আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ভাসমান সেতু পেয়ে খুশি সাতক্ষীরার প্রতাপনগরের মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

দুই লাখ টাকা খরচে ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের কাঠের ভাসমান সেতু আটকা পড়া ২৫০টি পরিবারের মানুষদের চলাচলের পথ করে দিয়েছে। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাবনগর গ্রামের সংযোগ এই ভাসমান সেতটিু নির্মাণ করায় কষ্টভোগি মানুষেরা খুবই খুশি। তাদের চরাচলের দুর্ভোগ কমে গেছে। ভাসমান সেতুটি নির্মাণে অর্থায়ন করেছে ডু সামথিং ফাউন্ডেশন। সেতটিু নির্মাণ করতে ৫৬টি দুই লিটারের ড্রাম, ৫০ সিএফটি মেহগনি কাঠ, ৫০ সিএফটি চাম্বল কাঠ, ২৫০ সিএফটি শিরিশ কাঠ এবং ৬০ কেজি পেরেক ব্যবহার করা হয়েছে।

২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও ২০২১ সালের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ভেঙে যায় খোলপেটুয়া নদীর উপকূল রক্ষা ভেঁড়িবাধ। বাঁধ ভেঙে তীব্রগতিতে পানি লোকালয়ে প্রবেশ শুরু করে। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাবনগর গ্রামের মধ্যদিয়ে শুরু হয় নদীর জোয়ার-ভাটা। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা পরিণত হয়েছে নদীর সংযোগ খালে।

আইলা থেকে আম্ফানে ভেসেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল। সবশেষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইয়াসও ভাসিয়েছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরকে। বসতভিটা, কবরস্থান, মসজিদ, জমি হারিয়েছেন মানুষ। জনবসতির স্থান পরিণত হয়েছে নদীর সংযোগ খালে। ভিটেমাটি হারিয়ে কেউ পাড়ি জমিয়েছেন অন্যত্র কেউবা আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের ওপর। নিজ জমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ২৫০টি পরিবার আটকা পড়েছে পানিতে।

বেসরকারি সংগঠন ডু সামথিং ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে আটকা পড়া মানুষদের চলাচলের জন্য ২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ভাসমান ব্রিজ। ব্রিজ হওয়ায় কমে গেছে তাদের দুর্ভোগ। অথচ নৌকায় পারাপার হতে জনপ্রি তাদের ১০ টাকা করে ব্যয় করতে হতো।

ভাসমান সেতু নির্মাণ কাজের তত্ত্ববধানের দায়িত্বে থাকা প্রতাপনগর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সাইদুর রহমান জানান, সেতটিু নির্মাণ করতে ৫৬টি দুই লিটারের ড্রাম, ৫০ সিএফটি মেহগনি কাঠ, ৫০ সিএফটি চাম্বল কাঠ, ২৫০ সিএফটি শিরিশ কাঠ এবং ৬০ কেজি পেরেক ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রতাপনগর গ্রামের মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, আম্ফান ও ইয়াসে খোলপেটুয়া নদীর হরিশখালি ও বন্যতলা এলাকার ভেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা খাল হয়ে গেছে। আম্ফানে হরিশখালি এলাকার একটি, বন্যতলার একটি ও কুড়িকাওনিয়া এলাকার দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়। ইয়াসে ভেঙে ছিল হরিশখলির একটি ও বন্যতলার একটি পয়েন্ট। এসব বাঁধ ভেঙে লোকালয়ের প্রতাপনগর হওলাদার বাড়ি, সরদার বাড়ি, কাজি বাড়ি, কল্যাণপুর, সনাতনকাটি, নাকনার কিছু অংশ খাল হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, প্রতাপনগর গ্রামের হাওলাদার বাড়ি এলাকায় পানির মধ্যে আটকা পড়েছে ২৫০-৩০০ পরিবার। এদের চারপাশে পানি। বের হতে গেলে নৌকায় পারাপার হতে হয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ যেকোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই নৌকা একমাত্র বাহন। এতে জনপ্রতি খরচ হতো ১০ টাকা। জরুরি চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনেও দ্রুত মানুষ চলাচল করতে পারছিল না। অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে পড়েছিল প্রায় এক হাজার মানুষ।

অবশেষে ডু সামথিং ফাউন্ডেশন পানিতে আটকা পড়া মানুষদের জন্য ভাসমান সেতু করে দিয়েছে। যেখানে ভাসমান সেতুটি নির্মাণের স্থানে পানির গভীরতা প্রায় ১৮/২০ হাত।  ভেঁড়িবাঁধ সংস্কার করা হলেও জোয়ার-ভাটা চলার সময়ের সৃষ্টি হওয়া গভীরতার মধ্যে পানি এখনো রয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হোসেন ঢালী জানান, প্রতিদিন ৪০০-৫০০ জন মানুষ নৌকায় চলাচল করে। এই ভাসমান সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় দুর্ভোগে থাকা মানুষদের অনেক উপকার হয়েছে। তবে সরকারের কাছে এই জনপদটিকে রক্ষার দাবি জানাচ্ছি। আগের মতো রাস্তাঘাট নির্মাণসহ, জনবসতি গড়ে তোলার পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।

প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু দাউদ বলেন, প্রতাপনগরের বন্যতলা এলাকার বাঁধ ভেঙে লোকালয়ের মধ্যে খাল হয়ে গেছে। ভেড়িবাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড সংস্কার করে দিলেও লোকালয় থেকে ৬০০-৭০০ মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। তারা নৌকা ছাড়া বের হতে পারছিল না। ভাসমান সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় তারা এখন যাতায়াত করতে পারবে।

ডু সামথিং ফাউন্ডেশন-এর সভাপতি ডাঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এবং ইয়াসের কারণে প্রতাপনগরে বিশাল খাল তেরি হয়েছে। সে কারণে দুই বছর ধরে প্রায় এক হাজার মানুষ মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছিল, গুনতে হতো বাড়তি নৌকা ভাড়া। ভাসমান সেতু নির্মাণের ফলে উপকূলীয় বাসিন্দাদের আর কষ্ট থাকবে না।


আরও খবর



রাখাইনের বাজারে জান্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণ, নিহত ১২

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনের একটি বাজারে জান্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণের ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৮০ জনেরও বেশি মানুষ। শুক্রবার (০১ মার্চ) এই ঘটনা ঘটে।

জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের বেশ কিছু এলাকা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে এই গোষ্ঠীটি।

আরাকান আর্মির হাইকমান্ড জানিয়েছে, রাখাইনের রাজধানী ও বন্দরনগরী সিত্তের কাছে একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে জান্তা বাহিনী। শুক্রবার সেই জাহাজ থেকে সিত্তের নিকটবর্তী মিওমা বাজারকে লক্ষ্য করে একের পর এক গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ক্ষমতাসীন জান্তা অবশ্য উল্টো তথ্য দিয়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল মায়াবতিতে একটি বিবৃতি প্রদান করেছে জান্তা সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, মিওমা বাজারে গোলাবর্ষণ করেছে আরকান আর্মি। আরও বলা হয়েছে, এই হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দু’পক্ষের দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি। এর একটি বড় কারণ, গত কয়েক দিন ধরে সিত্তে এবং রাখাইনের অন্যান্য শহরে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডেটা প্রবাহ সীমিত করেছে জান্তা। ফলে রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত হালনাগাদ অধিকাংশ তথ্যই জানা যাচ্ছে না।


আরও খবর



উত্তর আমেরিকার ‘কিনোয়া’ মিরসরাইয়ে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

উত্তর আমেরিকার ফসল কিনোয়া এবারই প্রথম চাষ হয়েছে চট্টগ্রামে। মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২৪ শতক জমিতে প্রথমবারের মতো সম্ভাবনার এ ফসল চাষ করেছেন কৃষক দীলিপ নাথ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঘরে উঠবে তাঁর স্বপ্নের ফসল। অন্যান্য ফসলের তুলনায় স্বল্প সময়, খরচ আর পরিশ্রমের হওয়ায় আবারো চাষের লক্ষ্যে এগুচ্ছেন তিনি। তাঁর দেখাদেখি আরো অনেক কৃষক আগ্রহী হয়েছেন শস্যদানা কিনোয়া চাষে।

মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘড়িয়াটোলা এলাকার কৃষক দীলিপ নাথ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রথম জানতে পারেন বিদেশি এই ফসল সম্পর্কে। শুনে মনে কিছুটা সংশয় কাজ করলেও শেষমেশ নেমে পড়েন ফসল ফলাতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় বীজ সংগ্রহ করা হয় বাংলাদেশে কিনোয়ার নতুন বীজ উদ্ভাবক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাসের কাছ থেকে। ১৭ ডিসেম্বর তিনি বীজ আবাদ করেন। ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে এখন ফসল ঘরে উঠার অপেক্ষায়।

গতকাল সরেজমিন দেখতে আসেন কিনোয়ার নতুন বীজ উদ্ভাবক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাস।

কৃষক দিলীপ নাথ বলেন, কিনোয়া সম্পর্কে জানতাম না। তাই ফলনের ব্যাপারে শুরুতে কিছুটা ভয় কাজ করেছে। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিনোয়া নিয়ে যে সম্ভাবনার পথ দেখিয়েছেন তাতে আমি পুরোপুরি আশ্বস্ত হয়ে ২৪ শতক জমিতে কিনোয়া চাষ করি। এখন পুরো ক্ষেতে ফসলে ভরপুর। আনন্দ লাগছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলতে পারবো। আশা করছি ভালো দাম পাবো।

২৪ শতকে ১৪ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। দুই থেকে তিন মণ ফসল উঠার সম্ভাবনা’— বলেন কৃষক দীলিপ নাথ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চট্টগ্রামে এই প্রথম হলেও দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে কিনোয়ার চাষ শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ২৪ শতক জমিতে চাষ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখনো পরিচিতি না পেলেও এই সফলের বেশ চাহিদা রয়েছে ইউরোপ আমেরিকায়। বাংলাদেশের সুপারশপগুলোতেও বাজার গড়ে উঠছে বিদেশি এই ফসলের। কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রান্না করলে এই কিনোয়াবীজ প্রায় চারগুণ ফুলেফেঁপে ওঠে এবং কিছুটা স্বচ্ছ দানাদার আকৃতি ধারণ করে। মৃদু স্বাদের কিনোয়া একেবারে গলে যায় না এবং কিছুটা চিবিয়ে খেতে হয়।

সুপারফুড নামে পরিচিত পাওয়া কিনোয়ায় রয়েছে হাইপ্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তাই বৈশ্বিক বাজারে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, কিনোয়া উত্তর আমেরিকার ফসল। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পরিমল কান্তি বিশ্বাস স্যার বাংলাদেশে সর্ব প্রথম কিনোয়া নিয়ে কাজ করছেন। স্যারের কাছ থেকে বীজগুলো সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো চাষ করে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। ধীরে ধীরে চাষের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, অপরিচিত ফসল হওয়ায় এখনো স্থানীয় বাজার গড়ে উঠেনি তবে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরসহ বেশ কয়েকটি সুপারশপ বিদেশ থেকে আমদানি করে বিক্রি করছে। দিলীপ নাথের ফসল অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছেন ঢাকার বেশ কয়েকজন। হারবেস্ট/হারভেস্ট করলেই তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারী সম্পর্ক বাড়াতে চায় আরব আমিরাত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অংশীদারত্বে রূপান্তরের ওপর জোর দিয়েছেন।

রাজধানী আবুধাবির আল আইন শহরে মন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহর রাজকীয় প্রাসাদে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের জন্য কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সই ও জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল (জেবিসি) সক্রিয় করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে এ গুরুত্বারোপ করেন।

উভয় মন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পুরো বিষয় পর্যালোচনাকালে জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ নতুন উদীয়মান ক্ষেত্র অন্বেষণের ওপর জোর দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দেশে ইউএই'র বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাতারবাড়ি এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন, বন্দর ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা, রাঙ্গুনিয়ায় আধুনিক ইউএই'র প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ ইবনে সুলতান আল নাহিয়ানকে উপহার দেওয়া জমির উন্নয়নে ইউএই সরকার এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরেন। এসময় ইউএই'র পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব প্রস্তাব সমর্থনে চলমান বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

হাছান মাহমুদ ইউএইতে স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ, কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সকল ট্রেডে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণের অনুরোধ জানালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ ইতিবাচক সাড়া দেন।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার মহাপরিচালক মো. শফিকুর রহমান।


আরও খবর



নুসরত বাদ, নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা মমতার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালি ইস্যু এখনো টাটকা মানুষের মনে। তারই মাঝে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে মমতা ব্যানার্জির ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। বসিরহাটের তারকা এমপি চিত্রনায়িকা নুসরত জাহান আর পাননি টিকিট। তার বদলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভূমিপুত্র হাজি নুরুল ইসলামের মতো দক্ষ সংগঠকের ওপর আস্থা রেখেছে ঘাসফুল শিবির।

শোনা যাচ্ছে, তার প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী ভারতীয় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহম্মদ সামি। যদিও, বিষয়টি এখনো জল্পনার স্তরেই রয়েছে। কোনো তরফ থেকে জল্পনায় চূড়ান্ত বক্তব্য আসেনি।

২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। বসিরহাট কেন্দ্রে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে আর টিকিট পাননি। জঙ্গিপুর থেকে ভোটে লড়েছিলেন। সেখানে অবশ্য জিততে পারেননি। তার পরিবর্তে ইদ্রিস আলি ভোটে লড়ে জিতে যান। এর পর বিধানসভা ভোটে লড়েন। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হাড়োয়া থেকে জেতেন। হাড়োয়ার বিধায়ক হলেও বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের প্রথমে চেয়ারম্যান ছিলেন। গত বছর নভেম্বরে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি হন। এবার তাকেই লোকসভার মুখ হিসাবে বেছে নিলো তৃণমূল।

গত লোকসভা নির্বাচনে তারকা প্রার্থী নুসরতেই আস্থা রেখেছিল তৃণমূল। এবার কেন দক্ষ সংগঠককেই তুরুপের তাস করল ঘাসফুল শিবির? রাজনৈতিক মহলের মতে, নুসরতকে নিয়ে জনমানসে ক্ষোভ ছিল। তারকা ইমেজে ভোটে জিতলেও কোনো দিন জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারেননি নুসরত। সম্প্রতি সন্দেশখালি ঘটনার পর তারকা এমপির দেখা না মেলায় আরো হতাশ বসিরহাটের মানুষজন। সম্ভবত সে কারণে হাইভোল্টেজ কেন্দ্রেই দক্ষ সংগঠকেই আস্থা তৃণমূলের।

বসিরহাট উত্তর, বসিরহাট দক্ষিণ, বাদুড়িয়া, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ এই সাত বিধানসভা নিয়ে গঠিত বসিরহাট লোকসভায় সংখ্যালঘু ভোট বড় ফ্যাক্টর। এই লোকসভা কেন্দ্রে মুসলমান ভোটার ৪৯ শতাংশ। রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ মনে করছেন, সংখ্যালঘু ভোটকে টার্গেট করতে ফের হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নিলো তৃণমূল। এরই মধ্যে আবার বসিরহাট লোকসভা আসন থেকে বিজেপির সম্ভাব‌্য প্রার্থীর নাম নিয়ে তুমুল জল্পনা রয়েছে।

শোনা যাচ্ছে, বসিরহাট লোকসভা থেকে এবার নিজেদের প্রার্থী দিতে চলেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। সেক্ষেত্রে তারাও যদি সংখ্যালঘু প্রার্থী ঘোষণা করে, তাহলে তা শাসকদল বা বিজেপি-দুইয়ের ক্ষেত্রেই মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে কারণেও হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল বাছতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কে জেতেন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ১৬৬ রানের টার্গেট শ্রীলঙ্কার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বুধবার (৬ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিনের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আভিস্কা ফার্নান্দো।

এরপর ক্রিজে আসা কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস। ৬৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

এরপর কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সৌম সরকার। ২২ বলে ৩৬ রান করে আউট হন তিন। তার বিদায়ের পর দ্রুতই তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

এরপর দলের হাল ধরেন আঞ্জেলো ম্যাথুস ও দাসুন শানাকা। এই দুই ব্যাটার রানের চাকা সচল রাখেন। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ম্যাথুস। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

ম্যাথুস ২১ বলে ৩২ ও শানাক ১৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, মাহেদি, সৌম্য ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪