ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)
মাসব্যাপী বিশেষ মশকনিধন অভিযানের ১২তম দিনে বিভিন্ন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৯ মামলায়
মোট ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর বছিলা
এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ
মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে ৫টি ভবনে এডিসের লার্ভা
পাওয়ায় ৫টি মামলায় মোট ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন পূর্ব নাখালপাড়া এলাকায়
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা
করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট,
ড্রেন, ঝোপঝাঁড়ে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি ভবন মালিককে ১টি মামলায়
১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ৩টি ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ৩টি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।
অঞ্চল ১ ও ৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ২টি বাড়িতে
এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: র্যাবকে জরিমানা করল ডিএসসিসি
এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন দারুস সালাম
এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা
করেন। অভিযানে প্রায় ৭০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা
হয়েছ। ১টি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা
সারওয়ার ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আলী।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামছেন আরও দশ ম্যাজিস্ট্রেট
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ৩৯, ৪০ ও ৪৩ নং ওয়ার্ডে
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা
করেন। অভিযানে ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাটসহ মোট ৪৬০ টি স্পট পরিদর্শন
করা হয়। ২টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
ব্রিগে. জেনা. এ কে এম শফিকুর রহমান এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির দশটি
অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু
নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।