রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী
বন্যাকে ভারতের মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রী সম্মাননার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার
(২৫ জানুয়ারি) রাতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস নোটে এবার পদ্ম পুরস্কারের
জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেছে।
ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন।
এরপর রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য
এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর ভারত সরকার ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য
মনোনীত করেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা
পাচ্ছেন।
এবারের পদ্মশ্রী প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন,
ভারতের প্রথম নারী মাহুত পার্বতী বড়ুয়া, আদিবাসী পরিবেশবিদ এবং নারী উন্নয়নকর্মী চামি
মুর্মু, ছত্তিশগঢ়ের জশপুরের আদিবাসী উন্নয়নকর্মী জগেশ্বর যাদব, দিব্যাঙ্গ সমাজকর্মী
গুরবিন্দ্র সিংহ, সমাজকর্মী সংথানকিমা, কৃষক সত্যনারায়ণ বেলেরি ও প্রাচীন ওষধি চিকিৎসক
হেমচাঁদ মাঞ্জি।
এ ছাড়া রয়েছেন, অরুণাচল প্রদেশের ভেষজ
ওষুধ বিশেষজ্ঞ ইয়ানুং জামো লেগো, ছৌ নাচের মুখোশ তৈরিকারক নেপালচন্দ্র সূত্রধর, কলকাতার
কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল, আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু, দক্ষিণ আন্দামানের
জৈব কৃষক কে চেল্লাম্মাল, মাইসুরুর আদিবাসী উন্নয়নকর্মী সোমান্না, আসামের আদিবাসী কৃষক
সর্বেশ্বর বসুমাতারি, বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক প্রেমা ধনরাজ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইয়াজদি
মানেক্সা ইটালিয়া, ক্রীড়াবিদ উদয় বিশ্বনাথ দেশপান্ডে।
তালিকায় আরও রয়েছেন, শিল্পী দম্পতি শান্তিদেবী
পাসওয়ান, শিবান পাসওয়ান, পট শিল্পী অশোক কুমার বিশ্বাস, নৃত্যশিল্পী বালকৃষ্ণান সদানম
পুথিয়া ভিটিল, ওড়িশার লোকশিল্পী ভগবত প্রধান, ত্রিপুরার শাল তাঁতি স্মৃতিরেখা চাকমা,
ওমপ্রকাশ শর্মা, কুন্নুরের লোকশিল্পী নারায়ণ ইপি, বাঁশ শিল্পী জর্ডন লেপচা, মণিপুরের
মচিহান সাসা, তেলঙ্গানার গড্ডাম সাম্মাইয়া, রাজস্থানের বহুরূপী শিল্পী জানকীলালও।
পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ‘শিল্প’ বিভাগে এই সম্মাননা
পাচ্ছেন।
এর আগে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক
অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সন্জীদা খাতুন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ
আলী জহির বীর প্রতীককে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করেছিল ভারত সরকার। তার আগে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান
ও কূটনীতিবিদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননা পেয়েছিলেন।
আর ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পেয়েছিলেন
প্রত্নতত্ত্ববিদ এনামুল হক ও সমাজকর্মী ঝর্ণাধারা চৌধুরী।
সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরের ধারার চেয়ারম্যান
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন। সংগীতে অবদানের জন্য
২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান তিনি।