আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়ায় অভয়াশ্রমে অবাধে ইলিশ শিকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি

Image

ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর অভয়াশ্রমে অবাধেই চলছে ইলিশ শিকার। নদীতে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ থাকলেও থামানো যাচ্ছে না জেলেদের মৎস্য শিকার, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে, আবার কোথাও তাদের ম্যানেজ করে চলছে ইলিশ শিকার।

আজ শুক্রবার (১০মার্চ) ভোর সারে সাত টায় ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কাছেই মেঘনা নদীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেক জেলে মাঝ নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করছেন। এ সময় নদীতে কোস্টগার্ড কিংবা নৌ পুলিশের কোনো টহল দেখা যায়নি। ঐ এলাকায় ভোলার খালস্থ বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ এ ডাক ধরে ইলিশ বেচাকেনার দৃশ্য দেখা যায়। এ বিষয় সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের  ৪নং ওয়ার্ডের একাধিক জেলে এ প্রতিবেদক কে বলেন, ব্র্যাক, আশাসহ বিভিন্ন এনজিও'র কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি। সেই ঋণের কিস্তির টাকা নিতে বাড়ি আসে এনজিও'র লোকজন। তাদের টাকা পরিশোধের জন্য এবং পেটের দায় বাধ্য হয়েই সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকার করছি।

আড়ৎদার মাইনউদ্দিন মিয়া বলেন, আসলে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার উচিৎ নয়। তবে জেলেরা বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও'র থেকে ঋণ নিয়েছে, ঋণের কিস্তির টাকা নিতে জেলেদের বাড়ি ঘরে যাচ্ছেন এনজিও'র কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তাই জেলেরা বাধ্য হয়েই কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য নদীতে ইলিশ শিকার করছেন।

এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যা বলেন এনজিও'র ঋণের দোহাই দিয়ে কিছু অসাধু জেলে রাতের আধারে ইলিশ শিকার করলেও আমাদের অভিযান চলমান আছে, তবে শতভাগ ব্যাবস্থা নেয়া সম্ভব নয়।

এবিষয় জেলার বিশিষ্টজনরা বলছেন, মৎস্য অধিদপ্তর থেকে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে যথাযথ ভাবে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে না এলে এবং ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকারের যে পদক্ষেপ তা ভণ্ডুল হবে।

নিউজ ট্যাগ: ইলিশ শিকার

আরও খবর



যমুনায় নানীর সাথে মাছ ধরতে গিয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মিনহাজ উদ্দিন (১০) ও মিনাল মিয়া (৮) নামে দুই সহোদর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের দুর্গম চরশিশুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারা উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের জারুলতলা এলাকার আজাহার মিয়ার ছেলে। এর আগে ঈদের দুইদিন আগে বাবা-মার সাথে তারা নানা দুদু সরকারের বাড়িতে বেড়াতে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশে নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যায় ওই দুই শিশু। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর তাদের মৃতদেহ নদীতে ভেসে উঠে।

সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ আলম মন্ডল জানান, তাদের নানা খুবই দরিদ্র। নদীতে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দুপুরে নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



প্রার্থীতা ফিরে পেলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিক

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিকের প্রার্থীতা বহাল রেখেছে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের ব্রেঞ্চ। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে বিচারপতি মো: ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো.আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানা যায়। 

জানা যায়, গত রবিবার (৫ মে) নির্বাচন আচারণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের  প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

সেই আদেশকে বিরোদ্ধ চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হাইকোর্টে আপিল বিভাগে (৫৩০৩/২০২৪) রিট পিটিশন আবেদন করেন। সেই আপিল রিট পিটিশন মঞ্জুর করে বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৫ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে আমার প্রার্থীতা বাতিল করে দিয়েছিল। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মহামান্য হাইকোর্টে এসে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রিট পিটিশন করি। সেই রিট পিটিশনে মহামান্য হাইকোর্ট আমার প্রার্থীরা বহাল রেখেছে। নির্বাচন করতে আমার কোন আইনগত বাধা নাই।

এ দিকে আনারস প্রতিকের নির্বাচনী চীফ এজেন্ট আইনজীবী শহিদুল ইসলাম জানান, গত ২ তারিখে নির্বাচন কমিশনে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য প্রার্থী সহ আমি গিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সামনে আমি কিছু যুক্তি তুলে ধরি। কিন্তু কোন তদন্ত ছাড়াই অন্যায়ভাবে নির্বাচন কমিশন রফিকের প্রার্থীতা বাতিল করে। ২ তারিখে শুনানি করে আমাদের ৫ তারিখে আদেশ দিয়েছে। আমরা সেই আদেশে হাইকোর্টে রিট পিটিশন আবেদন করলে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করেন। ৮ মে নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম রফিক আনারস প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই আদেশই মহামান্য হাইকোর্ট জারি করেছেন।


আরও খবর



রাজশাহীতে সাংবাদিকের নামে সাইবার আইনে মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভির সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও  রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী শাখা। দ্রুত সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।

শনিবার (১১ মে) বেলা ১১ টায় রাজশাহী মহানগরীর এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্ত্বর রেলগেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্য রহমতুল্লাহ'র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন সভাপতি শামসুল ইসলাম।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ, ক্লাবের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাহিনুর রহমান সোনা, লিয়াকত হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সাগর। এসময় মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করবেন এবং সংবাদ প্রকাশ করবেন। প্রচলিত আইনে সংবাদের ভুল তথ্য বা সম্মানহানি হলে প্রতিবাদসহ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। কিন্তু একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে কালো আইনে সাইবার আদালতে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা চরমভাবে হতাশ হয়েছেন। টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কাজী শাহেদ ওই সংবাদে অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য প্রচার করেছেন। সংবাদে কাজী শাহেদ নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচার বা মতামত প্রদান করেননি। তবুও অতি উৎসাহী হয়ে রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন সাইবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রতিবাদে শনিবার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, টেলিভিশনে প্রচারিত কোনো সংবাদে টিভি রিপোর্টারের নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৯/৩১/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের প্রকৃত আইনের অপব্যবহার, যা না করার ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার আছে। দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। অবিলম্বে সাইবার আদালতের উক্ত মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানানো হয়েছে এবং দ্রুত মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাসিক ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এ আইন দিয়ে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন। তিনি তাঁর অতীত ভুলে যেতে পারেন আমরা কিন্তু ভুলিনি। কোনো আইন দিয়ে সংবাদ কর্মীদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না।

সুমনকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনি সাংবাদিকদের এ কালো আইনে ভয় দেখাতে এবং নিজের অপরাধ ঢাকতে চাইছেন। সে সুযোগ আপনি পাবেন না, দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। তা না হলে থলের কালো বিড়াল বের হয়ে যাবে। কতজনের নামে মামলা করবেন। এক এক করে সবাই যখন সংবাদ প্রকাশ শুরু করবে তখন কোথায় যাবেন?


আরও খবর



সিগারেট বাকি না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জ সদরের মিরকাদিমে কাগজীপাড়া এলাকায় গভীর রাতে চিপস-সিগারেট বাকি না দেওয়ায় মোশারফ হোসেন (৫৫) নামের এক মুদি দোকানিকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাউন্সিলরের ছোট ভাই মো. রুবেলের (৩৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার অভিযুক্ত রুবেলকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বাড়ির পাশে দোকান থাকায় সে প্রতিদিন রাতে দোকানেই ঘুমাতেন। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেলের ছোট ভাই রুবেল তাকে ডাক দিয়ে চিপস-সিগারেট বাকি চায়।

সে বাকি দেবে না বলে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মোশারফকে দোকান থেকে টেনে বের করে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

পরে স্থানীয়রা মোশারফকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাসান জানান, চিপস সিগারেট বাকি না দেয়াকে কেন্দ্র করে মোশারফকে কুপিয়ে হত্যা করে মিরকাদিম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সোহেল মিয়ার ছোট ভাই রুবেল মিয়া (৩৫)।

তিনি জানান, এ ঘটনায় তাকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টার্গেট করা হয় প্রাবস ফেরত ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে নিয়ে আসা হয় ডেটিংয়ের জন্য। আগে থেকেই তৈরি থাকে চক্রের সদস্যরা। তারা ওই ব্যক্তিদের আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারপিটসহ জোরপূর্বক নকল বিয়ে দেন কাজী ডেকে। দেনমোহর ধার্য করেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার। পরে ডিভোর্সের নামে সেই দেন মোহরের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনই প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে।

গত ২১ শে মার্চ এই চক্রের সদস্যদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামীরা হলেন- মোঃ জাহিদুল হাসান জাহিদ, সৌরভ তালুকদার, হুমায়ুন সিকদার রানা, বাবুল হোসেন, মোঃ জুয়েল, রিজান, সুজন, রায়হান, কাজী মোঃ তাহেরুল ইসলাম তাহের, রাশেদা বেগমকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ মাস আগে দেশে আসে নাজমুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ চাম্বলতলা গ্রামের আবু তালুকদারের বাড়িতে তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ৯ টার দিকে জাহিদ সৌরভ তালুকদার মাধ্যমে নাজমুলকে ডেকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে গজারী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার কথা বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা কয়েকটি কার্টিজ পেপারে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নাবালিকা সুমাইয়াকে কাবিন ছাড়া বিবাহের নামে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়াকে নাজমুলের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেয়। সত্য ঘটনা প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান নাজমুল।

সুমাইয়া জানায়, সে নাজমুলকে চিনতেন না। জাহিদুল তার দুঃসম্পর্কের মামা হয়। জাহিদুলের কথায় সে এমনটি করেছে। প্রথমে না করতে চাইলে আমাকে মারধর করত।

স্থানীয়রা জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নারীদের ব্যবহার করছে। আর স্থানীয় কাজীকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাজী তাহেরুল ইসলাম তাহের জানান, এ ধরনের বিয়ে তিনি পড়াননি। তবে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর