আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট : ২৫টির বেশি নমুনার সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করছে আইইডিসিআর

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এখন পর্যন্ত ভারত থেকে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসা রোগীদের নমুনার সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর)। এসব সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগে। তারপর জানা যাবে, এদের মধ্যে ভারতীয় ট্রিপল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়্যান্ট রয়েছে কি না।

আজ শনিবার দুপুরে আইইডিসিআরের একজন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট রয়েছে কি না জানতে যে নমুনার সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করা হচ্ছে তার সংখ্যা ২৫ জনেরও বেশি হবে। তবে এখনই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না, সংখ্যাটি কত হবে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তবে শুধু আইইডিসিআর এসব সিকোয়েন্সিং করছে, বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি), শিশু হাসপাতাল ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিতেও করোনা নমুনার এই সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে ওই তিন প্রতিষ্ঠানে মোট কতজনের নমুনার সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করা হচ্ছে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু আইইডিসিআরই বেশি সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে।

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে আইইডিসিআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভারত থেকে যতজন করোনা পজিটিভ রোগী এসেছে, তাদের মধ্যে ছয়জনের সিকোয়েন্সিং পরীক্ষায় ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু ভারত থেকে আসা করোনা রোগীর সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে। এই সিকোয়েন্সিং-এর জন্য অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। সিকোয়েন্সিং-এর ফল পেতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগে।

মো. আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে স্থলযোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে ভারত থেকে দেশে আসা সব করোনা পজিটিভ রোগীর নমুনার সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হতে বলা হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। কারণ, ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট আসা বন্ধ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ফলে করোনা থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকাটাই একমাত্র পন্থা।

গত ৮ মে দেশে প্রথম ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। ওই ছয়জনের মধ্যে চারজন দেশের বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা, আর ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন দুজন। ঢাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট ধরা পড়া ওই দুজনের একজন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং আরেকজন এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি চারজন যশোরসহ অন্যান্য স্থানে চিকিৎসাধীন।

মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ওই ছজনের সবাই এখন পর্যন্ত ভালো আছেন। আর গতকাল রাজধানীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে দুজন রোগীর শরীরের করোনার ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এ তথ্য সত্য নয়। তারা দুজনই সন্দেহভাজন। সিকোয়েন্সিং করার আগে নিশ্চিত হওয়া যাবে না যে, তাদের শরীরের ওই ভ্যারিয়েন্টটির উপস্থিতি রয়েছে।

করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টে বিপর্যস্ত পুরো ভারত। ভাইরাসের এই ধরনটি অনেক শক্তিশালী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে তা মোকাবিলা করা মুশকিল হচ্ছে। এই পেক্ষাপটে ভারতীয় এই ভ্যারিয়্যান্ট মিলেছে বাংলাদেশেও। এ নিয়ে পুরো দেশ উদ্বিগ্ন। কথা প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সবারই এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। এটা আটকানোর সযোগ যেহেতু আমাদের নেই, খুবই সচেতন থাকতে হবে। নতুবা এ ভ্যারিয়্যান্ট বিপদ ডেকে আনতে পারে।

ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত দুজন শনাক্ত হওয়ার আশঙ্কার বিষয়ে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির বলেন, দুজন রোগী আমাদের হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁদের সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করার পর জানা যাবে ভারতীয় ট্রিপল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি রয়েছে কি না। তাদের অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করার চিন্তা করা হচ্ছে। তাঁরা দুজন ভালো আছেন। আমরা সতর্ক রয়েছি তাঁদের ব্যাপারে।

অন্যদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ঢাকা মেডিকেলে ভারত থেকে আসা কয়েকজন এসেছিলেন করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে। যদিও তাঁরা ভারত থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে এসেছিলেন। এখানেও তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে তাঁরা বাসায় চলে যান। তবে, আমাদের দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট পাওয়া যাবে না, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। অন্যান্য দেশে যেভাবে ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট পাওয়া যাবে, বাংলাদেশেও সেভাবে পাওয়া যাবে। এবং এটা নিয়েই আমাদের চলতে হবে। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে অতিরিক্ত মাত্রায় ভ্যারিয়্যান্টটি ছড়িয়ে না পড়ে। অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়িয়ে পড়লে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। সুতরাং সরকার, সংশ্লিষ্ট মহলসহ আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমার ধারণা, এ ভ্যারিয়্যান্টটি ধীরে ধীরে সব স্থানে ছড়িয়ে পড়বে। এবং সেটা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।


নিউজ ট্যাগ: আইইডিসিআর

আরও খবর



তীব্র তাপদাহে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পাশে আইজিপি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। কিন্তু প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করেও নগরবাসীর যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নিরলস দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্য। তাদের পেশাদারিত্ব ও মনোবল অটুট রাখতে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তারই নির্দেশনায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রচণ্ড দাবদাহে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের একটু বাড়তি স্বস্তি দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের প্রত্যেক সদস্যের জন্য সুপেয় পানির বোতল সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাবার স্যালাইন, ফলের জুস, লেবুর শরবত প্রভৃতি সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরকে ছাতা সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রাফিক-বক্সে হাত-মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ও তাপপ্রবাহের মধ্যেও সুস্থ থাকতে প্রত্যেক ফোর্সকে করণীয়/বর্জনীয় সম্পর্কে ব্রিফিং প্রদান করা হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই মুহূর্তে উত্তপ্ত রোদে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোর্সের মনোবল যেমন চাঙ্গা হচ্ছে, অপরদিকে তাপদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মানিত নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।

মানবিকতার এসব উদ্যোগ গ্রহণ করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, দাম পড়বে ১২০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ঘরে বসেই ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্-বিআরআইসিএম ডেঙ্গু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি তৈরি করেছে। যা ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম।

সংস্থাটি বলেছে, কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে অর্ডার পেলেই তারা কিট উৎপাদন শুরু করতে পারে।

গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়।

ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক জানান, সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি। এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি।

বাংলাদেশ সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে।

বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান জানান, ২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা।

মালা খানের নেতৃত্বে মামুদুল হাসান রাজু, রাইসুল ইসলাম রাব্বি, জাবেদ বিন আহমেদ, খন্দকার শরীফ ইমাম, মো রাহাত, নাফিসা চৌধুরী এবং মো. সোহেলসহ একদল বিজ্ঞানী কিটটি তৈরি করেন। মালা বলেন, 'জিকা, চিকুনগুনিয়া এবং কোভিড-১৯ এর মতো অন্যান্য ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে কিটটির কোনো ক্রস-রিয়েকশন নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, এটি খুবই ভালো খবর। যে কোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।


আরও খবর



ভোজ্যতেলের তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

খোলা সয়াবিনের তেলের দাম প্রতি লিটারে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বোতলজাত তেলের দাম প্রতি লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১৮ টাকা। আগে এটির দাম ছিল ৮০০ টাকা। আর পাম ওয়েল সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা।

তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে সয়াবিন তেলের যৌক্তিক মূল্য ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিলে শেষ হচ্ছে। তাই আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়।


আরও খবর



শপথ নিলেন নবনির্বাচিত কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি মেয়র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত দুই মেয়র শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচিত কুমিল্লার মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা ও ময়মনসিংহের ইকরামুল হক টিটুকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের পাশাপাশি ৫টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরাও শপথ নেন।

৫ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা হলেন কুড়িগ্রামের আ ন ম ওবায়দুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের আব্দুল মজিদ, সিরাজগঞ্জের শামীম তালুকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিল্লাল মিয়া ও হবিগঞ্জের আলেয়া আক্তার।

পরে একই স্থানে শপথ নেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ৪৪ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে তাহসিন বাহার সূচনা জয়ী হওয়ায় প্রথম নারী মেয়র পেয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। গত ৯ মার্চ সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে জয়ী হন তিনি।

ওই দিনই ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন একরামুল হক টিটু।

নিউজ ট্যাগ: সিটি করপোরেশন

আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




গুজবের অভিযোগ আমলে না নিলে দেশে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

রবিবার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, 'তারা (ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল) বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুপারিশ শোনে না। কারণ গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখানে কোনো অফিস নেই। আমরা বলব যে তারা আমাদের কথা শুনছে না। প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য এসব সেবা বন্ধ থাকবে। আমরা প্রথমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সঠিকভাবে জানাব যে তারা (সোশ্যাল মিডিয়া) আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে এই অপরাধ এবং গুজব চালাতে দিচ্ছে এবং এগুলো প্রতিরোধে তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রথমে কয়েকবার বলা হবে। প্রয়োজনে আমরা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও বলব, যেন মনে না হয় যে এখানে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইনের বিধান হলো কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। তারা আমাদের অভিযোগের তদন্ত করছে না। আমরা এখন গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে তাদের উদাসীনতা সম্পর্কে জানাব, যেন বাধা (সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ) দেওয়া হলে দায় সরকারের ওপর না পড়ে, বরং তাদের ওপরই বর্তায়।


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪