চট্টগ্রাম ব্যুরো:
ভারতের রাজ্য মেঘালয় থেকে বাংলাদেশের রুট দিয়ে পরিবহন করে নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রানজিট কনটেইনারসহ ‘এমভি ট্রান্স সমুদেরা’ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে। বুধবার সকালে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে গেছে। ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করার চুক্তির অধীনে এই কার্গো চলাচল ট্রায়াল রানের অংশ।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত
করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে এটি একটি অগ্রসর পদক্ষেপ।
কার্গোর এই চলাচল ২০১৯ সালে পণ্য পরিবহনের
জন্য চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত
চুক্তি কার্যকর করার লক্ষ্যে গৃহীত ট্রায়াল রানের অংশ। এই ট্রায়াল রানসমূহ ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম
রুটে টাটা স্টিল এবং CJ Darcel লজিস্টিকস লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।
এই চুক্তির অধীনে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে-চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা, চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি, চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর থেকে শেওলা হয়ে সুতারকান্দি, চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর থেকে বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর এবং এর বিপরীতে চারটি রুট।
ট্রায়াল রানটি এই চুক্তির অধীনে সকল অনুমোদিত রুটে সমস্ত ট্রায়াল রানের সমাপ্তিকে চিহ্নিত করে৷ মোংলা-তামাবিল-ডাউকি, মোংলা-বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর এবং চট্টগ্রাম-শেওলা-সুতারকান্দি রুটে ট্রায়াল রানসমূহ পরিচালিত হয়। ট্রায়াল রানের এই সমাপ্তির পর চুক্তিটির অধীনে পণ্যের নিয়মিত চলাচল কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এখন প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল স্থায়ী আদেশ জারি করবে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি SOP স্বাক্ষর হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে প্রথম ট্রায়াল মুভমেন্ট ২০২০ সালের জুলাই মাসে সফলভাবে পরিচালিত হয়েছিল যেখানে চারটি কন্টেইনার, যেগুলোর দুইটিতে টিএমটি স্টিল এবং দুইটিতে শস্যদানা কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আইসিপি আগরতলায় পৌঁছানো হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে পণ্যের ট্রানজিট/ট্রান্সশিপমেন্ট ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের খরচ এবং সময় উভয়ই কমিয়ে দেবে। এটি বাংলাদেশের লজিস্টিকস এবং সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির (বীমা, পরিবহন এবং ফিনান্স ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি) জন্য অর্থনৈতিক লাভও সৃষ্টি করবে। কারণ ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের ট্রাক ব্যবহার করা হবে।