ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর অভয়াশ্রমে অবাধেই চলছে ইলিশ শিকার। নদীতে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ থাকলেও থামানো যাচ্ছে না জেলেদের মৎস্য শিকার, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে, আবার কোথাও তাদের ম্যানেজ করে চলছে ইলিশ শিকার।
আজ শুক্রবার (১০মার্চ) ভোর সারে সাত টায় ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কাছেই মেঘনা নদীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেক জেলে মাঝ নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করছেন। এ সময় নদীতে কোস্টগার্ড কিংবা নৌ পুলিশের কোনো টহল দেখা যায়নি। ঐ এলাকায় ভোলার খালস্থ বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ এ ডাক ধরে ইলিশ বেচাকেনার দৃশ্য দেখা যায়। এ বিষয় সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের একাধিক জেলে এ প্রতিবেদক কে বলেন, ব্র্যাক, আশাসহ বিভিন্ন এনজিও'র কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি। সেই ঋণের কিস্তির টাকা নিতে বাড়ি আসে এনজিও'র লোকজন। তাদের টাকা পরিশোধের জন্য এবং পেটের দায় বাধ্য হয়েই সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকার করছি।
আড়ৎদার মাইনউদ্দিন মিয়া বলেন, আসলে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার উচিৎ নয়। তবে জেলেরা বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও'র থেকে ঋণ নিয়েছে, ঋণের কিস্তির টাকা নিতে জেলেদের বাড়ি ঘরে যাচ্ছেন এনজিও'র কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তাই জেলেরা বাধ্য হয়েই কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য নদীতে ইলিশ শিকার করছেন।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যা বলেন এনজিও'র ঋণের দোহাই দিয়ে কিছু অসাধু জেলে রাতের আধারে ইলিশ শিকার করলেও আমাদের অভিযান চলমান আছে, তবে শতভাগ ব্যাবস্থা নেয়া সম্ভব নয়।
এবিষয় জেলার বিশিষ্টজনরা বলছেন, মৎস্য অধিদপ্তর থেকে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে যথাযথ ভাবে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে না এলে এবং ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকারের যে পদক্ষেপ তা ভণ্ডুল হবে।