করোনাভাইরাসের
প্রকোপে টালমাটাল সারা বিশ্ব। শোবিজেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। কর্মহীন অনেকেই।
তাই পেশা পরিবর্তন কিংবা অন্য পেশায় স্থানান্তরিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রায়ই। বাংলাদেশের
কিছু বিনোদন তারকা অভিনয়ের পাশাপাশি চাকরিও শুরু করেছেন।
অন্যান্য সেক্টরের
মতো বিনোদন অঙ্গনের তারকাশিল্পী থেকে শুরু করে নির্মাতা-নাট্যকাররাও কর্মহীন হয়ে পড়েন।
এর সঙ্গে শুটিং সংশ্লিষ্ট মানুষ বেকায়দায় পড়ে যান। এদের বিশাল একটি অংশ ঢাকা ছাড়েন।
প্রথমবার লকডাউন শেষে কিছুদিন বিধিনিষেধ দিয়ে অফিস-আদালত-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও
আবারও লকডাউনের খপ্পরে পড়ে দেশের বিনোদন জগৎ। এর কারণে পেশা পরিবর্তন কিংবা আপৎকালীন
নতুন কাজে যোগ দিয়েছেন অনেকেই।
অভিনেতা আজিজুল
হাকিম চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক হিসাবে
চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি নিয়মিত অভিনয়ও করছেন।
আজিজুল হাকিমের
চাকরি শুরু করার তিন মাস পর তার স্ত্রী নাট্যকার জিনাত হাকিমও প্রতিষ্ঠানটিতে নির্বাহী
পরিচালক হিসাবে চাকরি শুরু করেছেন।
এদিকে চলতি মাসে
চিত্রনায়ক নিরব ‘শ্রেষ্ঠ’ নামের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের হেড
অব পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশন পদে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।
নিরবের মতোই অভিনেত্রী
শবনম ফারিয়াও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান হিসাবে
যোগ দিয়েছেন গত জুনে। তিনিও অভিনয়ের পাশাপাশি এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
আরজে নিরব দীর্ঘকাল
রেডিওতে চাকরি করলেও এখন অন্য ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। করোনাকালেই বাংলাদেশ
শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসাবে তিন বছরের চুক্তিতে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী আফসানা
মিমি। চাকরি, অভিনয় এবং পরিচালনা-এ তিন মাধ্যমেই সক্রিয় তিনি।
এ প্রসঙ্গে মিমি
বলেন, ‘করোনাকালে বিনোদন
জগৎটাই স্থবির হয়ে আছে। তারপরও যতটুকু সম্ভব কাজ করে যাচ্ছি। করোনার কারণে কাজ কমে
যাওয়াতেই নতুন চাকরি শুরু করেছি, বিষয়টি এমন নয়।
জানা গেছে, ঢালিউডের প্রতিশ্রুতিশীল চিত্রনায়ক সায়মন সাদিক, কায়েস আরজুরাও চাকরি শুরু করেছেন করোনাকালে। তবে করোনার আগে থেকেই চাকরি করেন চিত্রনায়ক আমিন খান। বিনোদনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাকাল দীর্ঘায়িত হলে তারকারা আয়ের বিকল্প উৎসের দিকে বেশি ঝুঁকবেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাবই ব্যক্ত করছেন তারকারা।