আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ভোলায় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ গ্রহণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ভোলা প্রতিনিধি:

৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত ভোলা সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সাংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ভোলা জেলাপ্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ১২টি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ১০৮ জনসাধারন সদস্য ও ৩৬ জনসংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য শপথ গ্রহণ করেন।

এ সময় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করান ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তৌফিক ইইলাহি চৌধুরী। ইউপি সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম।

নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগনকে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় বক্তারা নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব মো. তৌহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ তৌফিক এলাহি চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভোলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জনাব মো. রাজিব আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মো. মোশারেফ হোসেন প্রমূখ।

উল্লেখ্য, গত ৫ই জানুয়ারী ভোলা সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে ৯টি ও ৩টি তে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: ভোলা

আরও খবর



হাইতির দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গ্যাং সহিংসতা বাড়ার কারণে হাইতি থেকে দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বিমানযোগে দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

রবিবার (১০ মার্চ) এক বিবৃতিতে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্স এবং ক্যারিবিয়ান দেশ জুড়ে সহিংসতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইতিতে মার্কিন দূতাবাস থেকে বিমানযোগে আমেরিকান কর্মীদের সরিয়ে নিতে শনিবার থেকে রবিবার রাতভর অভিযান চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও কর্মকর্তারা জানান।

রবিবার সকালে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনুরোধে মার্কিন সামরিক বাহিনী পোর্ট-অব-প্রিন্সে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়াতে একটি অপারেশন পরিচালনা করে এবং দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড বলেছেন, এই মুহূর্তে দূতাবাসে যেসব কর্মীদের খুব একটা প্রয়োজন নেই, তাদেরকে বিমানে করে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তবে দূতাবাস খোলা থাকবে। দূতাবাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, দূতাবাস চত্বর ও বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকায় সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায়, নিরাপত্তা বিবেচনায় অতিরিক্ত কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



জিম্মি জাহাজ হাতবদল, নিয়ন্ত্রণে নতুন জলদস্যু দল

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদর কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জলদস্যূদের নতুন আরেকটি দল। জাহাজটি একবার নোঙর করার পর শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে আবার জাহাজটির অবস্থান পরিবর্তন করে জলদস্যূরা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সোমালিয়ার উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছিল জাহাজটি। এরপর জলদস্যুদের আগের দল জাহাজ থেকে নেমে পড়ে। আরও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৫-২০ জনের নতুন আরেকটি দল জাহাজের দায়িত্ব বুঝে নেয়। নোঙর তুলে শুক্রবার বিকেলে তারাই জাহাজটির অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে নতুন করে। এদের সঙ্গে আছে ইংরেজি জানা একজন ইন্টারপ্রিটারও। শুক্রবার পর্যন্ত সোমালিয়ার জলদস্যুরা মুক্তিপণ হিসাবে কোনো নির্দিষ্ট অংক দাবি করেনি। এ ব্যাপারে মালিকপেক্ষরও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি তারা। ধারণা করা হচ্ছে, দ্রুতই তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে মুক্তিপণের প্রস্তাব পাঠাবে জলদস্যুরা। এদিকে জাহাজটির আবার অবস্থান পরিবর্তনের খবর শুনে আতংক বেড়েছে জিন্মিদের পরিবারে। উৎকণ্ঠা নিয়ে স্বজনরা ঘটনার কারণ জানতে চাচ্ছেন জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে।

কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র ও মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার জাহাজটি উপকূল থেকে দুই নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছিল। এরপর জলদস্যুদের নতুন আরেকটি দল জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। কিন্তু শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জাহাজটি আবার অবস্থান পাল্টাতে থাকে। জলদস্যুদের কেউ আমাদের সঙ্গে এখনও মুক্তিপণের ব্যাপারে যোগাযোগ করেনি। তবে নাবিকরা সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।’

জাহাজের অবস্থান পরিবর্তনের খবর শুনে আতংক বেড়েছে জিম্মিদের স্বজনদের মনে। এদেরই একজন নাবিক সাজ্জাদের স্ত্রী নাজমিন আকতার নুপুর। জাহাজের অবস্থান পরিবর্তনের খবর পেয়ে মালিকপক্ষের কাছে ফোন করেছেন তিনি। নাবিকদের শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর জানতে চান তিনি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে খালাতো বোন নাজমিন আকতার নুপুরের সঙ্গে বিয়ে হয় সাজ্জাদ হোসেনের। কাবিননামা হওয়ার পরদিনই জাহাজে উঠেন নাবিক সাজ্জাদ হোসেন। কথা ছিল ফিরে এসে জাঁকজমক আয়োজনে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজের নাবিক সাজ্জাদ হোসেনের। ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে এখন জিন্মি হয়ে আছে সে। কবে নাগাদ মুক্তি মিলবে তা জানেন না সাজ্জাদের নব বিবাহিতা স্ত্রী নুপুরও।

অশ্রুসিক্ত চোখে সাজ্জাদ হোসেনের বড় ভাই মোস্তাক হোসেন বলেন, সর্বশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে আমার হোয়াটসঅ্যাপে একটি অডিও বার্তা পাঠায় সাজ্জাদ। সেখানে সে নুপুরকে দেখে রাখতে বলে। মা-বাবাকে তার জন্য দোয়া করতে বলে। বুধবার সারা দিন চেষ্টা করেও ভাইয়ের সঙ্গে আর কোনো কথা বলতে পরিনি। সব যোগাযোগ বন্ধ করে রেখেছে জলদস্যুরা।’

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর একটার দিকে এমভি আবদুল্লাহ’ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সশস্ত্র জলদস্যুরা মাত্র ১৫ মিনিটে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এর পর সোমালিয়া উপকূলের দিকে যাত্রা শুররু করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সোমালিয়ার গ্যারাকাড উপকূলে পৌঁছেছে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর একই গ্রুপের আরেকটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেই জাহাজের নাম এমভি জাহান মণি। বড় অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে ১০০ দিনের মাথায় ওই জাহাজ থেকে মুক্তি পান ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী।

জিম্মি জাহাজের নাবিকরা হলেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মো. শামসুদ্দিন, মো . আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ।


আরও খবর



পাবনায় ধানের চাতালে বয়লার বিস্ফোরণ, শিশুসহ নিহত ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ফরিদপুরে চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে শিশুসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ধানের চাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ফরিদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও চালকলের মালিক জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)। অপরজন চাতালে কর্মরত মহিলা শ্রমিক গোপাল নগর গ্রামের পাখি খাতুনের শিশু সন্তান তারেক হোসেন (৫)।

ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, থানার কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ধানের চাতালে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় চাতালের মালিক জাহাঙ্গীর আলমের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। চাতালে কর্মরত নারী শ্রমিক পাখি খাতুনের শিশু সন্তান তারেক হোসেনের গায়ে বিস্ফোরণের পর বয়লারের টুকরা পরলে গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।

ওসি হাফিজুর রহমান আরও জানান, এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



ভোরে কাজে বেরিয়ে সড়কে প্রাণ গেল শ্রমিকের, আহত ৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

জীবিকার তাগিদে ভোরে রাজমিস্ত্রীর কাজে বের হয়েছিলেন লোকমানসহ কয়েকজন শ্রমিক। নছিমনে কাজের উদ্দেশ্যে কিছুদূর এগিয়ে অন্য সহকর্মীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। হঠাৎ করেই একটি কাভার্ড ভ্যান এসে থামিয়ে রাখা নছিমনটির সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই লোকমান শেখ মারা যায়। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আমিন বাজার গ্রামের মোল্লা বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লোকমান শেখ (৩৮) সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নান শেখের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত নছিমনটিতে যারা ছিলেন, তারা সবাই রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। মঙ্গলবার ভোরে নড়িয়া উপজেলার গোলার বাজার এলাকার দিনারা গ্রামে কাজে যাওয়ার জন্য প্রথমে ৭ জন শ্রমিক আমিন বাজার থেকে নছিমনে চড়ে একটু এগিয়ে মোল্লা বাড়ির সামনে অন্য আরও ২ শ্রমিকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় মনোহর বাজার এলাকা থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে রাখা নছিমনটির সঙ্গে জোড়ে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই লোকমান শেখের মৃত্যু হয়। আহত হন তার সঙ্গে থাকা ৬ জন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

আহতরা হলেন- বাদল সরদার, মিরাজ খান, শাহ আলম হাওলাদার, শাহাদাত সরদার, মোস্তফা ছৈয়াল। তাদের মধ্যে বাদল সরদারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত সবাই রুদ্রকর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

নিহত লোকমান শেখের মামা জয়নাল হাওলাদার বলেন, সংসারে জয়নালই সবার বড়। তার উপার্জনেই সংসার খরচ চলত। স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে তার। এই বয়সে এসে এমন মুত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। আমরা এঘটনায় বিচার দাবি করছি।

রাজমিস্ত্রী শ্রমিক দলটির সরদার মো. কালু বয়াতি বলেন, আজ নড়িয়াতে ঢালাইয়ের কাজ করব বলে নছিমন যোগে শ্রমিকরা রওনা করেছিল। কিন্তু চাঁদপুর গামী একটি কাভার্ড ভ্যান এসে সব কিছু তছনছ করে দিলো। আমার একজন শ্রমিক মারা গেছে। বড়দের সঙ্গে কথা বলে মামলা হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত নেব।

পালং মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আব্দুর রহিম বলেন, ভোরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। তার সঙ্গে থাকা অন্যরা আহত হয়েছেন। মরেদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কার্ভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে৷ এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিউজ ট্যাগ: শরীয়তপুর

আরও খবর



ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরিতে কী খাবেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডায়াবেটিস রোগীদের টানা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখলে তাদের জন্য সেহরি বাধ্যতামূলক।

একজন ডায়াবেটিস রোগী সঠিক নিয়মে সঠিক খাবার দিয়ে সেহরি করলে, খুব সহজে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন। আসুন জেনে নিই কিছু টিপস; যা আপনাকে দীর্ঘ একটি দিনেও রোজা রাখতে সাহায্য করবে।

১. অনেকে মনে করেন, সেহরি পেটপুরে খেলে সারা দিনে ক্ষুধা লাগে না। তাই অনেককে সেহরি বেশি খেতে দেখা যায়। শেষ সময় পর্যন্ত অনেকে পানি পান করতেই থাকেন। এটি বরং অস্বস্তি তৈরি করবে।

২. অন্য সময় দুপুরে বা নৈশভোজে যা খেতেন, সেহরি সেই স্বাভাবিক খাবারটাই খাবেন। পরিমিত পরিমাণে ভাত অথবা রুটি, সঙ্গে মাছ বা মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ। শেষে এক কাপ দুধ বা দই।

৩. ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরি আতপ চালের ভাত খাবেন না। লাল চালের ভাত খাওয়া ভালো। কারণ, সেদ্ধ মোটা চাল ও লাল চালের গ্লাইসিমিক ইনডেক্স অনেক কম। এতে ফাইবার বেশি, তাই ধীরে শোষিত হয়। তাই সারা দিন ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করবে। ভাতের বদলে লাল আটার রুটিও খেতে পারেন।

৪. অনেক বেশি খাবার খেলে বদহজম, গ্যাসের সমস্যা হওয়া ছাড়াও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

৫. সবজির পাশাপাশি কিছু শাক অবশ্যই খাবেন। শাকের সেলুলুজ আপনাকে সারা দিনে পেট ভরে থাকার মতো অনুভূতি দেবে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।

৬. সেহরি শেষ সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগে খাওয়া শেষ করতে হবে। অনেকের স্বভাব, মাঝরাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া। ডায়াবেটিস রোগীরা তা কখনো করবেন না।

৭. বিরিয়ানিপোলাও বা খিচুড়ির মতো খাবার খাবেন না। এগুলো পানির চাহিদা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

৮. প্রোটিন হিসেবে মাংসের বদলে মাছ খান অথবা ঘন ডাল রাখুন।

৯. অনেকে ওজন কমাতে কিছু না খেয়েই রোজা রাখেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

১০. চাইলে একটা খোসাসহ ফল খেতে পারেন।

১১. সন্ধ্যা থেকে সেহরি পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। সেহরি চাকফি পান করলে ডিহাইড্রেশন বাড়বে।

সেহরি কোনো কিছুই বেশি খাবেন না। চাহিদার বেশি খাবার খেলেই বিপত্তি ঘটবে। শরীর প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে বাকিটা ফ্যাট হিসেবে আপনার শরীরে জমা করে রাখবে। ফলে ওজন বেড়ে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: ডায়াবেটিক রোগী

আরও খবর