান্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষিত করে তোলা।

১১. সঙ্গীর নামে কুকথা বলা

শিশুদের সামনে সঙ্গীর নামে কুকথা বলা বা কটূক্তি করা কখনই ঠিক নয়। কারণ তারা এটি বুঝতে পারে না। তারা অজান্তেই আপনাকে অনুকরণ করতে শুরু করবে এবং এটি মজার ব্যাপার মনে করে একই আচরণ করতে শুরু করবে। একপর্যায়ে কটূক্তি করা তার অভ্যাসে পরিণত হবে।

১২. তুলনা

শিক্ষা, খেলাধুলা বা অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপগুলোতে আমরা প্রায়ই শিশুদের অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করি। বাবামায়েরা ভুলে যান যে, তাদের উচ্চ প্রত্যাশা সন্তানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বাবামায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে শিশুর জন্য সেটি হতাশার কারণ হতে পারে। প্রতিটি শিশু ভিন্ন এবং বিভিন্ন ক্ষমতার অধিকারী হয়। এমনকি তাদের ছোট অর্জনেও প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।

১৩. ধূমপান বা মদ্যপান

শিশুদের সামনে ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ তারা অল্প বয়সে গোপনে এ ধরনের অভ্যাস পরীক্ষা করার চেষ্টা করবে। আপনি যখন ধূমপান করেন, এটি কেবল আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, আপনার শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, কানের সংক্রমণ ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।

১৪. উৎকোচ দেওয়া

এই কাজ করলে তোমাকে এই উপহার দেব, পরীক্ষায় ভালো করলে তোমার ওই আশা পূরণ করবএমন কাজ অনেক বাবামায়েই করেন। এভাবে উৎকোচ দেওয়ার চর্চা শিশুকে সম্মানবোধ এবং দায়িত্ববোধ শেখাতে ব্যর্থ হয়। কার্যকর প্যারেন্টিং হলো, শিশুর দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া এবং তার অর্জনের প্রশংসা করার পাশাপাশি পুরস্কৃত করা।

মনে রাখতে হবে, আপনার শিশুর মন অত্যন্ত কোমল এবং তারা নির্ভেজাল হৃদয়ের অধিকারী। অন্যায় এবং অধিকার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই; তাদের সেই জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪