আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ভোমরা স্থলবন্দর: ১ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা রফতানি আয়

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

করোনা-পরবর্তী সময়ে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে বেড়েছে রফতানি আয়। গত অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশী পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৭১৫ টন। ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, করোনা-পরবর্তী সময়ে ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা বাড়ায় রফতানি বেড়েছে। রফতানীকৃত পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস সামগ্রী, রাইস ব্র্যান অয়েল, নারকেলের শলা, পাটের সুতা, ক্লিনিক্যাল ক্লথ, তাঁতি শাড়ি ও প্রাণ গ্রুপের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) এ বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৮ টন বিভিন্ন প্রকার বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হয়েছে। যার রফতানি মূল্য ১ হাজার ৬৭৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থাৎ ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত পণ্য রফতানি হয় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪০৮ টন। যার রফতানি মূল্য ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে রফতানি বেড়েছে ৭১৫ দশমিক ৫০ টন এবং রফতানি আয় বেড়েছে ২০৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার ঘোষ জানান, তার প্রতিষ্ঠানটি বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পণ্য রফতানি করে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ক্লিনিক্যাল ক্লথ, কটন ইয়ার্ন ওয়েস্ট, তাঁতি শাড়ি, গার্মেন্টস প্যান্ট, টুপি, ট্রলি ব্যাগ ও রাইস ব্র্যান অয়েল। তবে করোনা-পরবর্তী সময়ে রফতানি কিছুটা বেড়েছে। রফতানি বাড়ায় আমার প্রতিষ্ঠানে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১০-১৫ শতাংশ রফতানি বেড়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজি দিলওয়ার নওশাদ রাজু বলেন, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ভোমরা বন্দরে রফতানি আয় বেড়েছে। ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে ক্রমান্বয়ে রফতানির পরিমাণ বাড়ছে। তবে রফতানির পাশাপাশি আমদানিও বাড়াতে হবে আমাদের। করোনা-পরবর্তী সময়ে ভোমরা বন্দরে রফতানি বাড়লেও আমদানি কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে। ফলে আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি দিতে হবে। ব্যাংকে এলসি (ঋণপত্র) জটিলতা নিরসন করে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হবে।

সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসিম ফারুক খান বলেন, আমদানি বা রফতানি উভয় দিক থেকে ভোমরা স্থলবন্দর খুবই সম্ভাবনাময়। খুব সহজে এ বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি করা যায়। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত কলকাতায় দেশের অন্যসব বন্দরের তুলনায় কম সময়ে পৌঁছানো যায়। তবে এ বন্দরের সক্ষমতা বাড়ালে পণ্য আমদানি-রফতানি আরো বাড়বে। ভোমরা বন্দরে ভারী কোনো পণ্য লোড-আনলোড করার মতো ক্রেন বা অন্য সক্ষমতা নেই। তার পরও রফতানি বাড়ছে এ বন্দরে। তবে রফতানির পরিমাণ বাড়লেও আমদানির তুলনায় তা অপ্রতুল।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান বলেন, করোনার পর ভোমরা বন্দরে রফতানি বেড়েছে, এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাছাড়া ভোমরা বন্দরে আমদানি বা রফতানি দুটোই সহজ। এখানে পণ্যজট বা যানজটের কোনোটাই হয় না।

নিউজ ট্যাগ: ভোমরা স্থলবন্দর

আরও খবর
হজ প্যাকেজের খরচ কমল

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




রোজায় নিজেকে ভালো রাখতে করুন এই ৫ কাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

রমজান সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস। এটি এমন একটি সময় যখন মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন, দিনের আলোতে খাবার ও পানীয় পান করেন না। এই সময়ে শরীর সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখা গুরুত্বপূর্ণ। রমজানে নিরাপদে রোজা রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে কিছু কাজ। রোজায় নিজেকে ভালো রাখতে এই ৫ কাজ করুন-

পুষ্টিকর খাবার খান : রমজানের সময় প্রতিটি ক্যালোরি গণনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ভাজা আইটেম এবং মিষ্টির মতো ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ফল, শাক-সবজি এবং দানা শস্যের মতো পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। এগুলো সারাদিন আপনার শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে। সেহরি এবং ইফতারের সময় জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত সুষম খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন : রোজা রাখলেও রমজানে ব্যায়াম করা যায়। ব্যায়াম আপনার মেজাজ উন্নত করতে, চাপ কমাতে এবং শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে। ডিহাইড্রেশন এবং ক্লান্তি এড়াতে নন-ফাস্টিং ঘণ্টাগুলোতে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীর সঠিকভাবে হাইড্রেটেড এবং জ্বালানি থাকলে সন্ধ্যার প্রথম দিকে বা ইফতারের পরে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। রমজানে হাঁটা বা হালকা যোগব্যায়ামের মতো কম প্রভাবশালী ব্যায়ামের দিকে মনোযোগ দিন।

হাইড্রেটেড থাকুন : রোজার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো হাইড্রেটেড থাকা। রমজান মাসে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য। রোজা রাখার আগে কমপক্ষে ৪-৫ গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য ইফতারের পরে ৩-৪ গ্লাস পানি পান করুন। কোমল পানীয় এবং এনার্জি ড্রিঙ্কের মতো চিনিযুক্ত পানীয় এড়ানোও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং আপনাকে আরও বেশি তৃষ্ণার্ত বোধ করাতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম : রমজান মাসে শরীরকে রিচার্জ এবং পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর লক্ষ্য রাখুন এবং ঘুমের চক্র বজায় রাখতে তাড়াতাড়ি বিছানায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন এবং অন্যান্য উদ্দীপক এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো আপনার ঘুম নষ্ট করতে পারে এবং পরের দিন আপনি ক্লান্ত ও অলস বোধ করতে পারেন।

নিজের যত্ন নিন : রমজান মাসটি মানসিক এবং শারীরিকভাবে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় হতে পারে, তাই এসময় নিজের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্রাম নেওয়া কিংবা নিজের ভালোলাগার কিছু কাজ করতে পারলে তা আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। ধর্মীয় প্রার্থনা আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে এবং আপনার মানসিক সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করবে। এই সময়ে নিজের যত্ন নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন এবং নিজেকে খুব বেশি চাপ দেবেন না।


আরও খবর



৫১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারঘোষিত ছুটি শুরু হওয়ার একদিন আগেও দেশের ৫১ শতাংশের বেশি মিল-কারখানা এখনো কর্মচারীদের মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।

তাদের তথ্যে দেখা গেছে, ৯ হাজার ৪৬৯ কারখানার মধ্যে ৪ হাজার ৮৪৯টি সোমবার পর্যন্ত মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। অর্থাৎ ৫১ দশমিক ২১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের তথ্যানুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ৪৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা চার হাজার ৬২০টি মিল ও কারখানা মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। কারখানা ও মিলগুলো আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নরসিংদীর শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত।

অন্যদিকে, ঈদের আগে বোনাস পরিশোধ করেছে ৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কারখানা, যেখানে ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা এক হাজার ৭৬৬টি মিল-কারখানা এখনো বোনাস দেয়নি।

এক বিবৃতিতে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১১৬টি মিল ও কারখানা ঈদের ছুটি ঘোষণা করবে না এবং ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বা তিন হাজার ৩৮১টি মিল ও কারখানা ইতোমধ্যেই ছুটি ঘোষণা করেছে। গতকাল পর্যন্ত ৬৩১টি মিল ও কারখানা বন্ধ ছিল এবং ৭১টি আংশিকভাবে খোলা ছিল।

গত ২৭ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ঈদের ছুটি শুরুর আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

শ্রম মন্ত্রণালয়ে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তখন কোনো নির্দিষ্ট তারিখের কথা না বললেও ঈদের সরকারি ছুটি শুরুর আগেই অর্থ পরিশোধ করার কথা বলেন তিনি।


আরও খবর



পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য হলেন ড. মজিবুর রহমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. মজিবুর রহমান পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (জীববিজ্ঞান) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। সদস্য পদে নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে তিনি কমিশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর National Liaison Officer (NLO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ড. রহমান দেশের ৮টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ইনষ্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলাইড সাইন্সেস (ইনমাস) স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ২০১৭-২০২৩ পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. মো. মজিবুর রহমান ২০০৩ সালে Catholic University of Leuven, Belgium থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০৮ সালে Friedrich-Schiller-University of Jena,  Germany তে Alexander von Humboldt Foundation (AvH) - এর Research Fellow হিসেবে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষনা সম্পন্ন করেন।

এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে তার ৫০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি দাপ্তরিক কাজে বেলজিয়াম, জার্মানি, অষ্ট্রিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাষ্ট, পানামা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড সহ প্রায় ২০টির অধিক দেশ সফর করেন।

ড. রহমান ১৯৬৬ সালে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার পানিপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার সহধর্মিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

ড. মজিবুর রহমান, বাংলদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের পর পর দুবার (২০১৪-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৮) নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কমিশন তথা বিজ্ঞানীদের কল্যানে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।


আরও খবর



যেখানে বেগুনের কেজি এক টাকা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রংপুরের পীরগাছায় বেগুন এক টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। তাই তোলার খরচ না ওঠায় ক্ষেতেই পঁচে যাচ্ছে কষ্টের ওই ফসল।

তবে কৃষক নেতারা জানান, রাজধানীতে বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা হলেও মধ্যসত্বভোগীর লোভের কারণেই নিঃস্ব হচ্ছেন চাষিরা। সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনার দাবি করেন তারা।

রংপুরের পীরগাছার কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, ২০ শতক জমিতে তিনি চাষ করেছেন বেগুন। এতে খরচ হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। শুরুতে কিছুটা দাম থাকায় ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পেরেছেন। তবে এখন ক্রেতা না থাকায় খেতেই নষ্ট হচ্ছে কষ্টের ফসল। বেগুন বাজারে নিয়ে গেলে ১০০ টাকা বস্তা অথবা এক টাকা কেজি দাম বলে। তাই এখন ক্ষেতেই বেগুন থাকছে। মাঝে মাঝে কিছু বেগুন তুলে গরুকে খাওয়াই নিজে খাই।

গ্রামটির অন্য চাষিরাও বলে একই কথা। তারা জানান, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে এক টাকায়। ক্ষেত থেকে তোলার খরচ না ওঠায় গবাদি পশুকে খাওয়াচ্ছেন ওই সবজি।

এ বিষয়ে রংপুর জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, প্রান্তিক গরিব কৃষক যখন উৎপাদন করেন; তবে সরাসরি তারা বাজারে বিক্রি করতে পারেন না। প্রতিটি শহরে কৃষকের বাজার ব্যবস্থা যদি প্রতিষ্ঠা করা যায়। তাহলে একদিকে ভোক্তারা যেমন লাভবান হবেন; তেমনি কৃষকরাও লাভবান হবেন।

কৃষক সংগঠনের নেতারা বলেন, রাজধানীতে বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা হলেও মধ্যসত্বভোগীর লোভের কারণে মাঠের কৃষক পাচ্ছেন মাত্র এক টাকা। সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা না থাকায় নিঃস্ব হচ্ছেন চাষিরা।

ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না করলে চাষিরা উৎপাদনে আগ্রহ হারাবেন বলেও মনে করছেন কৃষক নেতারা।


আরও খবর



হামলায় জড়িত সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে: পুতিন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মস্কোয় একটি কনসার্ট হলে প্রাণঘাতী হামলার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই হামলাকে 'বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা' বলে অভিহিত করে একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২৩ মার্চ) টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, আমি আজ রক্তাক্ত। বর্বরোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি যার শিকার কয়েক ডজন নিরপরাধ মানুষ। শান্তিপূর্ণ মানুষ ছিল সবাই। আমি ২৪ মার্চকে জাতীয় শোকের দিন হিসেবে ঘোষণা করছি।

পুতিন বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যে চারজন অপরাধী মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছিল, তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। তারা ইউক্রেনের দিকে যাচ্ছিল। যারা সন্ত্রাসীদের পেছনে ছিল এবং যারা হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে, তাদের সবাইকে আমরা চিহ্নিত করে শাস্তি দেবো।

এদিকে, মস্কোতে কনসার্ট হলে হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার তদন্ত কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা আদান-প্রদান অ্যাপ টেলিগ্রামের এক পোস্টে কমিটি জানায়, জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা কনসার্ট ভেন্যুতে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার সময় সেখানে আরও কিছু লাশ খুঁজে পাওয়া যায়।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলাকারীরা গুলির পাশাপাশি বিস্ফোরকও ব্যবহার করেছে। এতে ক্রোকাস সিটি হলে আগুন ধরে যায়। ধসে পড়েছে হলের ছাদ।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চ রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস একটি নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে। সতর্কবার্তায় বলা হয়, মস্কোয় বড় জমায়েতে উগ্রপন্থীদের হামলার পরিকল্পনার খবর জানা গেছে। এ সতর্কবার্তায় বড় জমায়েতের মধ্যে কনসার্টের কথাও বলা হয়েছিল। সতর্কবার্তায় মস্কোয় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার জন্য বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর