আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভাসানচরে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সামনে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের একটি অংশ সোমবার সেখানে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে। প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধিদল সোমবার নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পটি পরিদর্শনের জন্য গিয়েছিল। খবর বিবিসির।

তারা সেখানে পৌঁছানোর পর পরই রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ করে। পরে একপর্যায়ে কিছু ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তাসহ প্রতিনিধিদলটি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে গিয়েছিল।

দলটিতে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তারা ছিলেন। এই প্রথমবার ইউএনএইচসিআরের কোনো প্রতিনিধিদল ভাসানচরে গেছে। দলটিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি নামার পর সেখানে রোহিঙ্গাদের একটি দল মিছিল করে হেলিকপ্টারটির দিকে এগোতে শুরু করে।

সে সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন রোহিঙ্গাদের একটি অংশ ভাসানচরে ওয়্যার হাউস নামে একটি ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ইটপাটকেল দিয়ে ভবনটির কিছু জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। সে সময় পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১৯ হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ভাসানচরে বাস করছেন এ রকম কয়েকজন রোহিঙ্গা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের যে প্রতিনিধিদলটি ভাসানচরে গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গারা কথা বলতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু ভাসানচরে অবস্থানরত প্রায় ১৯ হাজারের মতো রোহিঙ্গার মধ্যে থেকে কয়েকজন রোহিঙ্গাকে 'ফোকাল পয়েন্ট' হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাদেরই কথা বলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল।

রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অনেকেই যে আর থাকতে চান না, সেখানে তাদের নানাবিধ অসুবিধার পুরো চিত্র ফোকাল পয়েন্টের সদস্যরা তুলে ধরেন না; কারণ তারা নিয়োগপ্রাপ্ত।

এ কারণে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের কাছে তাদের আসল অবস্থা কী, সেই বার্তা পৌঁছবে না এমন আশঙ্কা থেকে তারা চেয়েছিলেন শুধু ফোকাল পয়েন্ট নয়, অন্যদেরও কথা বলতে দেওয়া হোক। কথা বলার সুযোগ না পেয়ে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

একটি অংশ ভাঙচুর করার পর ওখানে অবস্থানরত বাকি রোহিঙ্গারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে পুলিশ জানিয়েছে, এখন ভাসানচরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাস থেকে কয়েক দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরের এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে স্থানান্তর করা হয়। তারা নিজেদের ইচ্ছাতেই সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে।

তবে রোহিঙ্গারা অভিযোগ করছেন, সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগে যেসব প্রতিশ্রুতি তাদের দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো সব পূরণ করা হয়নি। তাদের মাসিক ভাতা, প্রতিটি পরিবারকে গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল, যা সবাইকে দেওয়া হয়নি বলে রোহিঙ্গারা দাবি করছেন।

সেখানে শিশুদের পড়াশোনার জন্য কোনো স্কুল তৈরি করা হয়নি। তাদের প্রতি মাসের খাওয়ার যে রসদ দেওয়া হয়, তা ন্যূনতম কিছু সামগ্রী বলে অভিযোগ করেছেন রোহিঙ্গারা।

তাদের কক্সবাজারে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে রোহিঙ্গারা দাবি করেছেন। কিন্তু শুধু চরেই তাদের অবস্থান করতে হয়।

এ ছাড়া খারাপ আবহাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অনেকের মধ্যেই। ইতোমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। খুব নিচু চরটিতে প্রায়শই পানি প্রবেশ করে, যা ঠেকানোর জন্য যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। তার একটি ভেঙে গেছে বলেও জানা গেছে। এখন রোহিঙ্গারা আশঙ্কা করছেন যে, সামনে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হলে, কোনো সাইক্লোন শুরু হলে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে।

এসব আশঙ্কা ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে ফিরে যেতে চান। ইতোমধ্যে ভাসানচর থেকে কিছু রোহিঙ্গার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।


নিউজ ট্যাগ: ভাসানচর

আরও খবর



পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আটক ১২

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালায়। এ সময় ১২জন বালু উত্তোলনকারীসহ একটি স্কেভেটর ও ৫টি ড্রাম্পট্রাক আটক করেছে পাবনা র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা দাদাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ঈশ্বরদী উপজেলার বিলকেদা গ্রামের মৃত: তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিকের ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪২), একই গ্রামের কামিরুল প্রামানিকের ছেলে রুমন হোসেন (১৯), বাবলু মালিথার ছেলে বাধন হোসেন (১৯), ঈশ্বরদী ভেলুপাড়ার মো. নাজমুল হোসেনের ছেলে ইমন ইসলাম (১৯), নতুন রুপপুর গ্রামের মৃত নান্নু মালিথার ছেলে ইমরান মালিথা (২৯), ফতেপুরের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল হোসেন (৩২), সাহাপুরের  মৃত: আব্দুস সামাদের ছেলে শুভ (২৪), চর রুপপুর জিগাতলার মো. খায়রুল মোল্লার ছেলে মোহন মোল্লা (২৯), আলহাজ্ব মোড় এলাকার মো. লিয়াকত আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন (১৯), আটঘরিয়া উপজেলার নাগদাহ স্কুলপাড়ার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মাসুম আলী (৩০), একই গ্রামের মো. আকব্বর এর ছেলে সাগর (১৯), মির্জাপুরের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছেলে রজমান (২০)।

পাবনা র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিলকেদার দাদাপুর এলাকায় পদ্মার শাখা নদী হতে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয় করছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি স্কেভেটর ও ৫ টি ট্রাকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ ভাবে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন করে আসছিল।


আরও খবর



পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


আরও খবর



পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য হলেন ড. মজিবুর রহমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. মজিবুর রহমান পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (জীববিজ্ঞান) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। সদস্য পদে নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে তিনি কমিশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর National Liaison Officer (NLO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ড. রহমান দেশের ৮টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ইনষ্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলাইড সাইন্সেস (ইনমাস) স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ২০১৭-২০২৩ পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. মো. মজিবুর রহমান ২০০৩ সালে Catholic University of Leuven, Belgium থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০৮ সালে Friedrich-Schiller-University of Jena,  Germany তে Alexander von Humboldt Foundation (AvH) - এর Research Fellow হিসেবে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষনা সম্পন্ন করেন।

এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে তার ৫০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি দাপ্তরিক কাজে বেলজিয়াম, জার্মানি, অষ্ট্রিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাষ্ট, পানামা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড সহ প্রায় ২০টির অধিক দেশ সফর করেন।

ড. রহমান ১৯৬৬ সালে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার পানিপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার সহধর্মিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

ড. মজিবুর রহমান, বাংলদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের পর পর দুবার (২০১৪-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৮) নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কমিশন তথা বিজ্ঞানীদের কল্যানে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।


আরও খবর



ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি।

বিজেপির নির্বাচনি প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সাথে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনি প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের হালিশহর আর্টিলারি সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার সকালে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন এই স্থাপনা উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দরবার করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা ৭৫ জন বাঙালি এবং বেসামরিক কিছু যোদ্ধা নিয়ে ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই ত্রিপুরার কোনাবনে গঠিত হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি। এই ফিল্ড ব্যাটারি দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত মান্দাবাগ বাজার, সালদা নদী, কসবা, আখাউড়া সিংগাইর বিল, ফেনী ও চট্টগ্রাম অভিমুখে পরিচালিত বিভিন্ন অপারেশনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই বাংলাদেশের প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি নামকরণ করা হয়।

রোববার আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বাড়াতে এবং মুক্তিযুদ্ধে এই ব্যাটারির অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের হালিশহরে এই কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ফলক উন্মোচনের পর তিনি ঊর্ধ্বতন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রামের মেয়র এবং সেনাপ্রধানকে নিয়ে মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর তিনি কমপ্লেক্সের ভেতর আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। জাদুঘরে এই আর্টিলারির মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং তারপরের বিভিন্ন স্মারক রাখা হয়েছে।


আরও খবর