ভোলা জেলায় চলতি মৌসুমে আখের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে বলছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮১ হেক্টর বেশি জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর ফলনও এসেছে বেশ ভালো। ইতোমধ্যে আখ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। কর্তন হয়েছে প্রায় ৩৫ ভাগ জমির আখ। আর গত বছরের চেয়ে এবার বাজার দর বেশি থাকায় লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার আখ যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। কৃষকরা জানান, ভোলার মাটি ও আবহাওয়া আখ চাষের উপযোগী হওয়ায় এখানে আখ চাষের বাড়ছে। গত বছর এক’শ আখ মানভেদে বিক্রি হয়েছে দেড় হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। এবছর সেই আখ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫’শ টাকা পর্যন্ত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও পোকা মাকরের আক্রমণ কম হওয়ায় আখের ফলন সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তারা।
সোমবার সরেজমিনে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া গ্রামের আখ চাষি মোস্তাফিজ রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এবছর ২৪ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করেছেন। এতে করে তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। আশা করছেন ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পারবেন। ইতোমধ্যে তার আখ বিক্রি শুরু হয়েছে।
একই গ্রামের অপর চাষি জাকির হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত অখের বাজার দর ভালো রয়েছে। ব্যাপরীরা তাদের ক্ষেত থেকে আখ কিনে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত যদি বাজার এমন থাকে তবে তাদের বেশ ভালো হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: হাসান ওয়ারিসুল কবীর আজকের দর্পণকে বলেন, জেলায় এবছর আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৮৯ হেক্টর জমিতে বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৫৭০ হেক্টর জমি। গতবছর হেক্টর প্রতি আখ পাওয়া গেছে ৪৮ মেট্রিকটন করে। এবছর ৫০ মেট্রিকটন করে ফলন পাওয়া আশা করছি। কৃষকদের জন্য ৫০ শতাংশ জমির অনকূলে প্রায় ৫০টি আখের প্রদর্শনীর ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে এ বছর।
তিনি আরো বলেন, জেলায় সাধারণত চিবিয়ে খাওয়ার দেশি প্রজাতির আখ বেশি চাষ করা হয়। বর্তমানে মাঠে আখের অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে। কৃষকরা আখ চাষে লাভবান হচ্ছে। অনেক কৃষকই আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আগামী এক মাসের মধ্যে শতভাগ জমির আখ কর্তন হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে জেলায় আখের বাম্পার ফলন হবে। কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে বলেন তিনি।