আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ভিসানীতি নিয়ে আমরা ভাবছিনা এটা সরকারের বিষয়: আনিছুর রহমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ভিসানীতি নিয়ে আমরা ভাবছিনা এটা সরকারের বিষয়। ভিসানীতির কারণে না আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথেই বলেছি আমরা সুষ্ঠু অবাধ অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিস আয়োজিত উপজেলা হল রুমে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী  অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. শামসুল আলম প্রধান, গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচ এম কামরুল হাসান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

তিনি বলেন, আগামী নভেম্বরের প্রথম দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবো। আমাদের অন্যতম দুইটি দায়িত্বের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আমরা ইতিমধ্যে করে ফেলেছি। আমাদের জাতীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে করতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যথা সময়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবো। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার

বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিনা? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আমরা তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে রেখেছি প্রথমদিন থেকে এ পর্যন্ত সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। এখন আর সংলাপের সুযোগ নেই তবে আলোচনার দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিক মাঠেই সমাধান হবে, এটা আমাদের কিছুই বলার নেই। আমরা অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন চাই, অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা জাতির প্রত্যাশা।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল দিবো। এবার একটু দীর্ঘ সময় নিয়েই তফসিল দিতে চাই। এতে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে আমাদের পর্যন্ত অনেক কাজ তাড়াহুড়ো করে করতে হয়। গত নির্বাচনের রাতে ব্যালট পাঠানোর কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যার কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্গম এলাকা ছাড়া অন্য সব কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার সকালে পাঠানো হবে।


আরও খবর



আগামীকাল গণতন্ত্র মুক্তি দিবস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের এ দিনটিতে পতন ঘটে তৎকালিন স্বৈরশাসকের।

এদিন তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ আন্দোলনে প্রাণ হারান নূর হোসেন, সেলিম, দেলোয়ার, তাজুল, ডা. মিলন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ অনেকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আগামীকাল দিবসটি পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে গণতন্ত্র ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিব না- গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে এই হোক আমাদের সুদৃঢ় প্রত্যয়।

তিনি বলেন, আসুন, সকলে মিলে গণতন্ত্র ও দেশ বিরোধী সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করি এবং দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে, দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেছে। অব্যাহত আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী শাসক গণআন্দোলনের কাছে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর নতি স্বীকার করে পদত্যাগে বাধ্য হয়। বহু শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় ভোটের অধিকার। গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠায় জাতি সকল শহীদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বাণীতে তিনি গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন।


আরও খবর
৫ ডিসেম্বর: ইতিহাসে আজকের এই দিনে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




দলীয় কাজে সরকারি সুবিধা নিচ্ছেন না শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কার্যালয়ে শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ব্যক্তিগত গাড়িতে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির দলীয় কর্মসূচি উদ্বোধন করে প্রথম ফরমটি তিনিই কিনলেন। ফরম বিক্রির কর্মীরা জানান, আপাতত তিনি ফরম নিয়েছেন, গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জন্যে। প্রধানমন্ত্রীর এর পরের কর্মসূচি ছিল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত। এই কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে যান সরকারি গাড়িতে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় কাজ ছাড়া কোন সরকারি সুবিধা নিচ্ছেন না।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের তেজগাঁও কার্যালয়ে ছিল দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা। তফসিল ঘোষণার পর দলের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। এখানেও প্রধানমন্ত্রী আসেন ব্যক্তিগত গাড়িতে। নির্বাচনের খুটিঁনাটি নানা বিষয় নিয়ে তিনি টানা বক্তৃতা করেন কিন্ত সরকারি টেলিভিশন বিটিভি কোন লাইভ সম্প্রচার করেনি। বিটিভির প্রতিবেদক জিহাদুর রহমান জিহাদ জানান, তফসিল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সংগ্রহ নিয়ে বিটিভির কিছু পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর যেকোন কার্যক্রম অন্য গণমাধ্যম যেমন কাভার করে, তারাও সেভাবে করবে। এখানে সরকার প্রধান হিসাবে আলাদা কোন কাভারেজ তিনি পাবেন না। এটা আসলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। 

আরও পড়ুন>> নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আরপিও অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল হবে। তারপর থেকে কোনো মন্ত্রী ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবেন না। সুযোগ-সুবিধাও পাবে না। কিন্তু সরকারি ওয়ার্ক চলবে। তিনি জানান, প্রার্থী হওয়ার পর, গণভবনে কোন কনফারেন্স তিনি করবেন না। তখন কোন সংবাদ সম্মেলন করতে হলে, আওয়ামী লীগের আলাদা কোন অফিসে করা হবে। তিনি আরও বলেন, তফসিলের পর থেকে ভোটের ফলাফলের সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন-পূর্ব সময়। এই সময়ে যে সরকার থাকবে তাদের কার্যক্রমে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে এবং ক্ষমতাও অনেক কমে আসবে। নির্বাচন-পূর্ব সময়ে সরকার কোনো নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না। একই সঙ্গে নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্পও গ্রহণ করবে না। সরকারের যেসব মন্ত্রী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের সুযোগ-সুবিধা কমে আসবে। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রচারের তারা কোনো প্রোটোকল পাবেন না। তিনি আরও বলেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও কানাডার মতো সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার থাকে, সেভাবে চলবে। অর্থাৎ নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে রুটিন ওয়ার্ক পালন করব, যেন সরকার অচল হয়ে না যায়।

এরই মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এখন থেকে রুটিন কাজ করে যাবে। নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকে তারা পলিসি ডিসিশন নেয় না, যেন একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে। তারা এমন কিছু করবে না, যা জনগণ সরকারকে ভোট দিতে আকৃষ্ট করে। তিনি সংবিধানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৫(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো দায়িত্ব পালনে বা সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিতে পারবে। ৪৪(ঙ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার এবং তাদের অধস্তন কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া বদলি করা যাবে না। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনবোধে যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির ব্যবস্থা নিতে পারবে। নির্বাচন কমিশন এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ প্রয়োগ করতে পারবে।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন পুতিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জোসেফ স্ট্যালিনের পর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা দায়িত্ব পালন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী নির্বাচনে তিনি জিতে গেলে, সেক্ষেত্রে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের পদটি তার জন্য সুরক্ষিত থাকবে। রাশিয়ার আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পুতিন।

রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের অন্তত ৬টি সূত্র দেশটির জাতীয় দৈনিক কমেরসান্তকে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ের মধ্যে দিয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন পুতিন।

নাম না প্রকাশের শর্ত ক্রেমলিনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে যে তিনি আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুতিনের উপদেষ্টারা আগামী নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির অন্যতম শীর্ষ এজেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন ১৯৯৪ সালে। তার তিন বছর আগেই অবশ্য এক সামরিক অভ্যুত্থানে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়। ১৯৯৪ সালে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবুর্গের ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন পুতিন।

১৯৯৬ সালে সেন্ট পিটার্সবুর্গ ছেড়ে মস্কোতে এসে কর্মকর্তা হিসেবে ক্রেমলিনে যোগ দেন। ২০০০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসীন পদত্যাগ করার পর রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন। পরে ওই বছরের মে মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হন তিনি।

১৯৯৯ সালের শেষ দিনে নির্বাচনে জয় পেয়ে মূলত ২০০০ সালের শুরুতে পুতিন যুগে প্রবেশ করে রাশিয়া। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় একটানা সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকার রেকর্ডটি তার দখলেই। গত ২৩ বছর ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন তিনি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনাও পুতিনের নেই বললেই চলে। কারণ পুতিনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন এমন কোনো জনপ্রিয় নেতা এই মুহূর্তে রাশিয়ায় নেই। তাছাড়া সম্প্রতি সময়ের একাধিক জরিপে দেখা গেছে, রাশিয়ার মোট জনসংখ্যার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বাসিন্দা পুতিনকেই আবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায়।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এ সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৪৫ জন রোগী।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৪৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৪ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৯১ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৮৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার হাসপাতালে ১ হাজার ৫০ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ২ হাজার ৭৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৬ হাজার ৬৭৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৫৯ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার ৬ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৪ হাজার ৭০৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ জন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯২২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৬১ জন।

উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।


আরও খবর



ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি হবে কি না সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) শুনানি বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে আজ।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ বিশেষ সিদ্ধান্ত দেবেন।

এর আগে ১৬ নভেম্বর এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিলেন আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ। আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোর্শেদ। আর রিটকারীর পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এদিন বারের সভাপতি ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার তানজিম উল আলমসহ অন্যান্য আইনজীবীরা শুনানি করেন।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, শুনানিতে বলেছি, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন সাতজন বিচারক। এখন আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারক। আমার প্রশ্ন ছিল, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানি বর্তমান আপিল বিভাগে হবে কি না। এজন্য সিদ্ধান্ত দিতে ২৩ নভেম্বর ঠিক করেন আদালত।

নিউজ ট্যাগ: ষোড়শ সংশোধনী

আরও খবর