চলতি সপ্তাহে বিশ্বের শীর্ষ রপ্তানিকারক ভারতের সেদ্ধ চালের রপ্তানি মূল্য হ্রাস পেয়েছে। মূলত চাহিদা ধীরগতির হওয়ায় এই নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, এই সপ্তাহে ভারতের ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চালের দাম কমেছে। প্রতি মেট্রিক টনের দর স্থির হয়েছে ৪৯৭ থেকে ৫০৫ ডলারের মধ্যে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০০ থেকে ৫০৭ ডলার।
মধ্য ভারতের রায়পুর শহরের এক রপ্তানিকারক বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল কিনেছেন বাইরের ব্যবসায়ীরা। ফলে চলমান সপ্তাহে খাদ্যপণ্যটি কেনা থেকে বিরত থেকেছেন তারা। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ ভারতীয় উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আঘাত হানে। এতে অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাদা বন্দরে লোডিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়। চালের দরপতনে যা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের প্রতি মেট্রিক টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল বিক্রি হয়েছে ৬৫৫ থেকে ৬৬৫ ডলারে। আগের সপ্তাহ থেকে যা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
হো চি মিন সিটি ভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, চালের বেচাকেনা মন্থর রয়েছে। কারণ, ক্রেতাদের কাছে খাদ্যশস্যটির দর চড়া আছে। শিগগিরই ভোগ্যপণ্যটির মূল্য কমবে বলে মনে হয় না। কারণ, সরবরাহ কম রয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরে ধানের দাম ঊর্ধ্বগামী আছে।
থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দরপতন ঘটেছে। মেট্রিক টনপ্রতি দাম স্থির হয়েছে ৬২০ থেকে ৬২৫ ডলারে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৬৩০ ডলার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে চাহিদা স্থানান্তরিত হওয়ায় এই নিম্নগমিতা সৃষ্টি হয়েছে।