আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করবে ভারত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ২০২৩ সালে ১৬ লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছে ভারত। ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার।

মঙ্গলবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎ করতে আসেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা নেবে ভারত। দুদেশের নিরাপত্তায় বিজিবি-বিএসএফ সম্পর্ক বাড়ানো হবে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে কাজ করবে ভারত সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার কূটনৈতিকভাবে কোনো চাপে নেই। বরং বিএনপি বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আগের থেকে অনেক উন্নত এবং ভালো হবে। উভয় দেশ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতন। সম্পর্ক ভালো রাখা উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে সম্পর্ক আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।


আরও খবর



কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করলে খাদ্যের অভাব হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করতে পারলে জীবনেও খাদ্যের অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার সকালে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় যারা নুন-ভাতের কথা বা ডাল ভাতের কথা চিন্তাও করতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংস ডিমের কথাও চিন্তা করে। যারা সমালোচনা করছেন তাদের এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত।

শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করব। উদ্বৃত্ত থাকলে অন্যকে সাহায্য করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বীজ উৎপাদন বিএডিসিসহ নানা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই কৃষি গবেষণায় জোর দেয়। বীজ, মাছ, ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে।

সরকারপ্রধান বলেন, সরকার বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের জন্য নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই এদেশের কৃষি সমৃদ্ধ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনোই চায়নি এদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, তারা চেয়েছে অন্য দেশ থেকে ভিক্ষা করে দেশ চালাতে। সারাদেশে আটক নেতা কর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপির যে দাবি করছে তাতে কারাগারে আটক সব অপরাধীই যেন বিএনপির নেতাকর্মী।


আরও খবর



ইরানের হামলার পর কমেছে তেলের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। সামান্য হলেও কমে গেছে তেলের দাম। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে এশিয়ান ট্রেডে এই কম মূল্যের প্রবণতাই দেখা গেছে, যদিও সেটা প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের কাছাকাছিই ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তবে এটাও ঠিক, ইসরায়েলের ওপর ইরান আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তেলের দাম ওর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। গত ছয় মাসের মধ্যে গত সপ্তাহে তেলে দাম ছিল সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহের শেষে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯২ দশমিক ১৮ ডলার পর্যন্ত হয়েছিল। গতবছরের অক্টোবরের পর থেকে ধরলে সেটা ছিল সর্বোচ্চ। এর পর থেকে কমতে কমতে সেটা ৯০ দশমিক ৪৫ ডলারে নেমেছিল। সোমবার সকালে সেটা আরও ২০ থেকে ৩০ সেন্ট কমেছে।

ইরান বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে থাকে। তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওপেকভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। ইসরায়েলে হামলার পর থেকে সবসময়ই একটা পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে ইরান। সে আঘাত ইরানের তেলক্ষেত্রের ওপরও হতে পারে। এসব বিবেচনায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে তেলে দাম বাড়া-কমার ক্ষেত্রে হরমুজ প্রণালী একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের ২০ শতাংশ তেলবাহী জাহাজ এই সমুদ্রপথ দিয়েই চলাচল করে। ওপেকভূক্ত দেশ সৌদি আরব, ইরান, আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাক তাদের বেশির ভাগ তেল এই পথেই রপ্তানি করে। ওমান ও ইরানের মধ্যেকার সংবেদনশীল এই সমুদ্রপথটি শান্তিপূর্ণ থাকলে কমে যায় তেলের দাম।

গত শনিবার ইরান হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে আটক করে। তাদের অভিযোগ ছিল জাহাজটি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে এই হরমুজ প্রণালী কতটুকু নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

এসব কারণেই, সোমবার হঠাৎ করেই তেলের দামে এই সামান্য মূল্যহ্রাসকে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাদের মতে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা হলেই তেলের দাম আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়ে যাবে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকার ঘোষণা এরদোয়ানের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। আজ বুধবার নিজ দল একে পার্টির (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সংসদীয় দলের সভায় তিনি বলেন, আমাকে একঘরে করে রাখলেও আমি ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকব। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭২ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এমন অবস্থায় এরদোয়ান বলেছেন, যতক্ষণ আমার শরীরে প্রাণ আছে আমি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকবো। তাদের সংগ্রামের সঙ্গে থাকবো।

হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মানতেও নারাজ এরদোয়ান। হামাস যোদ্ধাদের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দেন তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা একমাত্র সাহসী জাতি যারা হামাসকে স্বাধীনতাকামী সংগঠন মনে করি।

এরদোয়ান বলেন, যখন কেউ কথা বলেনি, আমরা বলেছি। জাতিসংঘে আমরা দাঁড়িয়ে বলেছি হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়।


আরও খবর



হিট ওয়েভ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চৈত্রের শেষেই তাপপ্রবাহের কবলে দেশের বিভিন্ন অংশ। ইতোমধ্যে দেশে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যে, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে চলতি মাসেই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আগেই সতর্ক করা হয়েছে।

এ অবস্থায় প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভাল। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি বছরই বিশ্বে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় এই হিট স্ট্রোকে। অনেকেই রোদের মধ্য থেকে বাড়িতে ফিরে প্রথমেই ঢকঢক করে ঠাণ্ডা পানি খেয়ে ফেলেন। যা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এতে যেমন ঠাণ্ডা বসে যায় তেমনই কিন্তু স্ট্রোকের (হিট ওয়েভ) সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি।

হিট ওয়েভ বা হিট স্ট্রোক বাঁচতে তাই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলার ওপর বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তার কয়েকটি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো-

স্বভাবিক পানি পান করুন, তাও আবার ধীরে ধীরে।

ঠাণ্ডা পানি পান পরিহার করুন। বরফ/বরফ পানি পুরোপুরিই পরিহার করুন।

যখন তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াসে পৌঁছে তখন খুব ঠাণ্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সংকুচিত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে।

যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন। ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। স্বভাবিক তাপের পানি পান করুন বা ঈষৎ গরম পানি এবং ধীরে ধীরে পান করুন।

ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। হাত-মুখ ধোয়ার আগে একটু অপেক্ষা করুন। দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খাইতে দিন। অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন হাত-মুখ ধোয়ার আগে বা গোসলের আগে।

অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন- যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। তবে তাও স্বল্প পরিমাণে।

প্রচণ্ড গরমে বা যদি আপনি খুবই ক্লান্ত থাকেন তবে ভুলেও বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজের পানি পান করবেন না, যদিও ওই সময় ঠাণ্ডা পানি খুব ভালো লাগে। এটা শরীরে প্রশান্তি ভাব এনে দিলেও হঠাৎই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।


আরও খবর



ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর