আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ভোলায় সেই আলোচিত গৃহবধু হত্যার ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
পরান আহসান, ভোলা

Image

ভোলার ইলিশায় আলোচিত গৃহবধূ কুলসুম হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। স্ত্রী কুলসুম হত্যার ঘটনায় তার স্বামী তছির আহমেদকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ মে)  দুপুরে  তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তছির কে সাথে নিয়ে তদ্বিরের পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, গত রোববার (১৪ মে) গভীর রাতে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাজিকান্দি গ্রামে ঘরে ঢুকে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিবি কুলসুম (৪০) কে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশ গতসোমবার (১৫ মে) সকালে কুলসুমের ঘর থেকে নিহত অন্তঃসত্ত্বা কলসুম গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। কূলসুম ওই গ্রামের মো. তছির মাঝির স্ত্রী। সে ৫ সন্তানের জননী এবং ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার স্বামী তছির পেশায় একজন জেলে।

আরও পড়ুন: স্ত্রী-ছেলেকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নিহত কুলসুমের ভাই মামলার বাদী নুরুল ইসলাম সাংবাদিক দের জানান, আমার ভগ্নীপতিই আমার বোনকে হত্যা করেছে। আমরা খুনির ফাঁসি চাই তবে এই ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার দাবী জানিয়েছে নুরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে কুলসুম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: আনোয়ার হোসেন জানান, গত ১৫ মে বিবি কুলসুমের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করার পর থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং সন্দেহাতীত ভাবে কুলসুমের স্বামী তছিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তছির আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন এবং স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

এ দিকে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহিন ফকির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোঃ তছির সাজি ঘটনার সাথে তার নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে হত্যাকান্ডের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান  করে। আসামি তার বিরুদ্ধ পক্ষকে ফাঁসানোর নিমিত্তে উক্ত হত্যাকাণ্ড  ঘটিয়েছে  বলে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দির প্রদান করেছেন।

আরও পড়ুন: ঝড়ের কবলে বিষখালী নদীতে চারটি ট্রলার ডুবি

তিনি আরো বলেন, স্ত্রী বিবি কুলসুমকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করায় স্বামী তছিরকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে   আদালতে তোলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে যাচাই করতঃ জড়িত অন্যান্য আসামীদের সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।


আরও খবর



উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৬ সদস্যের দুর্ধর্ষ ‘কিলার গ্রুপ’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয় ১৬ সদস্যের দুর্ধর্ষ কিলার গ্রুপ। যারা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং, অপহরণ, মাদক ও অস্ত্র সরবরাহ করত। একই সঙ্গে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামও নানা উপায়ে সংগ্রহ করত। যা দিয়ে নাশকতার পাশাপাশি পুরো ক্যাম্পের অপরাধ কার্যক্রম চালানো হতো।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার করিম উল্লাহসহ ৪ জনকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এলজি, ৭টি ককটেল, ৫ রাউন্ড এ্যামুনিশন এবং ১২ বোর ১ রাউন্ড গুলি।

উখিয়ার ঘোনারপাড়াস্থ ২০ নম্বর বর্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ নম্বর ব্লকে অভিযানে গ্রেফতারের মধ্যে রয়েছে বালুখালীর ২০ নম্বর ক্যাম্পের হোসেন আহমেদের ছেলে বর্তমানে বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ বিভাগের প্রধান মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ (৩২), কুতুপালং এর ৭ নম্বর ক্যাম্পের মৃত মো. কায়সারের ছেলে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী মো. আকিজ (২৭), ১৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে আরসার অর্থ বিভাগের সহযোগী মোহাম্মদ জুবায়ের (২৯), ২২ নম্বর ক্যাম্পের মৃত হাসমত উল্লাহর ছেলে আরসার গান গ্রুপের সদস্য সাবের হোসেন প্রকাশ মৌলভী সাবের (৩৫)।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন সংবাদ পেয়ে উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্পে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাবের অবস্থান টের পেয়ে আরসা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করা হয়। আর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও ককটেল।

তিনি জানান, গ্রেফতার আরসার এই ৪ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে হামলা করাসহ ৮টির অধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করে ৪ জনকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহর ব্যাপারে র‌্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতার মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ স্বপরিবারে ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় রাস্তার পাশে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে স্বপরিবারে ক্যাম্প-১২ তে গিয়ে বসতি নির্মাণ করে অস্থায়ীভাবে বসবাস এবং সেখান থেকে ক্যাম্প-২০ এ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তিনি ক্যাম্প-২০ এ বসবাসের সুবাদে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্যাম্প-২০ এর আরসা জিম্মাদার মৌলভী ইয়াসিনের মাধ্যমে আরসায় যোগদান এবং আরসার সাথী সদস্য হিসেবে কাজ করতে থাকে। তিনি ২০২০ সালে পার্শ্ববর্তী দেশে আরসার প্রশিক্ষণ শেষ করে বাংলাদেশে পুনরায় প্রবেশের পর ক্যাম্প-২০ এর এম/৩৩ ব্লকের জিম্মাদার এবং আরসার হয়ে হত্যা ও চাঁদাবাজি সহকারে নানান ধরনের অপকর্মের ফলশ্রুতিতে তাকে ক্যাম্প-২০ এর হেড জিম্মাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে তিনি ক্যাম্পে আরসার সদস্য বৃদ্ধি সহকারে তার নিজের প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। তার নেতৃত্বে ১৬ সদস্যদের একটি অস্ত্রধারী গান গ্রুপ পরিচালনা করতো। আরসার অস্ত্রধারী গান গ্রুপের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তারকাটার বাইরে বাংলাদেশের পাহাড়ে অবস্থান করে থাকে। রাতের আঁধারে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘঠিত করে আরসা সন্ত্রাসীরা সকাল ৭/৮ টার আগেই ক্যাম্প ত্যাগ করে পুনরায় পাহাড়ে অবস্থান নিতো।

জিজ্ঞাসাবাদে মো. করিম উল্লাহ জানান, আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির নির্দেশে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ টেকনাফের খারাংখালী এবং উনচিপ্রাং সীমান্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়া মাস্টার কলিম উল্লাহর কাছে আসতো। পরবর্তীতে সকল ক্যাম্পের জন্য বরাদ্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ তিনি নিজেই আরসা ক্যাম্প কমান্ডারদের কাছে হস্তান্তর করতো। অতঃপর ক্যাম্প কমান্ডাররা অস্ত্র-গোলাবারুদ আরসা কিলার গ্রুপের মাঝে সরবরাহ করতো। এছাড়াও মাস্টার কলিম উল্লাহ বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী ও সদরের ভারুয়াখালী এলাকা এবং টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেশীয় অস্ত্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় করতো।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, মো. করিম উল্লাহ নানা কৌশল অবলম্বন করে মাইন ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আরসার গোপন আস্তানা ও গহীন পাহাড়ে নিয়ে যেতো। পরবর্তীতে মাইন ও বিস্ফোরক তৈরির পারদর্শী আরসা সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের মাইন, বোমা ও বিস্ফোরক তৈরি করতো। তৈরি করা এ সকল বিস্ফোরক রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হতো। মো. করিম উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ৮টি মামলা রয়েছে।

মো. আকিজের ব্যাপারে র‌্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতার মো. আকিজ ২০১৭ সালের প্রথম দিকে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে উনচিপ্রাং সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং ক্যাম্প-৭ এ বসবাস শুরু করেন। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে ক্যাম্পে বসবাস করতেন। তিনি আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন। তাছাড়া তিনি আরসার অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আরসা প্রধানের পক্ষ থেকে বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতো। পরবর্তীতে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে চট্টগ্রামে বসবাসকালে তিনি আরসা নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতো এবং চট্টগ্রাম থেকে আরসার জন্য লজিস্টিক সামগ্রী সহকারে বিভিন্ন মালামাল পাঠাতো। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, মোহাম্মদ জুবায়ের বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ শাখার প্রধান মাস্টার কলিম উল্লাহ তার আপন চাচাতো ভাই। সেই সুবাদে মো. করিম উল্লাহর একান্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। এই সময়ে তিনি মাস্টার কলিম উল্লাহর নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি, অগ্নি সংযোগ সহকারে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার সাবের হোসেন প্রকাশ মৌলভী ২০১৭ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ক্যাম্প-২২ এ বসবাস করেন। এরপর ক্যাম্পের ইবনে আব্বাস মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। তিনি আরসার নেট গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তিনি আরসার সন্ত্রাসীদের পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করতো এবং আরসার সদস্যদের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আরসার গান গ্রুপের ক্যাম্পে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতো বলেও জানায় র‌্যাব অধিনায়ক।

র‌্যাব জানায়, এখন পর্যন্ত র‌্যাব-১৫ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সামরিক কমান্ডার, গান গ্রুপ কমান্ডার, অর্থ সম্পাদক, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও নানা বিভাগের প্রধানসহ ১০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ১০টি বিদেশি অস্ত্র, ৫২টি দেশীয় অস্ত্র, ১৪৪ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ, ৬৭ রাউন্ড খালি খোসা, ৫০.২১ কেজি বিস্ফোরক, ২৮ টি ককটেল, ৪টি আইইডি, ১.৫ কেজি মার্কারী (পারদ) এবং ৪টি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর



চবির ভিসি পদে যোগদান করলেন অধ্যাপক আবু তাহের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবু তাহের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) পদে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।

বুধবার (২০ মার্চ) সকালে ভিসি দপ্তরে যোগদান করেন তিনি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, চবির সদ্য বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও দুই প্রো-ভিসি উপস্থিত ছিলেন।

যোগদান শেষে চবি নবনিযুক্ত ভিসি, প্রো-ভিসিদ্বয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দকে সাথে নিয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে চবি ভিসি দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক মতবিনিময় ও সংবর্ধনা সভা।

সংবর্ধনা সভা শেষে চবি নবনিযুক্ত ভিসি সকলকে সাথে নিয়ে চবি স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যূরাল, শহীদ মিনার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধ ও চবি স্মরণ চত্বরে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

মতবিনিময় সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন চবির নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের, সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, দুই প্রো-ভিসি, চবি সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, চবি সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, চবি আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ।

এসময় ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান চর্চা, জ্ঞান সৃজন ও জ্ঞান বিতরণের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণাবান্ধব একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে সকলকে সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ৪৬ বছর আগে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ছাত্র হিসেবে এসেছি; আজ ভিসির দ্বায়িত্ব নিয়েছি। রাষ্ট্র আমাকে যে দ্বায়িত্ব দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অ্যালামনাই হিসেবে আমি তা যথাযথভাবে পালন করে যাব।


আরও খবর



ওয়ালটন ক্যাম্পেইনে ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন সিলেটের লাকি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এ ক্রেতাদের ননস্টপ মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন সিলেটের বালাগঞ্জের গৃহিণী লাকি বেগম। মাত্র ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩১তম মিলিয়নিয়ার হলেন তিনি। ওয়ালটনের ১০ লাখ টাকায় বদলে গেলো লাকি বেগমের ভাগ্য।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এর আগেও ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন ৩০ জন ক্রেতা। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে সিজন-২০ এ সেরা পণ্যে সেরা অফার স্লোগানে আবারো এই সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ননস্টপ মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।

রোববার (১০ মার্চ) সিলেটের ওয়ালটন প্লাজা তাজপুর শাখা কর্তৃক তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মিলিয়নিয়ার লাকি বেগমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস এবং চিত্রনায়ক আমিন খান।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, ওয়ালটন প্লাজার চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর, ওয়ালটন প্লাজা তাজপুর শাখার ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন, ওসমানিনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শামীম আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতাউর রহমান চৌধূরী, তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মামুনুর রশিদ খলকু ও প্রধান শিক্ষক শিল্পি পাল, কদমতলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নোমান আহমদ জাহাঙ্গির প্রমুখ।

ক্রেতা লাকি বেগম উছমান পুরের দক্ষিণ রাইগ দাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্বামী ও দুই ছেলেসহ ৪ সদস্যের পরিবার তার। অভাবের সংসারে স্বামী খাজা মিয়ার মুদি দোকানই একমাত্র ভরসা। দোকানে ব্যবহারের জন্য চলতি মাসের ২ তারিখে ওয়ালটন প্লাজা তাজপুর শাখা থেকে কিস্তিতে ৩৫ হাজার ৬৬৬ টাকা মূল্যের একটি ফ্রিজ কেনেন লাকি বেগম। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। সেই টাকায় ঋণ শোধ করার পাশাপাশি স্বামীর ব্যবসাকে আরো বড় করবেন তিনি।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় লাকি বেগম জানান, গ্রামের অধিকাংশ লোকই ওয়ালটনের ফ্রিজ ব্যবহার করেন। দাম সাধ্যের মধ্যে, দেখতে সুন্দর এবং দীর্ঘ বছর চলে বিধায় ওয়ালটন ফ্রিজই কেনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

তিনি বলেন, ওয়ালটনের একটা ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো তা কল্পনাতেও আসেনি। এ ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই টাকায় আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে। ওয়ালটন প্রমাণ করলো- তারা ক্রেতাদের যা বলে, তা তারা পুরোপুরি মেনে চলে।

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন, দেশের টাকা দেশে রাখতে হলে দেশে তৈরি পণ্য কেনার কোনো বিকল্প নেই। দেশে তৈরি পণ্য কিনলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী হবে। ওয়ালটন দেশেই নিজস্ব কারখানায় পণ্য তৈরি করে। সেসব পণ্য শুধু দেশের চাহিদাই মিটাচ্ছে না; ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। ওয়ালটন আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ওয়ালটন যে ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখে তার প্রমাণ আজকের এই অনুষ্ঠান।

জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারের ঈদেও স্থানীয় বাজারে ফ্রিজের প্রায় ৮০ ভাগ চাহিদা এককভাবে নিজেরাই পূরণের টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। টার্গেট পূরণে ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে তিন শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও বেভারেজ কুলার। এসব ফ্রিজের দাম ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে। ওয়ালটন ফ্রিজে এআইওটি বেজড স্মার্ট প্রযুক্তি, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও অ্যান্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি, ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ায় গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রমজানে ব্যবসায়ীদের সড়কে বসতে দেবে না পুলিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে যানজট কমাতে রমজানজুড়ে কোনো ব্যবসায়ীকে সড়কে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে পবিত্র রমজান মাসে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনা’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান।

তিনি বলেন, রমজান মাসে রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে। ইফতারের তিন ঘণ্টা আগে অফিস ছুটি হলেও কমছে না যানজট। তাই যানজট নিরসনে এখন থেকে কোনো ব্যবসায়ী সড়কে যাতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় অফিস ছুটি হলেও দেখা যায় বিকেল সাড়ে ৫টার আগ থেকে ইফতারের সময়ের আগ পর্যন্ত অধিকাংশ যানবাহন তড়িঘড়ি করে গন্তব্যস্থলে রওনা হয়। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টার সেকশনে অযাচিত ট্রাফিক যানজট তৈরি হয়। মহানগরের বিদ্যমান বাস্তবতায় চার বা তিন রাস্তার ইন্টার সেকশনে যেকোনো এক লেনের যানবাহনের জন্য সিগন্যাল চালু করলে অন্য লেনগুলো সাময়িক বন্ধ রাখতে হয়। যেহেতু ইফতারের আগে সবারই ফিরতে হয় তাই লাইন ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি বিবেচনা করলে এটি চ্যালেঞ্জও বটে। তাই অফিস ছুটির সময় অর্থাৎ সাড়ে ৩টা থেকে বা এর কাছাকাছি সময় থেকে বাসার উদ্দেশ্যে ফেরার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করা হয়। যা সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে দেয় এবং যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। রমজানের শুরু থেকেই ট্রাফিক বিভাগ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিং না করা থেকে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

ভারী যানবাহনের জন্য ডিএমপি এলাকায় প্রবেশের নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে জানিয়ে ট্রাফিক বিভাগের প্রধান বলেন, অনেক সময় সেই সময়সীমা না মেনে তারা চলার চেষ্টা করে যা যানজটের সৃষ্টি করে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই ভারী যানবাহন চলাচলের বিষয়টি মেনে চলতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ঢাকা শহরের ছোট বড় সড়কে মেরামতের কাজ চলে। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রমজান মাসে এসব সড়ক চলাচল উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে চিঠি চালাচালিও করা হয়েছে।


আরও খবর



আন্দোলনে উত্তাল জবি, উপাচার্যের কাছে যেসব দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মাঝরাতেই আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে ক্যাম্পাস। রাতেই আন্দোলনে উত্তাল ক্যাম্পাসে ছুটে যান উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় উপাচার্য ক্যাম্পাসে গেলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তখন ড. সাদেকা হালিম শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন।

এসময় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১২ ঘণ্টায় মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন :ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে শাস্তির বিধান রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে গেছেন। তাই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া সব বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এদিকে এর আগে উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাইরুজ অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।

ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মাঝরাতেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয় জবি ক্যাম্পাস। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থাকেন। এছাড়া টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।


আরও খবর