তথ্য ও সম্প্রচার
মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি
যখন ক্ষমতায় ছিল আমরা দেখেছি, একদিকে দেশে ভারত বিরোধিতা করেছে। অন্য দিকে তারা ভারতে
গিয়ে নুজ্য হয়ে নতজানু নীতি অবলম্বন করে। তারা ভারতের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেয়। তাদের
নেত্রী ভারতীয় শাড়ি পরে ভারত বিরোধী বক্তব্য দেন। ভারত থেকে আসা গরুর মাংস খেয়ে
ভারতবিরোধী গরম বক্তৃতা করেন।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে রাজধানী সেগুনবাগিচার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তন বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চির অম্লান। এই মৈত্রী রক্তের রন্ধে লেখা। আমাদের দেশে ভারতের অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টা করছে।
তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ভারতবিরোধী বক্তৃতা দেয়। তাদের রাজনীতির
মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ভারত বিরোধিতা। নির্বাচন
এলে তাদের ভারত বিরোধী বক্তব্য বেড়ে যায়। বিএনপিসহ যেসব রাজনৈতিক দল ভারতবিরোধী রাজনীতি করে, তারা আবার গতকাল (১১ এপ্রিল) সুরসুর করে ভারতীয় হাইকমিশনে ইফতার করতে গিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই অঞ্চলের উন্নয়ন, ভারতীয় উপমহাদেশীয় উন্নয়ন এই উপমহাদেশীয় দেশগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করার মধ্যে নিহিত।
‘টাকা দিয়ে যারা নেতা হতে চান, তাদের দলে প্রয়োজন নেই’ ‘টাকা দিয়ে যারা নেতা হতে চান, তাদের দলে প্রয়োজন নেই’
প্রতিবেশী দেশের
সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে
সম্পর্ক অম্লান করে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। যেই প্রতিবেশী দেশ অভ্যুদয় অবদান
রেখেছেন, তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার মধ্যে দেশের উন্নতি নিহিত। তাদের সঙ্গে বৈরিতা
করে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।
সভায় আরও উপস্থিত
ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক
রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. নীম চন্দ্ৰ ভৌমিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি
পরিষদের উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন, শব্দসৈনিক স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্রের ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ।