আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভারতীয় ভিসা আবেদন করার নিয়ম

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে ভারত অন্যতম প্রিয় গন্তব্য। বিষয়টি মাথায় রেখে দেশটির সরকার অনলাইনে ভিসা আবেদন করার সুযোগ রেখেছে। তাহলে চলুন জেনে নিই, ভারতীয় ভিসা আবেদন করার নিয়ম-

আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইনে সাধারণত ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ই-ভিসা, ইন্ডিয়ান বিজনেস ই-ভিসা, ইন্ডিয়ান মেডিকেল ই-ভিসা এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাটেন্ডেন্ট ই-ভিসার জন্য নিবন্ধন করতে হবে। তবে ইন্ডিয়ার ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার আগে আপনার ই-ভিসা (ই-ভিসা ইন্ডিয়া অনলাইন) এর জন্য যোগ্যতার শর্তগুলো জানতে হবে। আপনি যদি এই শর্ত পূরণ করেন তবে আপনি ইন্ডিয়ান ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে প্রবেশ করুন https://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/Registration এখানে। নির্ধারিত তথ্য পূরণ সাপেক্ষে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। তার আগে চলুন জেনে নিই আরও কিছু তথ্য-

যেসব ডকুমেন্ট লাগবে

১। মূল পাসপোর্ট, ভিসার আবেদন দাখিল করার তারিখের আগ থেকে সর্বনিন্ম ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে। পাসপোর্টে অন্তত দুটি সাদা পাতা থাকতে হবে। পাসপোর্টের অনুলিপি (দ্বিতীয় পৃষ্ঠা এবং তৃতীয় পৃষ্ঠা এবং বৈধতার মেয়াদ বাড়ানোর এসডোর্সমেন্ট, যদি থাকে) সংযুক্ত করতে হবে।

২। আবেদনপত্রের সঙ্গে সব পুরোনো পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।

৩। একটি সদ্য তোলা (৩ মাসের বেশি পুরোনো নয়) ২x২ (৩৫০x৩৫০ পিক্সেল) সাইজের রঙিন ছবি যেনো পুরো মুখমন্ডল দেখা যায় এবং ছবির পিছনের অংশ সাদা হতে হবে।

৪। আবাসস্থলের প্রমাণপত্র: জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিলের অনুলিপি।

৫। পেশার প্রমাণপত্র : চাকরিদাতার কাছ থেকে সনদ। শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির অবসরপ্রাপ্ত কাগজপত্র, বিজনেস ব্যক্তির বাণিজ্য সনদপত্র লাগবে।

৬। আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণপত্র: আবেদনকারীদের জন প্রতি ১৫০ মার্কিন ডলার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট বা আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড অথবা সর্বশেষ ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের অনুলিপি দিতে হবে।

৭। আবেদনকারীকে অনলাইন এপ্লিকেশন ফরম এ দেওয়া নির্ধারিত স্থানে ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

৮। সাক্ষাতের দিন আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই সব পুরোনো পাসপোর্ট জমা দিতে হবে; সব পুরোনো পাসপোর্ট ছাড়া আবেদনপত্র অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।

৯। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে সব ধরনের ভারতীয় ভিসার সাক্ষাৎ ওয়াক-ইন পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হয়।

অনলাইন নিবন্ধনের পর যা করবেন: অনলাইন নিবন্ধনের পর সাক্ষাতে ভিসার আবেদন দাখিল করতে হবে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী,  সিলেট, খুলনা বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগের বসবাসকারীরা আইভ্যাক, ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক ) এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। অন্যরা আইভ্যাক, খুলনা/ আইভ্যাক, ময়মনসিংহ / আইভ্যাক, যশোর / আইভ্যাক, বরিশাল / আইভ্যাক, সিলেট- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।  যেসব পাসপোর্টধারী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা, যেমন- কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া তারা আইভ্যাক, চট্টগ্রাম- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। যারা রাজশাহী বিভাগে বাস করছে, তারা আইভ্যাক, রাজশাহী/ আইভ্যাক, রংপুর- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। যারা সিলেট বিভাগে বাস করছে, তারা আইভ্যাক, সিলেট/ আইভ্যাক এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।

ভিসা ফি: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে কোন ভিসা ফি লাগবে না। তবে ভিসা প্রসেসিং ফি (ভিপিএফ) হিসেবে ৮০০ টাকা প্রদান করতে হবে।

ভিসা প্রসেস ফি প্রদান করবেন যেভাবে: ভিসা প্রসেস ফি প্রদান করতে প্রবেশ করুন https://payment.ivacbd.com এই লিংকে। এখানে প্রবেশ করে আপনার আবেদনের জন্য নির্বাচিত হাইকমিশন নির্বাচন করুন। ওয়েব ফাইল নাম্বার দিন (২বার)। এরপর আবেদনের জন্য নির্ধারিত আইভ্যাক নির্বাচন করুন। আপনার ভিসা আবেদনের টাইপ নির্বাচন করুন। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিন (যেমনঃ নাম, নাম্বার, ইমেইল আইডি)।

সব তথ্য পূরণ শেষে অনলাইনেই পেমেন্ট করা যাবে। পেমেন্ট করা যাবে ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, মাস্টার্স কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেসম ডিবিএল নেক্সাস, কিউ ক্যাশ, ফাস্ট ক্যাশ, সিটি টাচ, ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিং, রকেট, বিকাশ, মাইক্যাশ, এমক্যাশ ও এবি থেকে টাকা প্রদান করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: ভারতীয় ভিসা

আরও খবর



শাহজালালে তিন দিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার (৬ মে) থেকে পরবর্তী তিন দিন তিন ঘণ্টা করে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকবে। রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সোমবার থেকে বুধবার রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা করে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সব এয়ারলাইন্স ও সংস্থাকে নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) করেছে বিমাববন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার (৫ মে) বিমানবন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশনের নিয়মমাফিক কাজের মধ্যে একটি কাজ হচ্ছে রানওয়ে ব্যবস্থাপনা। এ কাজের অংশ হিসেবে রানওয়ের সেন্টার লাইট ও মার্কিং সম্পর্কিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এজন্য সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিন রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ফ্লাইট অপারেশন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

এই ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট শিডিউল পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। এ তিন দিন তাদেরকে ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদেরও পরবর্তী ফ্লাইটের সময় জানিয়ে দেবে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, এই তিন দিন যাত্রীদেরকে তাদের নিজ নিজ ফ্লাইট সম্পর্কে আগাম জানাতে এবং ফ্লাইট অপারেশন সমন্বয় করার জন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে এরইমধ্যে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে অন্যান্য সেবাপ্রদানকারী সরকারি সংস্থার সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়েছে। যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামীকাল ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে In Aid to the Civil Power এর আওতায় ৬-১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট উপলক্ষে ৮ মে (বুধবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট হবে

রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার সদর, তেতুলিয়া ও আটোয়ারী; ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর, নীলফামারী জেলার ডোমার ও ডিমলা; দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুর জেলার কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, চর রাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।

রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর; বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী; চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট; নওগাঁ জেলার ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী; রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী ও তানোর; নাটোর জেলার সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া; সিরাজগঞ্জ জেলার সদর(ইভিএম), কাজিপুর (ইভিএম) ও বেলকুচি (ইভিএম); পাবনা জেলার সাঁথিয়া (ইভিএম) , সুজানগর (ইভিএম) ও বেড়া (ইভিএম)।

খুলনা বিভাগের মেহেরপুর জেলার সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর ও দামুড়হুদা, ঝিনাইদহ জেলার সদর ও কালীগঞ্জ; যশোর জেলার মনিরামপুর (ইভিএম) ও কেশবপুর (ইভিএম); মাগুরা জেলার সদর ও শ্রীপুর; নড়াইল জেলার কালিয়া; বাগেরহাট জেলার সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।

বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুর জেলার সদর (ইভিএম), নাজিরপুর (ইভিএম) ও ইন্দুরকানী (ইভিএম)।

ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জ জেলার সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গীপাড়া; নারায়নগঞ্জ জেলার সদর ও বন্দর; গাজীপুর জেলার সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ী জেলার কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর (ইভিএম) ও হরিরামপুর (ইভিএম); ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন, মধুখালী ও সদর; মাদারীপুর জেলার সদর, শিবচর ও রাজৈর, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া (ইভিএম) ও ভেদরগঞ্জ (ইভিএম)। নরসিংহী জেলার সদর ও পলাশ, টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।

ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুর জেলার সদর (ইভিএম) ও সরিষাবাড়ি (ইভিএম); শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।

সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও শাল্লা; সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা; মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ ও বানিাচং।

চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, লাঙ্গলকোট ও মেঘনা; চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর (ইভিএম) ও মতলব দক্ষিণ (ইভিএম); ফেনী জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর, চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া(ইভিএম) , সদর (ইভিএম) ও মহেশখালী (ইভিএম); খাগড়াছড়ি জেলার মনিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা; রাঙ্গামাটি জেলার সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, থানছি ও আলীকদম।


আরও খবর



চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোট শেষে গণ্ডগোলের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা নাগাদ শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করে আসছে বিজ্ঞমহল। ভোটের দিন ৫৭০ জন ভোটারের বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০০ সদস্যকে দেখা গেছে এফডিসি প্রাঙ্গণে।

শিল্পীরা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এরপরও ভোটকেন্দ্রে কেন এত কড়াকড়ি নিরাপত্তা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও শিল্পীদের কেউই সাংবাদিকদের এ বিষয়ে যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি। এমনকি সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ও উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতেও এবার বাড়তি সতর্কতা দেখা গেছে।

এবারের নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছে মিশা-ডিপজল ও কলি-নিপুণ প্যানেল। রয়েছে ৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রকাশ্যে কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি না হলেও সব পক্ষই বিপরীত দলকে চাপে রেখেছে। ইতোমধ্যেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজল ও নিপুণের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে মূলত ডিপজল ও নিপুণই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউই কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। দুজনের বিরুদ্ধেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। তাই নির্বাচনের শীলত যুদ্ধ আপাতত এক-এক গোলে ড্র। কিন্তু ভোট শেষে এই সাম্য নাও থাকতে পারে। পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে যে কোনো মুহূর্তে।

সূত্রের খবর, ভোট গননার সময় ঘটতে পারে অঘটন। দুই প্যানেলের মধ্যে গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। ফল প্রকাশ হতে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গতরাতে ডিপজলের বিরুদ্ধে অর্থ প্রদানের অভিযোগ সামনে আসে। অন্যদিকে নিপুণও অর্থ দিয়েছেন এমন একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। তখনই এফডিসি ও এর বাইরে অবস্থান নিয়েছিলেন অনেকেই। সরাসরি কিছু না বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু রয়েছেন চাপে। তবে নির্বাচন শেষে জায়েদ-নিপুণের মতো ডিপজল-নিপুণকেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আদালতপাড়ায় যেতে হবে তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।

এর আগে ২০১৭ সালে মধ্যরাতে ভোট গণনার সময় এফডিসিতে শাকিব এলে তার ওপরে হামলা হয়েছিল। সে সময় নিজে নির্বাচন না করলেও ওমর সানীকে সভাপতি হিসেবে সমর্থন দিয়েছিলেন শাকিব।

মূলত শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা পর থেকেই শুরু হয় তর্কবিতর্ক এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এবারের নির্বাচনে শুরু থেকেই রাজনৈতিক প্রভাবও চলমান। দুই প্যানেল থেকেই গণমাধ্যমে বেশকিছু প্রার্থী এমন অভিযোগ জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী বলেন, এবারের নির্বাচনে শিল্পীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরিচয় ও ক্ষমতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে অনেকেই। এরই মধ্যে বিএফডিসির বাইরে বিভিন্ন নেতার অফিসেও করা হয়েছে মিটিং, যা আমাদের মোটেও কাম্য ছিল না। অভিযোগ উঠেছে নিজেদের জয়ী করতে অনেকেই আবার কিনছে ভোট, দেখাচ্ছে ভয়-ভীতি।

এখন পর্যন্ত ভোটারদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেনি এফডিসি। প্রচণ্ড গরম পড়ায় সকালের দিকে ভোটার সমাগম কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কার্যকরী পরিষদ সদস্য প্রার্থী পীরজাদা হারুন দুপুর ১২টার দিকে বলেছেন, গতবার এই সময়ে ভোট কাস্ট হয়েছিল ১৬০টি, এবার ১১টি।

এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তার বিরুদ্ধেও নিপুণের জন্য সভাপতি প্রার্থী খোঁজার অভিযোগ উঠেছিল। খসরুর সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডিএ তায়েব; সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া।

অন্যদিকে মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন- সহসভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান; সহসাধারণ সম্পাদক বাপ্পি চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান। এ প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।


আরও খবর



চট্টগ্রামের এয়াকুবনগর বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ল ২০০ ঘর

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় এয়াকুবনগর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় দুইশ ঘর পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিএডি আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি স্টেশনের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দেড় ঘণ্টার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

ফিরিঙ্গি বাজারের মেরিনার্স রোড সংলগ্ন টেকপাড়া বস্তিতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হল, তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর দূর থেকেও কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছিল।

ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসেছি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। টেকপাড়া বস্তি আর এয়াকুব নগরের পিছনের অংশ জুড়ে কিছু ঘর আছে, সেগুলোতেও আগুন লেগেছে।

তিনি আরো জানান, মেয়র মহোদয়, জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তালিকা করে জানাতে বলেছেন উনারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য রাতে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখা হবে।

কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব জানান, এখনো পূর্ণাঙ্গ তথ্য না মিললেও প্রায় দুইশ ঘর পুড়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুনে বস্তির বেশ কয়েকটি কাঁচাঘর পুড়ে গেছে। এসব বাড়ির কোনোটির বাসিন্দারা এখনো ঈদ শেষে বাড়ি থেকে ফেরেননি। অর্থাৎ বন্ধ অবস্থায় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অনেকেন। আর যারা আছেন চোখের সামনে নিজের বসতি পুড়তে দেখে বিলাপ করছেন বাসিন্দারা।


আরও খবর